নিজস্ব সংবাদদাতা: টেট ফেল করেও শিক্ষকতার চাকরি। এরকমই অভিযোগ উঠল হুগলি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের বিরুদ্ধে। মামলা দায়ের করা হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে।
২০১৪ সালে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের জন্য পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল। প্রায় ২৩ লক্ষ পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দিয়েছিলেন, প্যানেল প্রকাশিত হয়ে নিয়োগও হয়ে গেছে। এরপর গত ৪ ডিসেম্বর হুগলি জেলা প্রাথমিক অফিসে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ থেকে আরেকটি দ্বিতীয় প্যানেল পাঠানো হয়। মোট ৬৫ জন সফল প্রার্থীর নাম তাতে। সেই অনুযায়ী স্কুল বাছাইয়ের কাউন্সেলিং ও নিয়োগ পক্রিয়া শুরু হয়েছে। সেখানেই বিপত্তি। ফল বেরনোর ২ দিন পরেই হুগলির পল্লবী মান্না নামে এক পরীক্ষার্থী নিয়োগপত্র হাতে পেয়েছেন। অথচ পরে ফলাফল যাচাই করে দেখা গেছে তিনি আদৌ প্রাথমিক টেট-এ সফল হননি। তিনি সিঙ্গুরে মধুসূদন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত। তথ্যের অধিকার আইনে এক ব্যক্তির প্রশ্নের উত্তরে পর্ষদও জানিয়েছে, পল্লবী মান্না টেট-এ সফল হননি। ওই পরীক্ষায় অসফল হয়েও কীভাবে তিনি চাকরি পেলেন এই অভিযোগেই কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করা হয়েছে দ্বিতীয় প্যানেল বাতিল করার জন্য।
এমনিতেই প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে একাধিক মামলা চলছে হাইকোর্টে। এর মধ্যে গত পরীক্ষায় প্রশ্নপত্রে মোট ১১টি প্রশ্ন ভুল ছিল, এই মর্মেও মামলা রয়েছে হাইকোর্টে। আগামী ৫ জানুয়ারি রাজ্য প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের কাছে হলফনামা চেয়েছে হাইকোর্ট।