উচ্চমাধ্যমিক ছেলেদের আর্মি, এয়ারফোর্স ও নেভিতে ৪১৮ চাকরি

1649
0
NDA & NA

ইউনিয়ন পাবলিক সার্ভিস কমিশনের ন্যাশনাল ডিফেন্স অ্যাকাডেমি অ্যান্ড ন্যাভাল অ্যাকাডেমি এগজামিনেশন (ওয়ান) ২০২০-এর মাধ্যমে আর্মি, নেভি এবং এয়ারফোর্স শাখায় ৪১৮ জন অবিবাহিত তরুণকে বিই/ বিটেক কোর্স পড়িয়ে অফিসার হিসাবে নিয়োগ করা হবে। চাকরির শুরুতে ট্রেনিং দিয়ে ৪ বছরের বিটেক কোর্স করিয়ে জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি দেওয়া হবে। নিচের যোগ্যতার ভারতীয় অবিবাহিত তরুণরা আবেদন করতে পারবেন। ইউপিএসসির এই বিজ্ঞপ্তির এগজামিনেশন নোটিস নম্বর: 04/2020-NDA-I.

শূন্যপদ: ন্যাশনাল ডিফেন্স অ্যাকাডেমি: শূন্যপদ ৩৭০ (২০৮ আর্মি, ৪২ নেভি, ১২০ এয়ারফোর্স)। ন্যাভাল অ্যাকাডেমি: শূন্যপদ ৪৮।

শিক্ষাগত যোগ্যতা: (১) ন্যাশনাল ডিফেন্স অ্যাকাডেমির আর্মি শাখায় ভর্তি হওয়ার জন্য স্টেট এডুকেশন বোর্ড অথবা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দ্বাদশ শ্রেণি (১০+২) বা সমতুল পাশ করে থাকতে হবে। (২) ন্যাশনাল ডিফেন্স অ্যাকাডেমির ন্যাভাল উইং, এয়ার ফোর্স এবং ইন্ডিয়ান ন্যাভাল অ্যাকাডেমির ১০+২ ক্যাডেট এন্ট্রি স্কিমে ভর্তি হতে হলে অঙ্ক এবং ফিজিক্স নিয়ে স্টেট এডুকেশন বোর্ড অথবা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দ্বাদশ শ্রেণি (১০+২) বা সমতুল পাশ হতে হবে। উপরোক্ত সবকটি ক্ষেত্রে ভর্তির জন্য এবারের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীরাও শর্তসাপেক্ষে আবেদন করতে পারবেন।

বয়সসীমা: জন্মতারিখ ২ জুলাই ২০০১ থেকে ১ জুলাই ২০০৪-এর মধ্যে হতে হবে।

দৈহিক মাপজোক: আর্মি, এয়ারফোর্স এবং নেভি তিন ক্ষেত্রেই উচ্চতা এবং বয়সের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ওজন হতে হবে। যেমন উচ্চতা ১৫৭ সেন্টিমিটার হলে ১৫-১৬ বছরের ক্ষেত্রে ওঝন ৪৩ কেজি, ১৬-১৭ বছরের ক্ষেত্রে ওজন ৪৫ কেজি, ১৭-১৮ বছরে ক্ষেত্রে ওজন ৪৭ কেজি ও ১৮-১৯ বছরের ক্ষেত্রে ওজন ৪৮ কেজি। ন্যূনতম উচ্চতা হওয়া চাই ১৫৭.৫ সেমি। এয়ারফোর্সের ক্ষেত্রে ন্যূনতম উচ্চতা ১৬২.৫ সেমি। গোর্খা এবং উত্তর-পূর্ব পার্বত্য এলাকার প্রার্থীরা সাধারণভাবেই উচ্চতায় ৫ সেমি পর্যন্ত ছাড় পাবেন। উচ্চতা, বয়স এবং ওজন সংক্রান্ত একটি ছক www.upsc.gov.in ওয়েবসাইটে এনডিএ-র বিজ্ঞপ্তিতে পাওয়া যাবে।

