ইন্টার্ন টিচার নিয়োগের প্রস্তাবে উঠছে একাধিক প্রশ্ন

schedule
2019-01-18 | 09:09h
update
2019-01-18 | 09:09h
person
জীবিকা দিশারী
domain
জীবিকা দিশারী

স্কুলে শিক্ষক-শিক্ষিকার ঘাটতি যেসব জায়গায় আছে সেখানে ইন্টার্ন নিয়োগের প্রস্তাব বিবেচনা করছে রাজ্য সরকার। তাতে শিক্ষক পদপ্রার্থী প্রশিক্ষিত যুবসমাজ ক্ষুব্ধ, উঠছে নানা প্রশ্নও। যেমন, ট্রেন্ড না হওয়া সত্ত্বেও ‘ইন্টার্ন’ টিচাররা দুবছর পড়ানোর সুযোগ কীভাবে পাবেন? এনসিটিইর নির্ধারিত আবশ্যিক ন্যূনতম শিক্ষামান না থাকা সত্ত্বেও কীভাবে নিয়মিত শিক্ষকের জায়গায় এভাবে পড়ানো যাবে?

বলা হচ্ছে, যোগ্যতা দরকার প্রাথমিকের ক্ষত্রে কলেজ পাশ অর্থাৎ গ্র্যাজুয়েশন ও মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিকের ক্ষেত্রে অনার্স বা মাস্টার ডিগ্রি। তাহলে গ্র্যাজুয়েশনে/মাস্টার ডিগ্রিতে (অনার্সের আলাদা কোনো স্থান নেই, তা গ্র্যাজুয়েশন হিসাবেই গ্রাহ্য হয়, অতএব উচ্চমাধ্যমিকে পড়ানোর জন্য নয়) ন্যূনতম ৫০% নম্বর, শিক্ষক-শিক্ষণ ট্রেনিং ইত্যাদির নিয়ম তো অর্থহীন হয়ে যায়।

Advertisement

বলা হয়নি এটা সাময়িক ব্যবস্থা (যদিও সাময়িক ভাবেও এনসিটিই তা অনুমোদন করবে কিনা সে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে), অতএব ধরে নেওয়া যায় এটাও একটা ধারাবাহিক প্রক্রিয়া হবে। অর্থাৎ এও ধরে নেওয়া যায় যে প্রতি বছর বেশ কয়েক হাজার ইন্টার্ন শিক্ষক-শিক্ষিকা নিযুক্ত হবেন। তাহলে ধারাবাহিকভাবে নিয়মিত শিক্ষক নিয়োগ কম রাখতে হবে। এভাবে শিক্ষকের ঘাটতি পূরণ করলে একমাত্র পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে এনসিটিইর আইনে ছাত্র-শিক্ষক অনুপাতের শর্ত রক্ষা করা হল বলে মেনে নেওয়া হবে কি?

বলা হচ্ছে, যেসব জেলায় শিক্ষকের ঘাটতি আছে সেসব জেলার কথা ভেবে এই প্রকল্প চালুর প্রস্তাব ভাবা হচ্ছে। তাহলে স্থানগত বৈষম্য তৈরি হবে না তো ? কিংবা একই শাখায় পড়ে কেউ-কেউ ইন্টার্নশিপের সুযোগ পাবেন, কেউ-কেউ সেরকম কোনো সুযোগ পাবেন না এই বৈষম্য গড়ে উঠবে।
ওই দুই বছর তাঁরা অন্য কোনো কাজ বা উপার্জন করতে পারবেন কি (কোনো পুরো সময়ের সরকারি চাকরি বা কোর্স করলে অনুমতি ছাড়া অন্য কোনো চাকরি বা কোর্স করা যায় না), সেজন্য প্রয়োজনে আইন বদল করা যাবে কি?
ভবিষ্যতে যাঁরা শিক্ষকতার জীবিকা চান না, কিংবা ইঞ্জিনিয়ারিং/টেকনোলজি শাখায় পড়েন তাঁরা স্কুলে পড়িয়ে সময় নষ্ট করবেন কেন? একইভাবে, যাঁরা ‘ইন্টার্নশিপ’ করার সুযোগ পাবেন তাঁরা কেন ওই দুয়েক বছর নষ্ট করবেন শিক্ষক-শিক্ষণ বা অন্য কোনো পড়ার চেষ্টা না করে বা আরও ভালো আয়ের সুযোগ না নিয়ে?

ন্যূনতম মজুরি আইনে মাসে ২০০০/২৫০০ টাকা বেতন বা ভাতা দেওয়া আটকাবে না তো? বলা হচ্ছে, এই ‘ইন্টার্নশিপ’-এর পরে সার্টিফিকেট দেওয়া হবে, এবং সেই সার্টিফিকেটের জেরে পরে স্কুল সার্ভিসের বা পিএসসির মাধ্যমে শিক্ষক-শিক্ষিকা নিয়োগের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন। কিন্তু এনসিটিইর আইনে এমন কোনো সার্টিফিকেটের গ্রাহ্যতা বা অগ্রাধিকার কীভাবে সম্ভব?

ফলত, এই নিয়মের আদৌ কোনো গ্রহণযোগ্যতা বা প্রাসঙ্গিকতা আছে কিনা তা নিয়ে বহুল প্রশ্ন উঠছে। পেশাগত অনেক ক্ষেত্রে এরকম ইন্টার্নশিপের ব্যবস্থা থাকে ঠিকই কিন্তু বিশেষ করে স্কুল শিক্ষা স্তরে এরকম ব্যবস্থা আদৌ কতটা কার্যকরী হবে সে নিয়েও তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। ছাত্র-ছাত্রী, পরীক্ষার্থী থেকে শুরু করে সমস্ত শিক্ষামহলে বহুল প্রতিক্রিয়া দেখা দিলেও, এ ব্যাপারে এখনও উচ্চশিক্ষা দপ্তর থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া মেলেনি।

 

 

 

SSC, SSC Recruitment, SSC Teacher Recruitment, Intern Teacher Recruitment

Advertisement

Imprint
Responsible for the content:
jibikadishari.co.in
Privacy & Terms of Use:
jibikadishari.co.in
Mobile website via:
WordPress AMP Plugin
Last AMPHTML update:
24.04.2024 - 00:04:38
Privacy-Data & cookie usage: