ইতিহাসের দিনলিপিঃ ১১ এপ্রিল

schedule
2018-04-11 | 13:52h
update
2018-04-12 | 08:19h
person
জীবিকা দিশারী
domain
জীবিকা দিশারী

১৮৬৯: কস্তুরবা গান্ধী জন্মগ্রহণ করেন গুজরাটের পোরবন্দরে (এপ্রিল ১৮৬৯- ফেব্রুয়ারি ১৯৪৪)। মাত্র ১৪ বছর বয়সে বিয়ে হয় মোহনদাস করমচাঁদ সঙ্গে।তাঁদের পাঁচ সন্তান। ১৯০৪ সালে প্রথম সর্বসমক্ষে আসেন দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রতিবাদী রূপে। এমনকী তাকে কারাবরণও করতে হয়। জেলে থাকাকালীন অন্যান্য নারী বন্দিদের লেখাপড়ায় উত্‌সাহিত করেন। ১৯১৪ সালে ভারতে ফিরে আসেন। প্রত্যক্ষভাবে স্বাধীনতা আন্দোলনে অংশগ্রহণ।১৯১৭ সালে বিহারের চম্পারণে নারী জাগরণে অগ্রণী ভূমিকা নেন। ১৯২১ সালে সত্যাগ্রহ আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেন। ভারত ছাডো. আন্দোলনেও তাঁর ভূমিকা উল্লেখযোগ্য। এই আন্দোলনের সময়েই ১৯৪৪ সালে বন্দি থাকা অবস্থায় পুনার আাগা খাঁ প্যালেসে ২২ ফেব্রুয়ারি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। স্বামী মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধীর সঙ্গে একত্রিতভাবে ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রাম আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার জন্য স্মরণীয়।

১৮৮৭: চিত্রশিল্পী যামিনী রায় জন্মগ্রহণ করেন বাঁকুড়ায় ( এপ্রিল ১৮৮৭- এপ্রিল ১৯৭২)। পিতা রামতারণ রায়, মাতা নগেন্দ্রবালা দেবী। ১৯০৩ সালে কলকাতার `গভর্মেন্ট স্কুল অফ আর্টস অ্যান্ড ক্র্যাফটস’- শিল্পশিক্ষা শুরু। লোকশিল্পকলা ভাবনায় নতুন শিল্পভাষার সন্ধান করেন এবং তাঁর নিজস্ব ঘরানা তৈরি হয়। ১৯৩৮ সালে কলকাতার ব্রিটিশ ইন্ডিয়া স্ট্রিটে তাঁর আঁকা ছবির প্রথম প্রদর্শনী হয়। ১৯৪৬ সালে লন্ডনে ও ১৯৫৩ সালে নিউ ইয়র্কে তাঁর চিত্র প্রদর্শনী হয়। ১৯৫৪ সালে তিনি পদ্মবিভূষণ পান। ১৯৫৬ সালে ললিত কলা অকাদেমীর `ফেলো’ নির্বাচিত। ১৯৬৭ সালে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় তাঁকে সাম্মানিক ডি লিট উপাধি প্রদান করে। প্রথমে কলকাতার বাগবাজারে থাকলেও পরবর্তী কালে বালিগঞ্জ প্লেস-এর ডিহি শ্রীরামপুর লেনে ঠিাকান বদল করেন। বাগবাজারে থাকাকালীন স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ এসেছিলেন তাঁকে শান্তিনিকেতনে আমন্ত্রণ জানাতে। যদিও তিনি যাননি।

Advertisement

১৯০৪: বিখ্যাত গায়ক ও অভিনেতা কুন্দনলাল সায়গল জন্মগ্রহণ করেন (১১ এপ্রিল ১৯০৪- জানুয়ারি ১৯৪৭) জম্মু ও কাশ্মীরের নওয়াসেহর নামক স্থানে এক কাশ্মীরে পরিবারে। কে এল সায়গল নামেই বেশি পরিচিত।  সংগীত অনুরাগী মা-র কাছে তালিম নেন ভজন, কীর্তন প্রভৃতি সংগীত। ছোটবেলা থেকেই গান ও অভিনয়ের প্রতি ছিল ঝোঁক। পডাড় অসমাপ্ত রেখে ছোটবেলা থেকেই নানান ভাবে অর্থ উপার্জনের চেষ্টা করেন। কখনও রেলের টাইকিপার. কখনো রেমিংটন কোম্পানির টাইপমেশিন বিক্রি। তার ফলে বিভিন্ন প্রানেত ঘোরার সুযোগ। উপস্থিত হন লাহোরে। সেখানে পরিচয় হয় ব্যবসায়ী,সংগীত অনুরাগী মেহেরচাঁদ জৈনের সঙ্গে। এই বন্ধু তাকে অনুপ্রেরণা দেন সংগীতের অনুশীলন করতে। ঘটনাক্রমে ১৯৩০ সালে কলকাতায় পরিচয় হয় সে সময়ের বিখ্যাত গায়ক রায়চাঁদ বড়ালের সঙ্গে। তারপর একে একে পঙ্কজ মল্লিক, কৃষ্ণচন্দ্র দে প্রভৃতি দিকপাল সংগীতকারদের সংস্পর্শে আসেন। নিউ থিয়েটার্সে যোগ গেন ২০০ টাকা বেতনে। সুন্দর বাংলা বলতে পারতেন। সুযোগ আসে বাংলা ছবিতে গান ও অভিনয় করার। তাঁর অনেকগুলি বাংলা গান আজও জনপ্রিয়। রবীন্দ্রনাথ তাঁর গানের প্রশংসা করেছিলেন। শুধু সংগীতকার হিসেবেই নয় অভিনয়ের পাশাপাশি বহু বিখ্যাত ছবিতেও অভিনয় করেছেন। বাংলা ছবির পথ ছেডেড় তিনি বোম্বাই পাডিড় দেন।  কিশোরকুমার, লতা মঙ্গেশকর, মুহম্মদ রফি সহ বহু বিখ্যাত গায়কের সঙ্গেই তিনি গান করেছেন। তাঁর অভিনীত চণ্ডীদাস দেখে মুগ্ধ হয়ে এক সময় লতা মঙ্গেশকর তাঁকে বিয়ে করতে রাজি হয়েছিলেন। মোট ২৮টি হিন্দি ছবি, সাতটি বাংলা ছবি ও ১টি তামিল ছবিতেও অভিনয় করেছেন। বহু তথ্যচিত্রেও তঁার অবদান রয়েছে। তাঁর কণ্ঠের হিন্দি বাংলা বহু সংগীত আজও সমানভাবে জনপ্রিয়। তাঁকে হিন্দি চলচ্চিত্র জগতের প্রথম সুপারস্টার হিসেবে গণ্য করা হয়।

১৯১৯:  ইন্টারন্যাশনাল লেবার অর্গানাইজেশন স্থাপিত হয়। শ্রম সমস্যা, আন্তর্জানিক শ্রম মান, সামাজিক সুরক্ষা, কাজের সুযোগ প্রভতি বিষয় নিয়ে এই সংস্থা কাজ করে। ১৯৬৯ সালে সংস্থাটি নোবেল শান্তি পুরস্কার পায়।

 

Advertisement

Imprint
Responsible for the content:
jibikadishari.co.in
Privacy & Terms of Use:
jibikadishari.co.in
Mobile website via:
WordPress AMP Plugin
Last AMPHTML update:
02.05.2024 - 06:29:05
Privacy-Data & cookie usage: