ভালো সিভি লেখার গুরুত্বপূর্ণ দশটি নিয়ম

1418
0

প্রথমেই বলে রাখা প্রয়োজন সিভি অর্থাৎ ক্যারিকুলাম ভিটা কর্মক্ষেত্রে তোমার পরিচয় পত্র, বা তোমার চাকরি পাওয়ার সাফল্যের প্রথম এবং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ধাপ।তাই একটি সিভি তৈরী করার আগে অবশ্যই কিছু জিনিস মেনে চলা উচিত। দেখে নেওয়া কী, কী নিয়ম অনুসরণ করে একটি ভালো সিভি তৈরী করা যায়।

১) একটি ভালো কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠানে কোনো ভালো পদে নিয়োগের সময় অসংখ্য সিভি জমা পরে, স্বাভাবিকভাবেই, কর্মপ্রদানকারীরা প্রথমেই অসংখ্য সিভি থেকেই প্রথমেই কিছু সিভি শর্টিং করে নেন। তাই তোমার সিভিটি অবশ্যই যেন দেখতে আকর্ষণীয়, টু দি পয়েন্ট হয়। কোনোভাবেই পড়তে বা দেখতে যেন বিরক্তি না লাগে।

২) একটি সিভিতে অনেক কয়টি পার্ট বা বিভাগ থাকে, তার মধ্যে তোমার পার্সোনাল ডিটেলস, একাডেমিক্যাল ডিটেলস, ওয়ার্কিং এক্সপেরিয়েন্স ডিটেলস থাকে। এটা মনে রাখা দরকার কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠানের সবথেকে বেশি প্রয়োজন তোমার যোগ্যতা এবং কাজের অভিজ্ঞতার কথা। তাই  প্রথমে তোমার সামান্য ইন্ট্রোডাকশন দিয়ে নিজের স্কিল এবং ওয়ার্কিং ডিটেলস দেওয়াই ভালো। শেষের দিকে তোমার পার্সোনাল ডিটেলস আস্তে পারে।

৩) যে কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠানে বা যে ধরণের কাজের জন্য তুমি আবেদন করবে, সেই কোম্পানি, প্রতিষ্ঠান বা কাজ সম্পর্কে আগে ভালো করে স্টাডি করে নেওয়া দরকার। এরপর সেই অনুযায়ী তোমার কি স্কিল আছে সেটা সিভি তে তুলে ধরো।

৪) সিভিতে তোমার ওয়ার্কিং ডিটেলস দেওয়ার সময় চেষ্টা কারো সংক্ষেপে তোমার কাজের অভিজ্ঞতার বর্ণনা দেওয়ার। ধরো, তুমি কোনো কোম্পানির সেলস এগজিকিউটিভ ছিলে, সেখানে কি সেল, টার্গেট কতো ছিল, তুমি কিরকম পূরণ করতে সেটা উল্লেখ করে দেওয়া ভালো। বা তুমি কোনো কোম্পানিতে ইন বাউন্ড কল সেন্টার জব কারো, সেখানে তুমি কোন ধরণের কাস্টোমার কল রিসিভ করতে, কোন অফার কিভাবে জানাতে সেটা উল্লেখ করলে ভালো হয়।

৫) সিভি মানে এই নয় যে,  অনেক পাতা বা অনেক বিস্তারিত লিখলে প্রাধান্য পাবে, বরং সহজ কোথায় সংক্ষেপে বিবরণ দিলে তা আরো বেশি আকর্ষণীয় হয়।

৬) সিভি লেখার ক্ষেত্রে খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো – সত্য ও সঠিক ইনফরমেশন দেওয়া। নিজের সম্পর্কে খুব বাড়িয়ে বা অতিরঞ্জিত করে বলে দিয়ে লাভ নেই।

৭) সিভিতে অবশ্য তুমি যেখানে আবেদন করছো, বা যেই কাজের জন্য আবেদন করছো তার জন্য নিজে কতটা প্রস্তুত বা তোমার তরফ থেকে কী করলে সেই প্রতিষ্ঠানে উন্নতি হতে সে ব্যাপারে নিজের একটি মতামত অবশ্যই দেবে।

৮) কোনো জায়গায় সিভি জমা দেওয়ার আগে অবশ্যই দেখে নেবে সেটা আপ টু ডেট আছে কিনা।

৯) কোনোভাবেই যেন বানান ভুল বা গ্রামাটিক্যাল ভুল না হয়। এটা সংশ্লিষ্ট কর্মপ্রদানকারীর কাছে খুব খারাপ প্রভাব ফেলে।

১০) সিভি তে কোনোরকম উটকো বা চোখে লাগা রং, ডিজাইন ব্যবহার করবে না।