একের পর এক চাকরিতে বাধা, ক্ষোভ জমেছে সরকারি চাকরিপ্রার্থীদের মধ্যে

schedule
2019-01-30 | 08:59h
update
2019-01-30 | 08:59h
person
জীবিকা দিশারী
domain
জীবিকা দিশারী

গত কয়েক বছর ধরে রাজ্যের একাধিক বড় পরীক্ষার সর্বশেষ পরিণতি গিয়ে দাঁড়াচ্ছে আদালতের দ্বারে। নিয়োগ নিয়ে তৈরি হচ্ছে একাধিক সংশয়। চূড়ান্ত হতাশা দানা বাঁধছে সরকারি চাকরি প্রার্থী মহলে।

শুরু করা যাক, এসএসসি দিয়ে। স্কুল সার্ভিস কমিশন নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই। পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত এখনো পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়া হয়নি। একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি স্তরেও নিয়োগ সম্পূর্ণ হয়নি। নবম-দশম স্তরে দ্বিতীয় কাউন্সেলিং আগামী সপ্তাহ থেকে আছে। কবে শেষ হবে তার ঠিক নেই। পড়ে রইল বহু আকাঙ্খিত আপার প্রাইমারি স্তরের নিয়োগ। ১৩ হাজার পদে কবে কিভাবে তা হবে সে ব্যাপারে এই মুহূর্তে কোনো নির্দিষ্ট আশার বাণী শোনাতে পারছে না স্কুল সার্ভিস কমিশন।

এবার আসা যাক, রাজ্যের আরেকটি বৃহৎ নিয়োগ সংস্থা পিএসসির ব্যাপারে।  এ রাজ্যে সরকারি নিয়োগের ক্ষেত্রে পিএসসির উপর অত্যন্ত ভরসা রাখেন চাকরি প্রার্থীরা। গত বছর ডব্লুবিসিএস মেধা তালিকা প্রকাশের পর চূড়ান্ত ক্ষোভ তৈরি হয়। প্রশান্ত বর্মন নাম এক পরীক্ষার্থীর নাম মেধা তালিকায় উঠে আসার প্রেক্ষিতে অসন্তোষ দেখা দেয় ডব্লুবিসিএস পরক্ষার্থীদের মধ্যে।

Advertisement

এখানেই শেষ নয়, গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে পিএসসির মাধ্যমে ১৪৫২টি ফায়ার অপারেটর নিয়োগের পরীক্ষার আগেই প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়ে যাওয়ার অভিযোগ ওঠে। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই সংক্রান্ত তথ্যও ছড়িয়ে পরে। স্বচ্ছতার সঙ্গে নিয়োগ নিয়ে সংশয় তৈরি হয় পরীক্ষার্থীদের মধ্যে।

গত রবিবার ছিল পিএসসির মাধ্যমে ফুড সাব-ইন্সপেক্টর পদের পরীক্ষা। ৮৫৬টি পদের জন্য পরীক্ষায় বসেছিলেন প্রায় ১১ লক্ষ প্রার্থী। সেই পরীক্ষা নিয়েও একাধিক অভিযোগ উঠে এসেছে ইতিমধ্যে। অনেক পরীক্ষার্থীর মোবাইলে উত্তর চলে আসে বলে অভিযোগ, যেটা শেয়ার করা হয় সোশ্যাল মিডিয়াতে। একাধিক জায়গায় প্রশ্নপত্র দেরিতে এসে পৌঁছায় বা প্রশ্ন পত্রের সংখ্যা কম পৌঁছানোয় আদতে পরীক্ষা দেওয়া থেকে থেকে বঞ্চিত হন পরীক্ষার্থী। অভিযোগ, সকালে যাঁরা পরীক্ষা দিলেন, তাঁদের ব্যবহার করা প্রশ্নপত্র দিয়েই তারপর অন্যদের পরীক্ষায় বসতে বলা হয়, যা প্রশ্ন ফাঁসের অনুরূপ মনে করে পরীক্ষাই দিতে রাজি হননি অনেকে।

গতকাল স্কুলগুলিতে কর্মশিক্ষা ও শারিরীশিক্ষা বিষয়ে শিক্ষক নিয়োগ নিয়েও স্থগিতাদেশ জারি হয়েছে হাইকোর্টে। আটকে রয়েছে প্রধান শিক্ষক-শিক্ষিকা নিয়োগও। পশ্চিমবঙ্গে ডাক বিভাগে ৫৭৭৮টি পদে গ্রামীণ ডাক সেবক নিয়োগ পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল। তার ফলপ্রকাশ নিয়েও হাইকোর্টের নির্দেশিকা রয়েছে বলে গত জুলাই মাসে একটি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়।

রাজ্যে গ্রুপ ডি পদে ষাট হাজার নিয়োগের কথা থাকলেও মাত্র ৬০০০ পদে  নিয়োগ প্রক্রিয়া চলেছে গত দুই বছর ধরে, তাও পুরো ৬০০০ যোগ্য প্রার্থী পাওয়া যায়নি বলে জানানো হয়েছে। একের পর এক সরকারি চাকরির পরীক্ষায় জটিলতা ক্ষোভ ও হতাশা তৈরি হচ্ছে সরকারি চাকরি প্রার্থীদের মধ্যে। যা প্রতিফলিত হচ্ছে একাধিক মাধ্যমে। দীর্ঘদিনের পরিশ্রম ও অধ্যবসায়ের পরেও এরকমভাবে চাকরির সুযোগ হারানো বা সুযোগ না পাওয়াটা একাধিক প্রশ্নচিহ্ন তুলে আনছে চাকরি প্রার্থীদের সামনে। স্বচ্ছ, ত্রুটিমুক্ত, ঝামেলামুক্ত নিয়োগ প্রক্রিয়ার আশায় দিন গুনছেন রাজ্যের কর্মপ্রার্থীরা।

 

 

WB Jobs, SSC, West Bengal Govt Job, Jobs in West Bengal

Advertisement

Imprint
Responsible for the content:
jibikadishari.co.in
Privacy & Terms of Use:
jibikadishari.co.in
Mobile website via:
WordPress AMP Plugin
Last AMPHTML update:
05.04.2024 - 07:59:57
Privacy-Data & cookie usage: