আর্মি পাবলিক স্কুলে হাজার টিচার নিয়োগ

1019
0
army public school recruitment

সারা দেশের ১৩৭টি আর্মি পাবলিক স্কুলে প্রায় ৮০০০ শিক্ষক-শিক্ষিকা রয়েছেন, যার মধ্যে প্রতিবছর অবসর বা অন্যান্য নানা কারণে প্রায় ১০০০ পদ খালি হয়। সেই জায়গায় নতুন শিক্ষক-শিক্ষিকা নিয়োগ করা হয়। প্রতিবছরের মতো এবছরও পিজিটি/ টিজিটি/ পিআরটি টিচার নিয়োগ করা হবে। কম্বাইন্ড সিলেকশন স্ক্রিনিং এগজামিনেশনের মাধ্যমে প্রার্থী বাছাই করা হবে।

শিক্ষাগত যোগ্যতা: পোস্ট গ্র্যাজুয়েট টিচারের ক্ষেত্রে ইংলিশ, হিন্দি, হিস্ট্রি, জিওগ্রাফি, ইকোনমিক্স, পলিটিক্যাল সায়েন্স, ম্যাথমেটিক্স, ফিজিক্স, কেমিস্ট্রি, বায়োলজি, বায়োটেকনোলজি, সাইকোলজি, কমার্স, কম্পিউটার সায়েন্স/ ইনফর্মেটিক্স, হোমসায়েন্স, ফিজিক্যাল এডুকেশন বিষয়ের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ৫০ শতাংশ নম্বর সহ মাস্টার ডিগ্রি, সঙ্গে ৫০ শতাংশ নম্বর সহ বিএড। ফিজিক্যাল এডুকেশনের ক্ষেত্রে ফিজিক্যাল এডুকেশনে ৫০ শতাংশ নম্বর সহ মাস্টার ডিগ্রি থাকলেই হবে, বিএডের দরকার নেই। প্রসঙ্গত, বিকল্প যোগ্যতা হিসাবে এগুলিও গ্রাহ্য হবে: পলিটিক্যাল সায়েন্সের ক্ষেত্রে পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বা ইন্টারন্যাশনাল রিলেশন্সে মাস্টারডিগ্রি, ম্যাথসের ক্ষেত্রে স্ট্যাটিস্টিক্স বা অপারেশনাল রিসার্চে (গ্র্যাজুয়েশনে ম্যাথস সহ) পিজি অথবা আরসিই, এনসিইআরটি থেকে ম্যাথস সহ  এমএসসি এড, ফিজিক্সের ক্ষেত্রে আরসিই, এনসিইআরটি থেকে ফিজিক্স সহ  এমএসসি এড, কেমিস্ট্রির ক্ষেত্রে বায়োকেমিস্ট্রিতে এমএসসি বা ফার্মাকেমিস্ট্রিতে পিজি ডিপ্লোমা (গ্র্যাজুয়েশনে কেমিস্ট্রি সহ) অথবা আরসিই, এনসিইআরটি থেকে কেমিস্ট্রি সহ এমএসসি এড, বায়োলজি বিষয়ের ক্ষেত্রে বটানি সহ জুলজি বা জুলজি সহ বটানিতে মাস্টার ডিগ্রি। এছাড়া মাইক্রো বায়োলজি/ মলিকিউলার বায়োলজি/ এগ্রিকালচারাল বটানি/ জেনেটিক্সে পোস্ট গ্র্যাজুয়েট থাকলে অথবা আরসিই, এনসিইআরটি থেকে জুলজি/ বটানিতে এমএসসি ইডি করা থাকলে আবেদন করতে পারবেন। বায়োটেকের ক্ষেত্রে বায়োটেকনোলজি বা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে মাস্টার ডিগ্রি। কম্পিউটার সায়েন্স ইনফরমেটিক্সের ক্ষেত্রে কম্পিউটার সায়েন্স/ ইঞ্জিনিয়ারিং/ ইলেক্ট্রনিক্স/ ইলেক্ট্রনিক্স অ্যান্ড কমিউনিকেশনে বিই/ বিটি অথবা কম্পিউটার সায়েন্স/ আইটিতে এমসিএ/ এমএসসি অথবা ম্যাথমেটিক্স/ ফিজিক্স/ স্ট্যাটিস্টিক্সে এমএসসি সঙ্গে কম্পিউটার সায়েন্সে বিএসসি/ বিসিএ/ কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে তিন বছরের ডিপ্লোমা অথবা এআইসিটিই স্বীকৃত আইটি/ পিজিডিসিএ অথবা ডোয়েকের বি লেভেল।

