আন্তর্জাতিক
- করোনা ভাইরাস সংক্রমণে মৃতের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে হল ১০৫৪১। বিশ্বের ১৪৫টি দেশে আড়াই লক্ষাধিক মানুষ (২,৫৮,৪৮৭ জন) এই সংক্রমণে আক্রান্ত হয়েছেন। ইতালিতে একদিনে ৬২৭ জনের মৃত্যু হল। চিন, ইতালি, ইরানের পর স্পেনেও এই সংক্রমণে মৃতের সংখ্যা এক হাজার অতিক্রম করল। করোনা ভাইরাস সংক্রমণের মহামারীতে এশিয়াকে ছাপিয়ে গেছে ইউরোপ। তবে চিনের পরিস্থিতি এখন স্বস্তিদায়ক। অন্যদিকে মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প বিশ্বকে এই সংকটের সামনে দাঁড় করানোর জন্য চিনের দিকে আঙুল তুলেছেন। তাঁর দাবি, প্রাথমিক তথ্য গোপন করে গিয়েছিল চিন।
জাতীয়
- দেশে মোট ২২৩ জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এদিন ৫০ জন এই সংক্রমণের কবলে পড়লেন। এর আগে দেশে একদিনে এত জনের আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। রাজস্থানের জয়পুরে ইতালির এক নাগরিক এদিন এই সংক্রমণে প্রাণ হারালেন। মুম্বইয়ের গায়িকা কণিকা কাপুর করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। কলকাতায় দ্বিতীয় আক্রান্তের খোঁজ মিলল।
- মধ্যপ্রদেশে আস্থাভোটের আগেই ইস্তফা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী কমলনাথ। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে এদিনই আস্থাভোটের কথা ছিল। প্রসঙ্গত, ২২ জন বিধায়ক ইস্তফা দেওয়ায় রাজ্য সরকারের সংখ্যাগর্ষ্ঠিতা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছিল।
- দিল্লির তিহার কারাগারে ফাঁসি দেওয়া হল নির্ভয়া ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডে দোষী সাব্যস্ত ৪ অপরাধীকে। দেশে একসঙ্গে ৪ জন অপরাধীর ফাঁসি একটি বিরল ঘটনা। ২০১২ সালের ১৬ ডিসেম্বর অপরাধটি ঘটেছিল। ৬ জন অপরাধীর একজন আগেই আত্মহত্যা করেছে। একজন নাবালক হওয়ায় মুক্তি পেয়েছে।
বিবিধ
- শেয়ার সূচক সেনসেক্স বৃদ্ধি পেল ১৬২৭.৭৩ অঙ্ক। টাকার দাম আরও কমে হল ৭৫.২০ টাকা প্রতি ডলার যা পড়তির দিক থেকে সব থেকে খারাপ। সোনার দামও হ্রাস পেয়েছে।
- ইয়েস ব্যাঙ্কের প্রাক্তন সিইও রাণা কাপুরকে বিচারাধীন হেফাজতে পাঠাল আদালত।
খেলা
- প্রয়াত হলেন প্রাক্তন ফুটবলার ও প্রাক্তন কোচ প্রদীপকুমর বন্দ্যোপাধ্যায়। ক্রীড়া মহলে পিকে ব্যানার্জি নামেই পরিচিত ছিলেন। ৮৩ বছর বয়স হয়েছিল তাঁর। পিকে ব্যানার্জির জন্ম জলপাইগুড়িতে। ১৯৫৪ সালে কলকাতা ময়দানে অভিষেক। তিনি জাতীয় দলে খেলেছেন, নেতৃত্বও দিয়েছেন। ১৯৫৮, ১৯৬২ ও ১৯৬৬ সালের এশিয়ান গেমস দলে সদস্য ছিলেন তিনি। রোম অলিম্পিকে ভারতীয় দলের হয়ে খেলেছেন। ফ্রান্সের বিরুদ্ধে একটি গোলও করেন পিকে ব্যানার্জি। ১৯৬৭ সালে ফুটবল থেকে অবসর নেন। এরপর শুরু হয় তাঁর প্রশিক্ষক জীবন। দেশে প্রথম অর্জুন পুরস্কার পান তিনি। পেয়েছেন পদ্মশ্রী সম্মান। পেয়েছেন মোহনবাগান রত্ন সম্মান এবং ফিফা প্রদত্ত ভারতের সর্বশ্রেষ্ঠ ফুটবলারের অর্ডার অব মেরিট স্বীকৃতিও। দেশের হয়ে ৮৪টি ম্যাচ ৬৫টি গোল করেছিলেন তিনি। ১৯৫৬ সালে মেলবোর্ন অলিম্পিকে চতুর্থ স্থান পাওয়া ও ১৯৬২ সালে এশিয়ান গেমসে সোনাজয়ী ভারতীয় দলের নির্ভরযোগ্য সদস্য ছিলেন তিনি। তাঁর কোচিংয়ে ১৯৭০, ১৯৭১, ১৯৮২ ও ১৯৮৬ সালে এশিয়ান গেমসে খেলেছিল ভারতীয় ফুটবল দল। ১৯৭০ সালে ব্রোঞ্জ জিতেছিল। ১৯৮৫ সালে তাঁর প্রশিক্ষণে ভারত সাফ কাপে সোনা জেতে। কলকাতায় ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান তাঁর কোচিংয়ে যথাক্রমে ২৮ ও ২৫টি করে ট্রফি জিতেছিল। পিকে ব্যানার্জি সন্তোষ ট্রফিতে মাত্র ১৫ বছর বয়সে বিহারের হয়ে প্রথম ম্যাচ খেলেন। ময়দানে প্রথম ক্লাব রাজস্থান। ইসটার্ন রেলের হয়ে ১৯৫৫ থেকে ১৯৬৮ সাল পর্যন্ত খেলেছিলেন তিনি। ইস্টবেঙ্গল ক্লাব তাঁকে শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ কোচের সম্মান জানিয়েছিল। প্রসঙ্গত, ১৭ বছর আগে এই তারি্খেই প্রয়াত হয়েছিলেন ফুটবলার কৃশানু দে।