ইএসআইসি-তে ৯৭ প্যারামেডিকেল ও নার্সিং স্টাফ

1440
0
nursing sister job

এমপ্লয়িজ স্টেট ইনশিওরেন্স কর্পোরেশনের অধীন পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন মেডিকেল এডুকেশন ইনস্টিটিউশন, হাসপাতাল ও ডিসপেনসারিতে ৯৭ জন প্যারামেডিকেল ও নার্সিং স্টাফ নিয়োগ করা হবে। নিচের যোগ্যতার যে-কোনো ভারতীয়রা আবেদন করতে পারবেন।

শূ্ন্যপদ বেতনক্রম: ক্রমিক সংখ্যা ১: জুনিয়র এমআরটি: ১ (অসংরক্ষিত)। ক্রমিক সংখ্যা ২: স্টাফ নার্স: ৬১ (অসংরক্ষিত ৩০, তপশিলি জাতি ১৪, তপশিলি উপজাতি ২, ওবিসি ১৫)। এইসবের মধ্যে ৬টি প্রাক্তন সেনাকর্মীদের জন্য সংরক্ষিত। ক্রমিক সংখ্যা ৩: ফার্মাসিস্ট (অ্যালোপ্যাথিক): ১৩ (অসংরক্ষিত ৫, তপশিলি জাতি ৩, ওবিসি ৫)। ক্রমিক সংখ্যা ৪: ইসিজি টেকনিশিয়ান: ৩ (তপশিলি জাতি ২, ওবিসি ১)। ক্রমিক সংখ্যা ৫: ল্যাব অ্যাসিস্ট্যান্ট: ৭ (অসংরক্ষিত ৩, তপশিলি উপজাতি ১, ওবিসি ৩)। এইসবের মধ্যে ১টি শারীরিক প্রতিবন্ধীদের জন্য সংরক্ষিত। ক্রমিক সংখ্যা ৬: ওটি অ্যাসিস্ট্যান্ট: ৭ (অসংরক্ষিত ৩, তপশিলি জাতি ২, ওবিসি ২)। এইসবের মধ্যে ১টি প্রাক্তন সেনাকর্মীদের জন্য সংরক্ষিত। ক্রমিক সংখ্যা ৭: মেডিকেল সোশ্যাল ওয়ার্কার: ৫ (অসংরক্ষিত ৪, ওবিসি ১)। এইসবের মধ্যে ১টি শারীরিক প্রতিবন্ধী ও ১টি প্রাক্তন সেনাকর্মীদের জন্য সংরক্ষিত।

বেতনক্রম: মূল বেতন জুনিয়র এমআরটি-র: পে লেভেল ২ অনুযায়ী ১৯৯০০-৬৩২০০ টাকা। স্টাফ নার্স: পে লেভেল ৭ অনুযায়ী ৪৪৯০০-১৪২৪০০ টাকা। ফার্মাসিস্ট (অ্যালোপ্যাথিক): পে লেভেল ৫ অনুযায়ী ২৯২০০-৯২৩০০ টাকা। ইসিজি টেকনিশিয়ান: পে লেভেল ৪ অনুযায়ী ২৫৫০০-৮১১০০ টাকা। ল্যাব অ্যাসিস্ট্যান্ট ও ওটি অ্যাসিস্ট্যান্ট: পে লেভেল ৩ অনুযায়ী ২১৭০০-৬৯১০০ টাকা। মেডিকেল সোশ্যাল ওয়ার্কার: পে লেভেল ৪ অনুযায়ী ২৫৫০০-৮১১০০ টাকা।

যোগ্যতা বয়সসীমা: জুনিয়র এমআরটি (পোস্ট কোড ৪৩): ১) ১০+২ বা সমতুল। ২) কোনো স্বীকৃত ইনস্টিটিউটে মেডিকেল রেকর্ড টেকনিশিয়ানে ৬ মাসের ট্রেনিং কোর্স অথবা কোনো হাসপাতালে রেকর্ড রেজিস্ট্রেশন অ্যান্ড স্ট্যাটিস্টিক্যাল সেকশনে অন্তত ৬ মাসের কাজের অভিজ্ঞতা। ৩) কম্পিউটারে কাজ চালানোর মতো জ্ঞান থাকতে হবে। বয়স হতে হবে ১৮-২৭ বছরের মধ্যে।

স্টাফ নার্স (পোস্ট কোড ০১): ১) জেনারেল নার্সিং অ্যান্ড মিডওয়াইফে ডিপ্লোমা বা সমতুল (পুরুষ নার্স)। ২) নার্সিং কাউন্সিলের রেজিস্টার্ড নার্স। বয়সের ঊর্ধ্বসীমা ৩৭ বছর।

ফার্মাসিস্ট অ্যালোপ্যাথিক (পোস্ট কোড ০৬): কোনো স্বীকৃত ইনস্টিটিউট থেকে ফার্মাসিতে ডিপ্লোমা সহ ফার্মাসি/ সিনিয়র সেকেন্ডারিতে ডিগ্রি এবং ফার্মাসি অ্যাক্ট ১৯৪৮-তে ফার্মাসিস্ট হিসেবে নাম নথিভুক্ত থাকতে হবে। বয়সের ঊর্ধ্বসীমা ৩২ বছর।