ট্রেইন্ড গ্র্যাজুয়েট টিচারদের জন্য ইংলিশ, হিন্দি, সংস্কৃত, হিস্ট্রি, জিওগ্রাফি, পলিটিক্যাল সায়েন্স, ম্যাথমেটিক্স, ফিজিক্স, কেমিস্ট্রির পদের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে এবং বায়োলজির ক্ষেত্রে বটানি ও জুলজি বা হোমসায়েন্স বিষয়ে ৫০ শতাংশ নম্বর সহ গ্র্যাজুয়েট ডিগ্রি, সঙ্গে ৫০ শতাংশ নম্বর সহ বিএড। এছাড়াও আরসিই, এনসিইআরটি থেকে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ওই নম্বর সহ বিএ ইডি বা বিএসসি ইডি থাকলে আবেদন করতে পারবেন।

প্রাইমারি টিচারের ক্ষেত্রে ৫০ শতাংশ নম্বর সহ গ্র্যাজুয়েট সঙ্গে ৫০ শতাংশ নম্বর সহ বিএড বা ২ বছরের ডিপ্লোমা বা ৪ বছরের অখণ্ড বিএলএড থাকতে হবে। সবক্ষেত্রেই ন্যূনতম ৫০ শতাংশ নম্বর থাকতে হবে।

টিজিটি/ পিআরটির নিয়মিত বা চুক্তির ভিত্তিতে নিয়োগের জন্য সিটেট/ টেট পাশ করে থাকতে হবে। অন্যান্যদের ক্ষেত্রে সিটেট/ না থাকলেও আবেদন করতে পারবেন, তবে এক্ষেত্রে ট্রেনিং সম্পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত থোক বেতনের ভিত্তিতে নিয়োগ করা হবে। যাঁরা আগে এই পরীক্ষা দিয়ে স্কোরকার্ড পেয়েছেন তাঁরাও আবার পরীক্ষা দিতে পারেন স্কোর ভালো করার সুযোগের জন্য। স্কোর কার্ডের মেয়াদ ৩ বছর।

বয়সসীমা: ১ এপ্রিল ২০২০ তারিখে ফ্রেশ প্রার্থীদের ক্ষেত্রে বয়স হতে হবে ৪০ বছরের কম (দিল্লির এনসিআর স্কুলের ক্ষেত্রে টিজিটি/ পিআরটির জন্য বয়স হতে হবে ২৯ বছরের কম ও পিজিটির ক্ষেত্রে বয়স হতে হবে ৩৬ বছরের কম) অভিজ্ঞতাধারী প্রার্থীদের ক্ষেত্রে ১ এপ্রিল ২০২০ অনুযায়ী বয়স হতে হবে ৫৭ বছরের কম (এক্ষেত্রে গত দশ বছরে অন্তত ৫ বছরের টিচিং অভিজ্ঞতা থাকতে হবে, দিল্লির জন্য ৪০ বছর।

বেতনক্রম: কেন্দ্র সরকারের নিয়ম অনুযায়ী বেসিক ও গ্রেড পে স্থির করা হবে। এছাড়া স্কুল ম্যানেজমেন্টের নিয়ম অনুযায়ী অন্যান্য ভাতা স্থির হবে।

