প্রকাশিত হল ২০১৮ সালের উচ্চমাধ্যমিকের ফল, ৫৮ দিনের মাথায়। সিবিএসই বোর্ডের পর এবার উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদেও প্রথম হল কলা বিভাগ থেকে। ৪৯৬ নম্বর (৯৯.২%) পেয়ে প্রথম হয়েছেন জলপাইগুড়ি জেলা স্কুলের কলা বিভাগের ছাত্র গ্রন্থন সেনগুপ্ত। ১০+২ পদ্ধতি চালু হওয়ার পর এই প্রথম কলা বিভাগ থেকে কেউ প্রথম হলেন। দ্বিতীয় তমলুক হ্যামিল্টন হাই স্কুলের ঋত্বিক কুমার সাহু, প্রাপ্ত নম্বর ৪৯৩ (৯৮.৬%)। ৪৯০ নম্বর (৯৮%) পেয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছেন দুজন: বর্ধমান মিউনিসিপ্যাল হাই স্কুলের তিমিরবরণ দাস ও পশ্চিম মেদিনীপুরের রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যাভবনের শাশ্বত রায়। ৪৮৭ (৯৭.৪%) নম্বর পেয়ে চতুর্থ স্থানে ৪ জন: বর্ধমান মিউনিসিপ্যাল হাই স্কুলের অর্কদীপ গাইন, সিঙ্গুর মহামায়া হাই স্কুলের দিব্যদূত শাসমল, কোচবিহারের মণীন্দ্রনাথ হাই স্কুলের জয়দীপ ভৌমিক। ৪৮৬ নম্বর (৯৭.২%) পেয়ে পঞ্চম হয়েছেন ১২ জন— মেয়েদের মধ্যে যুগ্মভাবে প্রথম যাদপুর বিদ্যাপীঠের অভ্রদীপ্তা ঘোষ ও রানীবাঁধ হাই স্কুলের অনিমা গড়াই। এছাড়াও ওই নম্বর পেয়ে পঞ্চম হয়েছেন হুগলির পাণ্ডুয়া শশীভূষণ সাহা হাই স্কুলের সরিফুল ইসলাম, বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর হাই স্কুলের সুতনয় ভট্টাচার্য, বহরমপুর জে এন অ্যাকাডেমির শুভাশিস ঘোষ, বীরিভূমের দুবরাজপুর শ্রী শ্রী সারদা বিদ্যাপিঠের রমিক দত্ত, নদিয়ার স্প্রিংডেল হাই স্কুলের অনিরুদ্ধ দত্ত, পুরুলিয়া জেলা স্কুলের অনুভব চক্রবর্তী, কোলাঘাট থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্ট হাই স্কুলের শৌভিক রাজ মাইতি। কলকাতার পাথফাইন্ডার পাবলিক স্কুলের অরিত্র রায়, বাঁকুড়ার ওন্দা হাই স্কুলের বিশাল গঙ্গোপাধ্যায়। এভাবে এবারের উচ্চমাধ্যমিকে প্রথম দশে স্থান পেয়েছেন ৮০ জন: ৬ষ্ঠ ১০ জন, ৭ম ৪ জন, ৮ম ১২ জন, ৯ম ১৫ জন, ১০ম ১৬ জন।
অলচিকি হরফের পরীক্ষার্থীদের মধ্যে প্রথম সিউড়ির সীমা সোরেন। পাশের হার সবথেকে বেশি (৯০%-এর বেশি) পূর্ব মেদিনীপুর ও কালিম্পঙে। এবছর পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৮ লাখ ২০ হাজার ২৬। পাশের হার ৮৩.৭৫ শতাংশ। ছেলেদের থেকে মেয়েরা এগিয়ে ১৮ জেলায়। বিস্তারিত জানা যাবে http://wbchse.nic.in লিঙ্কে ক্লিক করে।
আগামী বছরের উচ্চমাধ্যমিক শুরু হবে ২৬ ফেব্রুয়ারি, চলবে ১৩ মার্চ পর্যন্ত।