ইসিজি টেকনিশিয়ান (পোস্ট কোড ৪০): কোনো স্বীকৃত ইনস্টিটিউট থেকে সায়েন্স গ্র্যাজুয়েট সঙ্গে ইসিজি মেশিন সামলানোর এক বছরের অভিজ্ঞতা থাকলে অগ্রাধিকার অথবা সিনিয়র সেকেন্ডারি/ ১০+২ বা সমতুল সঙ্গে কোনো স্বীকৃত ইনস্টিটিউটে ইসিজি মেশিনে কাজ করার তিন বছরের অভিজ্ঞতা। বয়সের ঊর্ধ্বসীমা ৩২ বছর।

ল্যাব অ্যাসিস্ট্যান্ট (পোস্ট কোড ১৫): সিনিয়র সেকেন্ডারি/ ১০+২ বা সমতুল সঙ্গে এআইসিটিই স্বীকৃত কোনো ইনস্টিটিউট থেকে এমএলটিতে ডিপ্লোমা। বয়সের ঊর্ধ্বসীমা ৩২ বছর।

ওটি অ্যাসিস্ট্যান্ট (পোস্ট কোড ১৪): কোনো স্বীকৃত বোর্ড থেকে বিজ্ঞান সহ সিনিয়র সেকেন্ডারি/ ১০+২ বা সমতুল সঙ্গে কোনো স্বীকৃত হাসপাতালে ওটি-তে এক বছরের অভিজ্ঞতা। বয়সের ঊর্ধ্বসীমা ৩২ বছর।

মেডিকেল সোশ্যাল ওয়ার্কার (পোস্ট কোড ৪১): কেন্দ্র সরকার/ রাজ্য সরকার/ এআইসিটিই স্বীকৃত ইনস্টিটিউট থেকে সোশ্যাল ওয়ার্কে ডিগ্রি/ ডিপ্লোমা। ফ্যামিলি প্ল্যানিং/ সোশ্যাল ওয়ার্ক/ হেলথ এডুকেশন/ ট্রেনিংয়ে এক বছরের অভিজ্ঞতা থাকলে অগ্রাধিকার। বয়সের ঊর্ধ্বসীমা ৩৭ বছর।

সবক্ষেত্রেই তপশিলি জাতি/ উপজাতি, ওবিসি, শারীরিক প্রতিবন্ধী ও প্রাক্তন সেনাকর্মীরা সরকারি নিয়ম অনুযায়ী বয়সের ঊর্ধ্বসীমায় ছাড় পাবেন।

প্রার্থী বাছাই পদ্ধতি: লেখা পরীক্ষার মাধ্যমে প্রার্থী বাছাই করা হবে। শুধুমাত্র জুনিয়র মেডিকেল রেকর্ড টেকনিশিয়ানের ক্ষেত্রে লেখা পরীক্ষা ও কম্পিউটার স্কিল টেস্টের মাধ্যমে প্রার্থী বাছাই করা হবে। লেখা পরীক্ষায় মাল্টিপল চয়েস অবজেক্টিভ টাইপের প্রশ্ন থাকবে। ১০০টি প্রশ্ন থাকবে টেকনিক্যাল প্রফেশনাল/ বিষয়/ পোস্ট এবং ২৫টি প্রশ্ন থাকবে অ্যাপ্টিটিউড/ জেনারেল অ্যাওয়্যারনেস/ জেনারেল ইন্টেলিজেন্স/ অ্যারিথমেটিক এবিলিটি। মোট ১২৫ নম্বরের পরীক্ষা, সময় ২ ঘণ্টা। নেগেটিভ মার্কিং থাকবে বিষয়ে।

আবেদনের ফি: ৫০০ টাকা। তপশিলি জাতি/ উপজাতি, শারীরিক প্রতিবন্ধী, প্রাক্তন সেনাকর্মী, ডিপার্টমেন্টাল প্রার্থী ও মহিলা প্রার্থীদের ক্ষেত্রে ২৫০ টাকা (লেখা পরীক্ষায় বসলে ব্যাঙ্ক চার্জ বাদে ২৫০ টাকা ফেরত দেওয়া হবে)। ইন্টারনেট ব্যাঙ্কিং/ ডেবিট কার্ড/ ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে ফি দেওয়া যাবে।

আবেদনের পদ্ধতি: www.esic.nic.in ওয়েবসাইটে গিয়ে অনলাইন আবেদন করতে পারবেন। বৈধ ইমেল আইডি ও মোবাইল নম্বর থাকতে হবে। সরাসরি https://cdn.tcsion.com/EForms/html/form58861/Instruction.html লিঙ্কে গিয়েও আবেদন করা যাবে। অনলাইন আবেদন করার আগে সম্প্রতি তোলা পাসপোর্ট মাপের রঙিন ছবি (৪.৫×৩.৫ সেন্টিমিটার), স্বাক্ষর (কালো কালি), বা হাতের বুড়ো আঙুলের ছাপ, বিজ্ঞপ্তিতে দেওয়া নির্দিষ্ট বয়ানের ডিক্লারেশন স্ক্যান করে রাখতে হবে। অনলাইন আবেদন করার সময় নির্দিষ্ট স্থানে আপলোড করতে হবে। অনলাইন আবেদন করা যাবে ২১ জানুয়ারি ২০১৯ তারিখ পর্যন্ত। অন্যান্য প্রাসঙ্গিক তথ্য উপরোক্ত ওয়েবসাইট থেকে জানা যাবে।