Site icon জীবিকা দিশারী

কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স ১৪ মে ২০২০


আন্তর্জাতিক

 

জাতীয়

 

বিবিধ

একই দিনে প্রয়াণ ঘটল দুই বাংলার দুই প্রবাদপ্রতীম সাহিত্য ব্যক্তিত্বের৷ দুজনেরই বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর৷ দেবেশ রায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন কলকাতায়৷ তাঁর জন্ম হয়েছিল ওপার বাংলার পাবনায়৷ কৈশোর, যৌবন কেটেছে উত্তরবঙ্গে৷ আনিসুজ্জামান শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন ঢাকায়৷ তাঁর জন্ম হয়েছিল বসিরহাটে৷ কৈশোর কেটেছিল কলকাতাতেই৷ দেবেশ রায় প্রচলিত ছক ভেঙে উপন্যাসে বহুশ্বর নিয়ে আসেন৷ তাঁর উল্লেখযোগ্য কয়েকটি উপন্যাস হল সময় অসময়ের বৃত্তান্ত, লগন গান্ধার, মানুষ খুন করে কেন, মফঃস্বলি বৃত্তান্ত প্রভৃতি৷ তিনি “তিস্তা পারের বৃত্তান্ত” উপন্যাসের জন্য সাহিত্য আকাদেমি পুরস্কার পেয়েছিলেন৷ দীর্ঘ এক দশক তিনি পরিচয় পত্রিকার সম্পাদনা করেন৷ আবু তৈয়ব মহমম্দ আনিসুজ্জামান ছিলেন লেখক, গবেষক, শিক্ষাবিদ, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক এবং মৌলবাদের বিরুদ্ধে আন্দোলনের পুরোধা৷ চট্টগ্রাম ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করেছেন তিনি৷ দিল্লি, করাচি, লন্ডন, টোকিও, কিয়োটো, মনট্রিল, ব্লমিংটন, অক্সফোর্ড সাসেক্স, সানফ্রান্সিসকোতেও গবেষণা করেছেন৷ তাঁর লেখা গ্রন্থের মধ্যে কয়েকটি হল “স্বরূপের সন্ধানে”, “পুরোনো বাংলা গদ্য”, “আমার একাত্তর”, “আমার চোখে”, “মুসলিম মানুষ ও বাংলা সাহিত্য”, “মুক্তিযুদ্ধ এবং তার পর” প্রভৃতি৷ তাঁর আত্মজীবনীর নাম “বিপুলা পৃথিবী”৷ বাংলাদেশের জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামান একুশে পদক, স্বাধীনতা পুরস্কার, বাংলা আকাদেমি সাহিত্য পুরস্কার, পদ্মভূষণ, আনন্দ পুরস্কার পেয়েছেন৷ কলকাতা ও রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি পেয়েছেন যথাক্রমে জগত্তারিনী পদক ও ডিলিট৷ বাংলাদেশে জাতীয় শিক্ষা কমিশনের সদস্য ছিলেন তিনি৷

 

খেলা

 

 

Exit mobile version