প্রার্থী বাছাই পদ্ধতি: তিনটি ধাপের মাধ্যমে প্রার্থী বাছাই করা হবে। প্রথম ধাপে লেখা পরীক্ষা, দ্বিতীয় ধাপে ইন্টারভিউ ও ততীয় ধাপে টিচিং স্কিল ও কম্পিউটারের দক্ষতা দেখা হবে। লিখিত পরীক্ষা হবে পশ্চিমবঙ্গ সহ সারা দেশের বিভিন্ন কেন্দ্রে। সফল হলে ইন্টারভিউ হবে একেক কেন্দ্রে বেশকিছু স্কুল মিলিয়ে দেশের বিভিন্ন জায়গায়। সিলেকশন কমিটি প্রয়োজন মনে করলে কম্পিউটারের দক্ষতা নির্ণায়ক পরীক্ষাও নিতে পারবেন। লিখিত পরীক্ষায় স্কোর কার্ড পেলে ইন্টারভিউ ও টিচিং স্কিলের জন্য ডাকা হবে। অনলাইন পরীক্ষায় মাল্টিপল চয়েস টাইপের প্রশ্ন থাকবে। পিজিটি/ টিজিটিদের ক্ষেত্রে পার্ট এতে অবজেকটিভ টাইপের প্রশ্ন থাকবে জেনারেল অ্যাওয়্যারনেস, মেন্টাল এবিলিটি, ইংলিশ কম্প্রিহেনশন, এডুকেশনাল কনসেপ্ট অ্যান্ড মেথডোলজির উপর প্রশ্ন হবে। মোট ৯০ নম্বরের প্রশ্ন। পার্ট বিতে সংশ্লিষ্ট বিষয়ের উপর প্রশ্ন থাকবে। মোট ৯০ নম্বর। পার্ট এ ও পার্ট বি মিলিয়ে সময় ৩ ঘণ্টা। প্রাইমারি টিচারের অবজেকটিভ টাইপের প্রশ্ন থাকবে জেনারেল অ্যাওয়্যারনেস, মেন্টাল এবিলিটি, ইংলিশ কম্প্রিহেনশন, এডুকেশনাল কনসেপ্ট অ্যান্ড মেথডোলজি বিষয়ের উপর। মোট ৯০ নম্বর, সময় ১ ঘণ্টা ৩০ মিনিট। প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য ০.২৫ নম্বর কাটা যাবে নেগেটিভ মার্কিং হিসাবে। প্রতিটি পার্টে অন্তত ৫০ শতাংশ নম্বর থাকা দরকার। একটি অনলাইন মক টেস্টের আয়োজন করা হবে ২ থেকে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত। রেজিস্ট্রেশন পোর্টাল থেকে গত ৪ বছরের প্রশ্নপত্র দেখতে পাওয়া যাবে, পার্ট এ ও পার্ট বি- প্রশ্নপত্রের জন্য প্রতি ক্ষেত্রে ১০০ টাকা করে দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। রেজিস্ট্রেশন করার ২৪ ঘণ্টা পর থেকে প্রশ্নপত্র ডাউনলোড করা যাবে।

পূর্ব ও উত্তরপূর্বাঞ্চলের পরীক্ষকেন্দ্র: ক্রমিক সংখ্যা ৪৮: কলকাতা। ক্রমিক সংখ্যা ১২: ব্যারাকপুর। ক্রমিক সংখ্যা ২৭: দুর্গাপুর। ক্রমিক সংখ্যা ৬৯: শিলিগুড়ি। ক্রমিক সংখ্যা ১৩: বহরমপুর। ক্রমিক সংখ্যা ১: আগরতলা। ক্রমিক সংখ্যা ৬৮: শিলং। ক্রমিক সংখ্যা ৩২: গুয়াহাটি। ক্রমিক সংখ্যা ৭৩: তেজপুর। ক্রমিক সংখ্যা ৪৪: জোরহাট। ক্রমিক সংখ্যা ২৫: ডিব্রুগড়। ক্রমিক সংখ্যা ৬০: পাটনা। ক্রমিক সংখ্যা ৬২: রাঁচি। ক্রমিক সংখ্যা ১৬: ভুবনেশ্বর।

পরীক্ষার ফি: পরীক্ষার ফি ৫০০ টাকা। ডেবিট কার্ড/ ক্রেডিট কার্ড/ নেট ব্যাঙ্কিংয়ের মাধ্যমে ফি দেওয়া যাবে।

আবেদনের পদ্ধতি: http://aps-csb.in ওয়েবসাইটে গিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। কেবল অনলাইনেই আবেদন করতে হবে। অনলাইন আবেদন করার আগে ছবি, স্বাক্ষর, শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট স্ক্যান করে রাখতে হবে। ছবির মাপ হতে হবে ১৪০×১৬০ (৬০ কেবি) ও স্বাক্ষরের মাপ হতে হবে ৬০×৯০ (৩০ কেবি) বৈধ ইমেল আইডি ও ফোন নম্বর থাকতে হবে। অনলাইন অ্যাপ্লিকেশন ফর্ম পূরণ করা হয়ে গেলে সাবমিট বাটনে ক্লিক করতে হবে। পূরণ করা অনলাইন অ্যাপ্লিকেশন ফর্মের একটি প্রিন্ট আউট নিয়ে রাখতে হবে। অনলাইন আবেদন করা যাবে আগামী ২১ সেপ্টেম্বর বিকেল ৫টা পর্যন্ত।