এয়ারফোর্সে পাইলটের পদের জন্য আগ্রহী হলে পায়ের দৈর্ঘ্য ন্যূনতম ৯৯ সেমি এবং সর্বাধিক ১২০ সেমি হতে হবে। থাইয়ের দৈর্ঘ্য হতে হবে সর্বাধিক ৬৪ সেমি। বসে উচ্চতা ন্যূনতম ৮১.৫০ সেমি এবং সর্বাধিক ৯৬ সেমি।

উপরোক্ত সবকটি শাখায় ভর্তির ক্ষেত্রে বুকের ছাতি ফুলিয়ে ৮১ সেমির কম হলে চলবে না এবং অন্তত ৫ সেমি ফোলাতে পারতে হবে। মানসিক এবং শারীরিকভাবে সুস্থ হতে হবে। চশমা পরে বা চশমা ছাড়া দৃষ্টিশক্তি ভালো চোখে এবং খারাপ চোখে যথাক্রমে ৬/৬ এবং ৬/৯ হতে হবে। ন্যাভাল শাখায় চাকরির ক্ষেত্রে চশমা ছাড়া ৬/৬, ৬/৯ এবং চশমা পরে ৬/৬, ৬/৬ হতে হবে।

প্রার্থী বাছাই পদ্ধতি: লিখিত পরীক্ষা, ইন্টারভিউ ও মেডিকেল পরীক্ষার মাধ্যমে প্রার্থী বাছাই করা হবে। প্রার্থী বাছাইয়ের লিখিত পরীক্ষা হবে ১৯ এপ্রিল ২০২০ তারিখে। কোর্স শুরু হবে ২ জানুয়ারি ২০২১ তারিখ থেকে।

পরীক্ষার ধরন: লিখিত পরীক্ষা হবে অটিজেক্টিভ টাইপ প্রশ্নে, দুটি পার্টে। পার্ট-ওয়ানে থাকবে ম্যাথমেটিক্স (কোড নম্বর ০১)। সর্বাধিক নম্বর ৩০০। সময় আড়াই ঘণ্টা। পার্ট টুতে ৬০০ নম্বরের জেনারেল এবিলিটি টেস্ট (কোড নম্বর ০২)। সময় আড়াই ঘণ্টা। নেগেটিভ মার্কিং থাকবে, প্রতি ভুল উত্তর করার জন্য এক-তৃতীয়াংশ (০.৩৩), মানে প্রতি ৩টি ভুলের জন্য ১ নম্বর। কোনো প্রশ্ন ছেড়ে দিলে তার জন্য নম্বর দেওয়া হবে না, কোনো নম্বর কাটাও যাবে না।

সিলেবাস: ম্যাথমেটিক্সের মধ্যে অ্যালজেবরা, ম্যাট্রিক্স এবং ডিটারমিন্যান্টস, ত্রিকোণমিতি, অ্যানালিটিক্যাল জিওমেট্রি অব টু অ্যান্ড থ্রি ডাইমেনশনস, ডিফারেনশিয়াল ক্যালকুলাস, ইন্টিগ্রাল ক্যালকুলাস অ্যান্ড ডিফারেনশিয়াল ইকোয়েশনস, ভেক্টর অ্যালজেবরা, স্ট্যাটিস্টিক্স অ্যান্ড প্রোব্যাবিলিটি থাকবে। জেনারেল এবিলিটি টেস্টের আবার দুটি ভাগ: পার্ট-এ এবং পার্ট-বি। পার্ট ‘এ’-তে ২০০ নম্বরের ইংরেজি। পার্ট ‘বি’-তে থাকবে ৪০০ নম্বরের জেনারেল নলেজ। জেনারেল নলেজের মোট ছটি সেকশন। সেকশন ‘এ’ – ফিজিক্স, সেকশন ‘বি’- কেমিস্ট্রি, সেকশন ‘সি’ – জেনারেল সায়েন্স, সেকশন ‘ডি’- হিস্ট্রি অ্যান্ড ফ্রিডম মুভমেন্ট, সেকশন ‘ই’ – জিওগ্রাফি, সেকশন ‘এফ’ – কারেন্ট ইভেন্টস। সেকশন এ, বি, সি, ডি, ই এবং এফে থাকবে যথাক্রমে ২৫ শতাংশ, ১৫ শতাংশ, ১০ শতাংশ, ২০ শতাংশ এবং ১০ শতাংশ নম্বর। পরীক্ষার তিন সপ্তাহ আগে পরীক্ষার অ্যাডমিশন সার্টিফিকেট ইস্যু করা হবে। প্রার্থীদের আলাদাভাবে ডাকযোগে অ্যাডমিশন সার্টিফিকেট পাঠানো হবে না। www.upsc.gov.in ওয়েবসাইট থেকে ই অ্যাডমিশন সার্টিফিকেট ডাউনলোড করতে হবে।

