চলতে-ফিরতে বিজ্ঞান

schedule
2018-04-11 | 09:00h
update
2018-04-11 | 09:02h
person
জীবিকা দিশারী
domain
জীবিকা দিশারী

পান খেলে মুখের ভিতরটা লাল হয়ে যায় কেন

মূলত পানপাতা, সুপুরি, চুন, খয়ের আর কয়েকটি মশলা দিয়ে পান সাজা হয়। ঠোঁট-মুখ-জিভ লাল করার ক্ষমতা এর কোনোটারই এককভাবে নেই। পান-সুপুরি-চুনে তো লাল হবার প্রশ্নই ওঠে না। খয়েরও লাল নয়। কিন্তু খয়েরকে জলে ফোটালে জল লাল হয়ে যায়। পান খাবার সময় চুনের সংস্পর্শে এসেও রাসায়নিক বিক্রিয়ায় খয়েরের (বলা ভালো খয়েররসের) এই রং বদল ঘটে। মুখের লালাও অনুঘটকের কাজ করে, রসও মুখে ছড়ায়। তাই পানের পিক লাল, ঠোঁট-জিভ-মুখগহ্বরও লাল।

পাঁউরুটিকেকের ভিতর অত ফুটোফুটো থাকে কেন

পাঁউরুটির ময়দা মাখার সময় অন্যান্য উপাদানের সঙ্গে কিছুটা ইস্ট (এক ধরনের ছত্রাক) মেশানো হয়। ময়দা মাখার তাপ ও আর্দ্রতায় সেই ইস্ট আয়তনে বেড়ে যায়, তারপর রুটি তৈরির জন্য সেঁকতে দিলে তা বাষ্প হয়ে বুদ্বুদাকারে ফেটে যায়, থেকে যায় বুদ্বুদাকারে গর্ত বা ফুটো। কেক তৈরির সময় অবশ্য ইস্ট না দিয়ে দেওয়া হয় বেকিং সোডা আর্থাৎ টার্টারিক অ্যাসিড ও সোডিয়াম বাইকার্বোনেটের মিশ্রণ। এই মিশ্রণ কেকের অন্যান্য উপাদানের সঙ্গে মিশে সেঁকার তাপে কার্বনডাই অক্সাইড তৈরি হয় এবং সেই গ্যাসের বুদ্বুদ ফেটে গর্ত-গর্ত দেখায়।

Advertisement

দুধের পাস্তুরাইজেশন কী কেন

দুধ দোয়ার সময় কিছু-কিছু ব্যাক্টিরিয়া দুধে থেকে যেতে পারে গরুর অসুখ-বিসুখ বা যে দুধ দো্যায় তার অসুখ-বিসুখ বা অপরিচ্ছন্নতা বা পারিপার্শ্বিক কারণে। ব্যাক্টিরিয়া খুব দ্রুত বংশবৃদ্ধি করে, ফলে দুধ বেশিক্ষণ কাঁচা রাখলে টক হয়ে কেটে নষ্ট হয়। দোয়ার অল্প সময়ের মধ্যে জ্বাল দিয়ে রাখলে অবশ্য সহজে নষ্ট হয় না, অনেকক্ষণ থাকে। ব্যাক্টিরিয়া জনিত এই সমস্যার সমাধান করেন ফরাসি বিজ্ঞানী লুই পাস্তুর। তাঁর সেই পাস্তুরাইজেশন পদ্ধতিতে সংশোধনের ফলে এখন দুধ, মাখন ইত্যাদি দীর্ঘকাল টাটকা থাকে। এই পদ্ধতিতে দুধকে একটা বিশেষ তাপমাত্রায় গরম করে ব্যাক্টিরিয়ামুক্ত করা হয়, তারপর তাকে দ্রুত ঠান্ডা করে নেওয়া হয়। দুধকে ৬২ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রায় ৩০ মিনিট বা ৭২ ডিগ্রি তাপমাত্রায় ১৫ সেকেন্ড গরম করে আবার ঠান্ডা করে রেখে দিলে তা জীবাণুশূন্য হয়ে থাকে। আজকাল অবশ্য গামা রশ্মি ও বেটা রশ্মি প্রয়োগ করেও পাস্তুরাইজেশন হচ্ছে।

পশুপাখিরা তাদের বাচ্চাদের চেনে কী করে

পশুপাখির জগতে কোনো মা তার ছানাকে চিনতে ভুল করে না, ছানারও ভুল হয় না মাকে চিনতে। একপাল ভেড়ার ছানার মধ্যে প্রতিটি মা তার ছানাকে ঠিক চিনে নেবে। কিন্তু কীভাবে এটা সম্ভব? বিজ্ঞানীরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখেছেন, পশুরা সাধারণত গন্ধ শুঁকে চেনে। যেমন কুকুর, ভেড়া, ঘোড়া, হরিণ, সিলমাছ এদের ঘ্রাণশক্তি প্রখর। বাচ্চার জন্ম হবার সঙ্গে-সঙ্গে মা যেমন শাবকের গভীর ঘ্রাণ নেয় এবং তা বরাবরের জন্য তার স্মৃতিতে গেঁথে যায়, শাবক মাকে চিনে রাখে মাতৃগহ্বরে থাকতেই। পাখিরা ছানাদের চেনে শব্দে। ডিমে তা দেবার সময়েই এই চেনাচিনিটা হয়ে যায়। জন্মাবার আগেই ছানারা চিনে নেয় মায়ের ডাক। আর্থাৎ মানুষের ক্ষেত্রে চোখে দেখা বা স্মৃতিতে ছবির ভূমিকা যেমন, পশুপাখির কাছে গন্ধ/শব্দ ইত্যাদির ভূমিকা তেমনই।

Advertisement

Imprint
Responsible for the content:
jibikadishari.co.in
Privacy & Terms of Use:
jibikadishari.co.in
Mobile website via:
WordPress AMP Plugin
Last AMPHTML update:
10.04.2024 - 13:47:39
Privacy-Data & cookie usage: