এসএসসি উচ্চপ্রাথমিকে নিয়োগে আরেক মামালা

621
0
current affairs

স্কুল সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত/স্পন্সর্ড বেসরকারি স্কুলগুলির উচ্চপ্রাথমিকে নিয়োগের প্রক্রিয়ায় আরও একটি মামলা দায়ের হল। ৮ জন প্রার্থীর দায়ের করা এই মামলার শুনানি এসপ্তাহেই হবার সম্ভাবনা আছে কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি শেখর ববি শরাফের এজলাসে। উচ্চপ্রাথমিকে নিয়োগের জন্য স্কুল সার্ভিস কমিশন বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল ২০১৩ সালে, তার পরীক্ষা হয় ২০১৫ সালে। কিন্তু সে পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে তাঁদের নিয়োগ না করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বলা হয়, উত্তীর্ণ প্রার্থীরা ২০১৬ সালে কাউন্সেলিং এবং ডকুমেন্ট ভেরিফিকেশনে ডাক পাবেন, এজন্য ২৫০ টাকা জমা দিতে হবে। সেইমতো ইচ্ছুক প্রার্থীরা টাকা জমা দেন। কিন্তু তবু বর্তমানের মামলাকারীরা ডাক পাননি। কারণ হিসাবে বলা হয়, তাঁদের বয়স পেরিয়ে গেছে। কিন্তু আবেদনের সময় যা বয়স চাওয়া হয়েছিল তাঁদের সে বয়স ছিল। সাধারণত, আবেদনের সময় বয়সের দিক থেকে উপযুক্ত হলে নিয়োগপ্রক্রিয়ায় বিলম্বের কারণে প্রার্থীর বয়স বেশি হয়ে গেলেও তার দায় প্রার্থীর ওপর বর্তায় না, বয়স ঠিক আছে বলেই গ্রাহ্য হয়। রেল, কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের বহু চাকরিতেই এমন হয়ে থাকে। কিন্তু এক্ষেত্রে সেই সুযোগ দেওয়া হল না। অগত্যা সুবিচারের আশায় এই মামলা। প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যে বয়স পেরিয়ে যাওয়ায় এঁরা নতুন করে আর কখনও এই পদের জন্য আবেদন করতে পারবেন না, যেমন অন্যান্য বিভিন্ন ক্ষেত্রেও রাজ্যে দীর্ঘকাল সরকারি চাকরির নিয়মিত পরীক্ষাগুলি না হওয়ায় সরকারি চাকরিতে আবেদনের সুযোগ চিরতরে হারিয়েছেন কয়েক লক্ষ কর্মপ্রার্থী। প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, শিক্ষক-শিক্ষাকর্মী নিয়োগের কাজ এত মামলায় আটকে থাকা ঠেকাতে সরকার নিজেই উচ্চ আদালতে মামলা করার কথা ভাবছে। ওয়াকিবহাল মহলের প্রশ্ন, এত বছর পর এত দীর্ঘ ব্যবধানে গুটিকয় বপরীক্ষার আয়োজনে এত মামলা হচ্ছে কেন? মূলত স্বচ্ছতার অভাবে। বেকাররা তো শখ করে ব্যয়বহুল, দৌড়ঝাঁপ-সময়সাপেক্ষ মামলার পথে যায় না। যায় মরিয়া হয়েই। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের আগে এই মামলার সম্ভাবনাগুলো অভিজ্ঞ আইনজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে এড়ানো যেত না?