উত্তর দিনাজপুর জেলা আদালতে ৪৩ জন স্টেনো, এলডিসি ও গ্রুপ-ডি পদের নিয়োগপদ্ধতি জানানো হল। অন্যান্য আদালতেও মোটামুটি একই রকম হয়ে থাকে।
স্টেনোগ্রাফার পদের জন্য তিনটি পর্যায়ে পরীক্ষা হবে। প্রথম পর্যায়ে স্ক্রিনিং টেস্টে অবজেক্টিভ টাইপের প্রশ্ন থাকবে জেনারেল ইংলিশ (বানান, শব্দের সঠিক ব্যবহার, বাক্য সংশোধন, প্রচলিত শব্দের ব্যবহার, সমার্থক শব্দ, বিপরীতশব্দ)। ১০০ নম্বরের পরীক্ষা, সময় দেড় ঘণ্টা। প্রথম পর্যায়ে উত্তীর্ণ হলে দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষা দিতে পারবেন। দ্বিতীয় পর্যায়ে ডিকটেশন অ্যান্ড ট্র্যান্সক্রিপশন ২০০ নম্বরের। তৃতীয় পর্যায়ে টাইপিং টেস্ট, প্রতি মিনিটে ৪০ শব্দের গতিতে ১০ মিনিটে টাইপ করতে হবে। ২০০ নম্বর। তিনটি পর্যায়ের পরীক্ষা একই দিনে হবে। দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে পার্সোন্যালিটি টেস্ট (৫০ নম্বর) ও কম্পিউটার প্রফিশিয়েন্সি টেস্ট (৫০ নম্বর) হবে। এরপর ফাইনাল প্যানেল তৈরি হবে।
লোয়ার ডিভিশন ক্লার্ক পদে দুটি পর্যায়ের পরীক্ষা হবে। প্রিলিমিনারি ও মেইন। প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় ১০০ নম্বরের মাল্টিপল চয়েস টাইপে থাকবে ইংলিশ, জেনারেল স্টাডিজ ও অ্যারিথমেটিকের উপর। সময় দেড় ঘণ্টা। প্রিলিতে উত্তীর্ণ হলে মেইন পরীক্ষা দিতে পারবেন। মেইন পরীক্ষায় থাকবে ইংলিশ (লেটার রাইটিং, প্যারাগ্রাফ রাইটিং, ট্র্যানস্লেশন)ও বাংলা (লেটার রাইটিং, ট্রান্সলেশন ও রিপোর্ট)। সময় দেড় ঘণ্টা। মেইন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে পার্সোন্যালিটি টেস্ট (২৫ নম্বর) ও কম্পিউটার প্রফিশিয়েন্সি টেস্ট (২৫ নম্বর) হবে। মেইন পরীক্ষা, পার্সোন্যালিটি টেস্ট ও কম্পিউটার প্রফিশিয়েন্সি টেস্টের মাধ্যমে ফাইনাল প্যানেল তৈরি হবে।
প্রসেস সার্ভারের ক্ষেত্রে মাল্টিপল চয়েস টাইপের প্রশ্ন থাকবে অ্যারিথমেটিক (২৫ নম্বর), ইংলিশ (২৫ নম্বর), বাংলা (২৫ নম্বর), জেনারেল নলেজ (২৫ নম্বর)। মোট ১০০ নম্বরের পরীক্ষা। সময় দেড় ঘণ্টা। লেখা পরীক্ষার রেজাল্টের ভিত্তিতে পার্সোন্যালিটি টেস্টের (১০ নম্বর) জন্য ডাকা হবে।
পিওন, নাইট গার্ড, ফারাশের ক্ষেত্রে ১০০ নম্বরের অবজেক্টিভ টাইপের প্রশ্ন হবে বাংলা (২৫ নম্বর), জেনারেল ইংলিশ (২৫ নম্বর), অ্যারিথমেটিক (২৫ নম্বর) ও জেনারেল নলেজ (২৫ নম্বর)। সময় দেড় ঘণ্টা। লেখা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে পার্সোন্যালিটি টেস্ট (১০ নম্বর)। লেখা পরীক্ষা ও পার্সোন্যালিটি টেস্টের মাধ্যমে ফাইনাল প্যানেল তৈরি হবে।