এরপর থাকবে ইন্টেলিজেন্স এবং পার্সোন্যালিটি টেস্ট। মোট ৯০০ নম্বরের। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীরাই কেবলমাত্র ডাক পাবেন। লিখিত পরীক্ষার ফল ঘোষণার পর ইন্টারভিউয়ের দিনক্ষণ এবং কেন্দ্র জানতে নিচের ওয়েবসাইটে নজর রাখতে হবে- www.joinindianarmy.nic.in, www.joinindiannavy.gov.in, www.careerairforce.nic.in ইন্টারভিউয়ের দিন প্রত্যেক প্রার্থীকে ম্যাট্রিকুলেশন বা সমতুল পরীক্ষার সার্টিফিকেট সঙ্গে নিয়ে যেতে হবে। ইন্টারভিউয়ে উত্তীর্ণ প্রার্থীদের ম্যাট্রিকুলেশন সার্টিফিকেট, দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষার মার্কশিট এবং সার্টিফিকেট সার্ভিস সিলেকশন ইন্টারভিউয়ের দিন যদি কোনো প্রার্থী ম্যাট্রিকুলেশন/ দ্বাদশ শ্রেণির সার্টিফিকেট, মার্কশিট জমা দিতে না পারেন সেক্ষেত্রে প্রার্থীকে ওইসব সিলেকশন বোর্ডের কাছে জমা দিতে হবে। ওইদিনই নথি যাচাই করে দেখার পর সেগুলি ফেরত দিয়ে দেওয়া হবে।

ইন্টারভিউয়ের দিন যদি কোনো প্রার্থী ম্যাট্রিকুলেশন/ দ্বাদশ শ্রেণির সার্টিফিকেট, মার্কশিট জমা দিতে না পারেন সেক্ষেত্রে প্রার্থীকে ওইসব নথির প্রত্যয়িত প্রতিলিপি পাঠাতে হবে এই ঠিকানায় ‘Directorate General of Recruiting, Army HQ, West Block III, R K Puram, New Delhi 110066’. ন্যাভাল অ্যাকাডেমির প্রার্থীদের ক্ষেত্রে নথি পাঠানোর ঠিকানা ‘Naval Headquarters, DMPR, OI&R Section, Room No 204, ‘C’ Wing, Sena Bhavan, New Delhi 110011’. নথি পৌঁছনো চাই নির্দিষ্ট তারিখের মধ্যে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে উপরোক্ত ঠিকানায় নথি না পৌঁছলে ওই প্রার্থীর প্রার্থিপদ বাতিল করা হবে।

পরীক্ষাকেন্দ্র: কলকাতা, আগরতলা, আহমেদাবাদ, আইজল, এলাহাবাদ, বেঙ্গালুরু, বরেলি, ভোপাল, চণ্ডিগড়, চেন্নাই, কটক, দেরাদুন, দিল্লি, ধারওয়াড়, দিসপুর, গ্যাংটক, হায়দরাবাদ, ইম্ফল, ইটানগর, জয়পুর, জম্মু, জোরহাট, কোচি, কোহিমা, লক্ষ্ণৌ, মাদুরাই, মুম্বই, নাগপুর, পানাজি (গোয়া), পাটনা, পোর্ট ব্লেয়ার, রায়পুর, রাঁচি, সম্বলপুর, শিলং, শিমলা, শ্রীনগর, তিরুবনন্তপুরম, তিরুপতি, উদয়পুর, বিশাখাপত্তনম। অনলাইন আবেদন করার সময় পরীক্ষাকেন্দ্র বাছাই করতে হবে।

