মহিলাদের উৎসাহ দিতে আসন সংরক্ষণ আইআইটিগুলিতে

643
0
ITI Student Picture

বেশ কিছু ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ বন্ধ হবার দিন গুনছে ছাত্রসংখ্যার ঘাটতির কারণে। সম্প্রতি এআইসিসিটির এক তথ্য অনুযায়ী জানা যাচ্ছে প্রায় দুশোটি দ্বিতীয় সারির ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ তাদের ঝাঁপ বন্ধ করার আবেদন জানিয়েছে। প্রধান কারণ পড়ুয়া সংখ্যার ঘাটতি। গত কয়েকটি শিক্ষাবর্ষ মিলিয়ে ৪ বছরে দেশে প্রায় ৩.১ লক্ষ ছাত্র কমে গিয়েছে। কেন এমন পরিস্থিতি তা নিয়ে চিন্তিত অনেকেই। অন্য দিকে এমন পরিস্থিতিতে এক নির্দেশে বলা হয়েছে, দ্বিতীয় সারির ওই ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজগুলিতে সংগঠিত ৫০ শতাংশ প্রোগ্রামের ন্যাশনাল বোর্ড অব অ্যাক্রেডিটেশন (এনবিএ)-এর স্বীকৃতি নিতে হবে আগামী ২০২২ শিক্ষাবর্ষের মধ্যে। তবে যে সব ছাত্রছাত্রী ইতিমধ্যে ওইসব কলেজে পড়াশোনা শুরু করেছেন তাঁরা স্নাতক না হওয়া পর্যন্ত কলেজগুলিকে চালু রাখতে হবে। বর্তমান পরিস্থিতিতে চলতি বছরে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ৮০,০০০ আসন কমতে চলেছে। বেসরকারি দ্বিতীয় সারির ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজগুলির এমন হাল হলেও সেদিক থেকে কিন্তু আইআইটি এবং ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি বা নিট–এর ছাত্রসংখ্যা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। কেন এই বিপুল বৈষম্য তা নিয়ে শিক্ষা মহল চিন্তিত। অনেকেই ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনার মানোন্নয়নে ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজগুলির ভূমিকাকে প্রশ্নের মুখে ফেলছেন। আবার কেউ-কেউ বলছেন শিক্ষা শেষে উপযুক্ত কর্মসংস্থানের অভাবই ছাত্রছাত্রী হ্রাস পাবার কারণ। এই চিত্রের মধ্যেই আগামী শিক্ষাবর্ষের জয়েন্ট ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ট্রান্সের পরীক্ষা আসন্ন। ছাত্রছাত্রীদের সেই পরীক্ষায় বসার প্রস্তুতিও চলছে জোর কদমে। অন্যদিকে আরও বেশি করে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে মহিলাদের উৎসাহ দিতে উদ্যোগী হয়েছে কেন্দ্রীয় মানব উন্নয়ন মন্ত্রক। মহিলাদের জন্য আসনও সংরক্ষিত করা হচ্ছে। সেই উদ্দেশ্যেই এক নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকেই ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব টেকনোজির বিভিন্ন শাখায় ৭৭৯টি আসন মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে। প্রতি বছর এই সংরক্ষণের কোটা বাড়িয়ে আগামী দিনে মহিলাদের জন্য ২০ শতাংশ আসন সংরক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সেই সংরক্ষণ অনুযায়ী বর্তমান বছরে আইআইটি খড়্গপুরে ১১৩টি আসন মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে। তেমনই ধানবাদে ৯৫টি, কানপুরে ৭৯টি, ভুবনেশ্বরে ৭৬টি, রুরকিতে ৬৮টি, গুয়াহাটিতে ৫৭টি আসন মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত হচ্ছে। আগামী দিনে এই কলেজগুলিতে সংরক্ষণের সংখ্যা বাড়ানো হবে বলে জানানো হয়েছে।