বিশ্ব উষ্ণায়ন আগামী দিনে থাবা বসাবে কর্মসংস্থানেও

1280
0
Employment, Indian Employment

পরিবেশ দূষণের মাত্রা বৃদ্ধি, জল সংকট এবং সর্বোপরি জলবায়ুর আমূল পরিবর্তন, এতদিন এগুলিই ছিল বিশ্ব উষ্ণায়নের জন্য মানব সমাজের ওপর প্রভাব ফেলার সবথেকে ক্ষতিকর দিকগুলি। এবার তার সঙ্গে যোগ হচ্ছে কর্মসংস্থানের বিষয়টিও।

শুনতে একটু অদ্ভুত লাগলেও, আগামী দিনে কর্মসংস্থান এবং কর্মসময়ের উপর বিশ্ব উষ্ণায়ন খুব খারাপ প্রভাব ফেলতে চলেছে, যার অনেকটাই আবার ভারতের মতো দেশেরউপর।  সম্প্রতি, রাষ্ট্রপুঞ্জের লেবার এজেন্সি এরকমই একটি আশঙ্কার কথা শুনিয়েছে। ইউএন লেবার এজেন্সির রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০৩০ সালের মধ্যে ভারতের মোট ওয়ার্কিং আওয়ার অর্থাৎ কর্ম সময়ের থেকে প্রায় ৫.৮% সময় কমে যাবে। যার কারণ হয়ে দাঁড়াবে অতিরিক্ত হারে তাপমাত্রা বৃদ্ধি ও জলবায়ু পরিবর্তন।

‘Working on a Warmer Planet: The Impact of Heat Stress on Labour Productivity and Decent Work’ নামে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করে আন্তর্জাতিক লেবার এজেন্সি জানিয়েছে, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে আউটফিল্ডে বা আউটডোর কাজের ক্ষেত্রে বিপদের মুখে পড়তে হবে কর্মীদের। সবথেকে বেশি প্রভাব পড়বে কৃষি ও নির্মাণ শিল্পে। তার কারণ এই দুটি ক্ষেত্রেই বেশিরভাগ সময়ে খোলা আকাশের নিচে কাজ করতে হয়। কাজের গতি ও স্বতঃস্ফূর্ততা কমবে শ্রমজীবীদের। ভারতে মোট কর্মসময়ের ৫.৮% কমে যাওয়া মানে প্রায় ৪ লক্ষ ৩০ হাজার ফুল টাইম কাজ হারানোর সমান।  এই দুটি সেক্টরের পাশাপাশি জরুরি পরিষেবা, পরিবহণ, বিপণনে ঘোরাঘুরির কাজ, পর্যটন, ক্রীড়া, অন্যান্য ঘোরাঘুরি ভিত্তিক কাজ— এরকম একাধিক ক্ষেত্রে কাজের উপর উষ্ণায়নের যথেষ্ট প্রভাব পড়বে বলে আশংকা করা হচ্ছে।

ভারতের মতো বাংলাদেশ, নেপাল, কলম্বিয়া এরকম এশিয়ার বিভিন্ন দেশের প্রায় ৯০ % কর্মীই অসংগঠিত শ্রমজীবী। প্রতিকূল উষ্ণ পরিবেশে শ্রমজীবীদের হিটস্ট্রোক তাপাহত হওয়া থেকে শুরু করে বিবিধ স্বাস্থ্য সংকটে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই, জলবায়ু পরিবর্তনের পাশাপাশি কর্মসংকটও এবার ভাবনা বাড়িয়েছে পরিবেশমহলে। ভাবতে হবে রক্ষামূলক ও বিকল্প ব্যবস্থার জন্য প্রস্তুতির কথা।

 

 

 

 

Employment, Indian Employment