পরীক্ষার ফি: ১০০ টাকা। স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার যে-কোনো শাখায় নগদ জমা দেওয়া যাবে। এছাড়া নেট ব্যাঙ্কিং/ ভিসা/ মাস্টার কার্ড/ ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমেও ফি জমা দেওয়া যাবে। নগদে টাকা জমা দিতে অনলাইন রেজিস্ট্রেশনের দ্বিতীয় পার্টে ‘পে বাই ক্যাশ’ অপশনে গিয়ে একটি স্লিপ পাওয়া যাবে, সেটির প্রিন্ট নিয়ে এসবিআইয়ের যে-কোনো শাখায় গিয়ে টাকা জমা দিয়ে আসতে হবে। অনলাইন রেজিস্ট্রেশনের পরবর্তী কাজের দিনই ওই ফি জমা দেওয়া আবশ্যক। ‘পে বাই ক্যাশ’-এর সুবিধা পাওয়া যাবে ২৭ জানুয়ারি ২০২০ তারিখ রাত ১১টা ৫৯ পর্যন্ত। নেট ব্যাঙ্কিং, ক্রেডিট/ ডেবিট কার্ডের মাধ্যমে ফি জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৮ জানুয়ারি ২০২০ তারিখ সন্ধ্যা ৬টা। ফি দেওয়ার বিষয়ে কোনো জটিলতা তৈরি হলে সেই প্রার্থীদের তালিকা শেষ তারিখের পরে ওয়েবসাইটে দিয়ে দেওয়া হবে, সেক্ষেত্রে ফি জমা দেওয়ার প্রমাণ ওই তালিকা প্রকাশের ১০ দিনের মধ্যে সরাসরি গিয়ে বা স্পিড পোস্টে কমিশনের অফিসে দাখিল করলে কর্তৃপক্ষ বিবেচনা করবেন এবং উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবেন।

আবেদনের পদ্ধতি: www.upsconline.nic.in ওয়েবসাইটে গিয়ে অনলাইনে আবেদন করতে হবে দুটি পার্টে। পার্ট-ওয়ান এবং পার্ট-টু। ফর্ম কীভাবে পূরণ করতে হবে তার নির্দেশ ওয়েবসাইটে দেওয়া থাকবে। অনলাইন রেজিস্ট্রেশন করার আগে এক কপি ছবি ও স্বাক্ষর জেপিজি ফরম্যাটে স্ক্যান করিয়ে রাখতে হবে। প্রয়োজনমতো সেটি ফর্মের নির্দিষ্ট জায়গায় আপলোড করতে হবে। ছবি এবং স্বাক্ষর দুই ফাইলের কোনোটিরই মাপ ৪০ কেবির বেশি হওয়া চলবে না। আবার ছবি এবং স্বাক্ষরের ফাইলের পরিমাপ যথাক্রমে ৩ কেবি এবং ১ কেবির কম হলে হবে না। অনলাইন রেজিস্ট্রেশন (পার্ট ওয়ান এবং টু) চলবে ২৮ জানুয়ারি ২০২০ তারিখ সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। অনলাইন আবেদনের সময় পরীক্ষাকেন্দ্র বাছাইয়ের বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। এখন প্রার্থীদের বয়স, শিক্ষাগত যোগ্যতা, কাস্ট সার্টিফিকেট এবং আবেদন ফি জমা দেওয়ার প্রমাণপত্র পাঠাতে হবে না। নথি যাচাইয়ের দিন সেগুলি যাচাই করা হবে। যাচাই প্রক্রিয়ায় কোনো প্রার্থী যদি নির্ধারিত যোগ্যতা প্রমাণ করতে না পারেন তবে প্রার্থী পদ বাতিল করা হবে। প্রার্থীর বৈধ ইমেল আইডি থাকা আবশ্যক।

হেল্পলাইন নম্বর: উপরোক্ত বিষয় কোনো তথ্য জানতে বা আবেদন প্রক্রিয়া সংক্রান্ত সমস্যার ক্ষেত্রে ফোন করতে হবে এই নম্বরে- ০১১-২৩৩৮৫২৭১, ০১১-২৩৩৮১১২৫, ০১১-২৩০৯৮৫৪৩। যে-কোনো কাজের দিন সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টার মধ্যে। বয়স, আবেদন পদ্ধতি, আবেদন ফি সহ এ ব্যাপারে যাবতীয় খুঁটিনাটি তথ্য www.upsc.gov.in ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।