নতুন নিয়মে একই বছরে দু বার মেডিকেল ও ইঞ্জিনিয়ারিং পরীক্ষায় বসতে পারবে ছাত্রছাত্রীরা

1135
0
NET, Net, Net Online Application

উচ্চমাধ্যমিকের পর ডাক্তারি বা ইঞ্জিয়িারিংয়ে ভর্তির জন্য যুগ্ম পরীক্ষায় দুবার বসার সুযোগ পাবে উচ্চমাধ্যমিক সফল ছাত্রছাত্রীরা। আগামী ২০১৯ শিক্ষাবর্ষ থেকেই শুরু হচ্ছে নতুন এই পদ্ধতি। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি অ্যান্ড এগজামিনেশন অ্যাহেড এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, আগামী বছর থেকে দুবার নিট পরীক্ষা হবে। অর্থাৎ একই ছাত্র দু বার পরীক্ষা দিতে পারবে। যদি তার মনে হয় প্রথম বারের পরীক্ষা ভালো হয়নি তাহলে সে দ্বিতীয়বারও সেই পরীক্ষায় বসতে পারবে। এবং এই দুই পরীক্ষার মধ্যে যে পরীক্ষাটা ভালো হবে তারই নম্বরের ভিত্তিতে তাকে ভর্তির সুযোগ দেওয়া হবে। মেডিকেল এবং ইঞ্জিনিয়ারিং এই দুই বিভাগেই একই ব্যবস্থা গৃহীত হতে চলেছে। আগামী বছর মেডিকেলের জন্য প্রথম নিট পরীক্ষা হবার কথা ৩ থেকে ১৭ ফেব্রুয়ারির মধ্যে। তারপর হবে ইঞ্জিনিয়ারিং পরীক্ষা। এ বছর অক্টোবর মাস থেকেই উক্ত পরীক্ষার অনলাইনে ফর্ম ফিলাপ করার বিজ্ঞপ্তি বের হবে বলে শোনা যাচ্ছ। উল্লেখ্য, এবছর পর্যন্ত সিবিএসই নামক সংস্থা নিট পরীক্ষার তদারকি করত। কিন্তু আগামী বছর এই সিবিএসইর পরিবর্তে নতুন সংস্থা ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি বা এনটিএ-র পরিচালনায় হবে সর্বভারতীয় মেডিকেল ও ইঞ্জিনিয়ারিং প্রবেশিকা পরীক্ষা। আর নতুন নিয়মে প্রবেশিকা পরীক্ষা হবে অনলাইনে। প্রশ্নপত্র হবে বিভিন্ন আঞ্চলিক ভাষায়। আট ধরনের পৃথক প্রশ্নপত্র অর্থাৎ আঞ্চলিক ভাষায় ছাত্রছাত্রীদের পরীক্ষা দেবার সুযোগ থাকবে। দেশের সমস্ত মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজে ভর্তির পরীক্ষা অভিন্ন নিট আয়োজন করার দায়িত্ব পাচ্ছে এনটিএ। মেডিকেলের মতো অভিন্ন ইঞ্জিনিয়ারিং বা জেইই মেনস পরীক্ষাও নেবে ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি অ্যান্ড এগজামিনেশন অ্যাহেড বা এনটিএ। নতুন এই ব্যবস্থা ঘিরে একদিকে যেমন ছাত্রছাত্রীদের কাছে দুবার পরীক্ষা দেবার সুযোগ এসে যাচ্ছে তেমনি অনেক অসুবিধারও সম্মুখীন হবার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছেন শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রীমহল। কারণ আগামী বছর যে সময় এই পরীক্ষার তারিখ ধার্য হয়েছে ঠিক সেই সময়ই থাকে সবর্ভারতীয় সিবিএসই, আইএসসি-র মতো বিভিন্ন পরীক্ষাগুলি। একই সময়ে এই পরীক্ষার রুটিনে অসুবিধার সম্মুখীন হবেন অনেকেই। তার ওপর অনলাইনে পরীক্ষা হলে বিভিন্ন গ্রামীণ ক্ষেত্রের ছাত্রছাত্রীরা কী করে তার সুযোগ গ্রহণ করবে সে নিয়েও রয়েছে সন্দেহ। সেদিক থেকে প্রধান শহরে অনলাইনে এই পরীক্ষার পদ্ধতি নিয়েও আতান্তরে পড়বেন দূরদূরান্তের ছাত্রছাত্রীরা।