শিক্ষায় বাজেটে বরাদ্দ বাড়ল, গঠিত হবে রাষ্ট্রীয় শিক্ষা আয়োগ

594
0

পেশ হল কেন্দ্রীয় বাজেট। পেশ করলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রের বাজেটের পাশাপাশিই এবারে শিক্ষাখাতে ব্যয়ের বাজেটও প্রকাশ করলেন তিনি।যেখানে বলা হয়েছে অন্যান্য বারের থেকে শিক্ষা খাতে ব্যয় বরাদ্দ ১৩ শতাংশ বৃদ্ধি করা হয়েছে। সেই মোট অর্থের একটা বড় অংশ উচ্চশিক্ষায় ব্যয় করা হবে। এ বছর ৯৪,৫৮৩.৬৪ কোটি টাকা ব্যয় ধার্য হয়েছে। এর মধ্যে ৫৬,৫৩৬.৬৩ কোটি টাকা খরচ হবে প্রাথমিক শিক্ষাখাতে।৩৮,৩১৭.০১ কোটি টাকা উচ্চশিক্ষায়। জোর দেওয়া হবে গবেষণায়ও। উল্লেখ্য, এ বছরই বিশ্বের নামজাদা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলির মধ্যে ভারতের তিনটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ‘ইনস্টিটিউট অব এক্সেলেন্স’ অভিধায় ভূষিত হয়েছে। সেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিকে আরও উন্নত করার প্রয়াস নেওয়া হয়েছে। যেখানে বিশ্বের নানা প্রান্তের পড়ুয়ারা এসে গবেষণা করতে পারেন। এ জন্য গঠিত হয়েছে ‘স্টাডি ইন ইন্ডিয়া’ প্রকল্প। আগামী দিনে ‘জাতীয় রিসার্চ ফাউন্ডেশন’ গঠনের কথাও ভাবা হচ্ছে। বলেছেন, কেন্দ্রীয় মানব উন্নয়ন সম্পদ মন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল নিশঙ্ক। দেশের বিভিন্ন আইআইটিগুলির উপরও জোর দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। বাজেট বরাদ্দ হয়েছে ৬৪০৯.৯৫ কোটি টাকা।আইআইএম, ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব সায়েন্সের মতো প্রতিষ্ঠানের মানোন্নয়ন সুযোগ-সুবিধার দিকে নজর দেওয়া হবে।তাদের জন্য বরাদ্দ হয়েছে যথাক্রমে ৪৪৫.৫৩ ও ৮৯৯.২২ কোটি টাকা।

উচ্চশিক্ষার পাশাপাশি প্রাথমিক সিক্ষার ক্ষেত্রে মিড ডে মিলের পরিকাঠামোও পালটানো হবে বলে জানা গিয়েছে। যদিও এই বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক রয়ে গেছে বিভিন্ন মহলেই। কারণ মিড ডে মিল বাবদ যে খরচ বৃদ্ধি করা হয়েছে তা প্রয়োজনের তুলনায় যথেষ্ট নয় বলে অনেকের মত। এরই সঙ্গে জাতীয় শিক্ষাক্ষানীতির রূপায়ণ ও কেন্দ্র-রাজ্যের মধ্যে শিক্ষা বিবাদ এড়াতে গড়া হবে ‘রাষ্ট্রীয় শিক্ষা আয়োগ’। বলা হয়েছে, শিক্ষার নীতিগিত দিক নিয়েই কেন্দ্র ও রাজ্যের মধ্যে সূত্রধারের কাজ করবে এই সংস্থা।

উচ্চশিক্ষার পাশাপাশি প্রাথমিক শিক্ষার ক্ষেত্রে মিড ডে মিলের পরিকাঠামোও পালটানো হবে বলে জানা গিয়েছে। যদিও এই বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক রয়ে গেছে বিভিন্ন মহলেই।কারণ মিড ডে মিল বাবদ যে খরচ বৃদ্ধি করা হয়েছে তা, প্রয়োজনের তুলনায় যথেষ্ট নয় বলেই অনেকের মত।এরই সঙ্গে জাতীয় শিক্ষাক্ষানীতির রূপায়ণ ও কেন্দ্র রাজ্যের মধ্যে শিক্ষা বিবাদ এড়াতে গড়া হবে `রাষ্ট্রীয় শিক্ষা আয়োগ’ নামক সেতুবন্ধন সংস্থা। যারা শিক্ষার নীতিগত দিকগুলি নিয়েই কেন্দ্র ও রাজ্যের মধ্যে সূত্রধরের কাজ করবে।

একদিকে শিক্ষাখাতে অর্থ বাড়ানো হলেও অন্যদিকে তপসিলি জাতি ও জনজাতি সমাজের উচ্চশিক্ষায় ব্যয় বৃদ্ধি না ঘটিয়ে বরং তা কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। আগে যেখানে পড়ুয়াদের বৃত্তি বরাদ্দ ছিল ৩ হাজার কোটি টাকা।এবারে তা কমে হয়েছে ২৯৩৬ কোটি টাকা।আদিবাসী সমাজের পড়ুয়াদের উতসাহ ভাতা যেখানে ছিল ১৬৪৩ কোটি টাকা তা কমে এবার হয়েছে ১৬১৩ কোটি টাকা।

দলিত পিছিয়ে পড়া শ্রেণির জনজাতিদের পিএইচডি উচ্চশিক্ষাখাতেও বরাদ্দ কমিয়ে ৬০২ কোটি থেকে ২৮৩ কোটি টাকা করা হয়েছে।আদিবাসী জনজাতিদের ক্ষেত্রে বরাদ্দ কেন কমল এ নিয়ে নানান মহলে প্রশ্ন উঠছে।যদিও কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রক বলেছে প্রয়োজনে অর্থ জোগানো হবে।আদিবাসীদের নিয়ে কাজ করেন এমন একটি সংস্থা ন্যাশনাল ক্যাম্পেন অন দলিত হিউম্যান রাইটস। সেই সংস্থার অভিমত শুধু শিক্ষাখাতেই নয়, তফসিলি, আদিবাসীদের অনেক ক্ষেত্রেই এবার বরাদ্দ কম রাখা হয়েছে।