ন্যাশনাল ইনশিওরেন্সে ৩১২ অফিসার

924
0
insurance-1

জেনারেলিস্ট ও স্পেশ্যালিস্ট (ফিনান্স অ্যান্ড অ্যাকাউন্টস ও লিগাল) শাখায় ৩১২ জন অফিসার নিয়োগ করবে কেন্দ্রীয় সরকারের ন্যাশনাল ইনশিওরেন্স কোম্পানি লিমিটেড। নিচের যোগ্যতার যে-কোনও ভারতীয় আবেদন করতে পারবেন। আবেদনের জন্য অনলাইন রেজিস্ট্রেশন শুরু হবে আগামী ১০ ডিসেম্বর চলবে ২৬ ডিসেম্বর ২০১৮ পর্যন্ত। ৩০ জানুয়ারি ২০১৯-এ প্রথম ধাপের অনলাইন পরীক্ষা হবে।

বেতন: মূল বেতন ৩২৭৯৫-৬২৩১৫ টাকা। অন্যান্য ভাতাও আছে। শুরুতে সব মিলিয়ে প্রায় ৫১০০০ টাকা।

শূন্যপদের বিন্যাস: মোট শূন্যপদের মধ্যে জেনারেলিস্ট শাখায় ২৪৫ (তপশিলি জাতি ২৯, তপশিলি উপজাতি ২০, ওবিসি ৫৯, অসংরক্ষিত ১৩৭), ফিনান্স অ্যান্ড অ্যাকাউন্টস শাখায় ৩৫ (তপশিলি জাতি ৪, তপশিলি উপজাতি ৩, ওবিসি ৮, অসংরক্ষিত ২০), লিগ্যাল শাখায় ৩০ (তপশিলি জাতি ৪, তপশিলি উপজাতি ৩, ওবিসি ৭, অসংরক্ষিত ১৬)।

শিক্ষাগত যোগ্যতা (যোগ্যতা সম্পূর্ণ হতে হবে ১ ডিসেম্বর ২০১৮ তারিখের মধ্যে): জেনারেলিস্ট শাখার পদের ক্ষেত্রে কোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যে-কোনো শাখায় গ্র্যাজুয়েট/পিজি ডিগ্রি অথবা কেন্দ্রীয় সরকার স্বীকৃত সমতুল শিক্ষাগত যোগ্যতা। গ্র্যাজুয়েশন বা পিজি ডিগ্রিতে অন্তত ৬০% (তপশিলি ও শারীরিক প্রতিবন্ধীদের ক্ষেত্রে ৫৫%) নম্বর থাকতে হবে। স্পেশ্যালিস্ট শাখায় লিগ্যাল পদের ক্ষেত্রে ল-তে ওপরের মতো নম্বর সহ গ্র্যাজুয়েট/পিজি ডিগ্রি। ফিনান্স অ্যান্ড অ্যাকাউন্টস পদের ক্ষেত্রে চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট (আইসিএআই)/কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্ট (আইসিডব্লুএআই) সহ ওপরের মতো নম্বর নিয়ে যে-কোনো শাখায় গ্র্যাজুয়েট/পিজি ডিগ্রি। অথবা ওপরের মতো নম্বর সহ এমবিএ (ফিনান্স)/পিজিডিএম (ফিনান্স)। অথবা ওপরের মতো নম্বর সহ এমকম। কোম্পানি সেক্রেটারি পদের জন্য যে-কোনো শাখায় ৬০% নম্বর নিয়ে গ্র্যাজুয়েট/পিজি ডিগ্রি সহ এসিএস/এফসিএস, আইসিএসআই থেকে।

বয়সসীমা (১ ডিসেম্বর  ২০১৮-র হিসাবে): সব পদের ক্ষেত্রেই বয়স হতে হবে ন্যূনতম ২১ বছর ও সর্বোচ্চ ৩০ বছর (জন্মতারিখ ২ ডিসেম্বর  ১৯৮৮-র আগে বা ১ ডিসেম্বর ১৯৯৭-এর পরে নয়)। সংরক্ষিত শ্রেণির প্রার্থীরা নিয়ম অনুযায়ী বয়সের ঊর্ধ্বসীমায় ছাড় পাবেন।

প্রার্থী বাছাই পদ্ধতি: দুই ধাপের অনলাইন পরীক্ষার মাধ্যমে প্রার্থী বাছাই হবে। প্রথম ধাপে ৩০ জানুয়ারি পুরোপুরি অবজেক্টিভ পরীক্ষা, সফলদের দ্বিতীয় ধাপে ২ মার্চ অবজেক্টিভ+ডেস্ক্রিপটিভ। সব পদের জন্য প্রথম ধাপের ৬০ মিনিটের অবজেক্টিভ টাইপের পরীক্ষায় থাকবে ইংলিশ ল্যঙ্গুয়েজ (৩০ নম্বর, ২০ মিনিট), রিজনিং এবিলিটি (৩৫ নম্বর, ২০ মিনিট), কোয়ান্টিটেটিভ অ্যাপ্টিটিউড (৩৫ নম্বর, ২০ মিনিট)।

প্রথম ধাপের পরীক্ষায় সফল বলে ঘোষিত হবেন মোট শূন্যপদের প্রায় ১৫ গুণ প্রার্থী। সফল প্রার্থীদের দ্বিতীয় ধাপের ১২০ মিনিটের অনলাইন পরীক্ষায় থাকবে জেনারেলিস্ট পদের জন্য রিজনিং (নম্বর ৫০), ইংলিশ ল্যাঙ্গুয়েজ (নম্বর ৫০), কোয়ান্টিটেটিভ অ্যাপ্টিটিউড (নম্বর ৫০) জেনারেল অ্যাওয়্যারনেস (নম্বর ৫০)। স্পেশ্যালিস্ট শাখার ক্ষেত্রে প্রথম ধাপের ১২০ মিনিটের অনলাইন পরীক্ষায় থাকবে রিজনিং (নম্বর ৪০), ইংলিশ ল্যাঙ্গুয়েজ (নম্বর ৪০), কোয়ান্টিটেটিভ অ্যাপ্টিটিউড (নম্বর ৪০) জেনারেল অ্যাওয়্যারনেস (নম্বর ৪০)। টেনিক্যাল এবং প্রফেশনাল নলেজ (নম্বর ৪০)। সব পদের জন্যই ডেসক্রিপটিভ পার্টও হবে অনলাইনে, তাতে থাকবে ইংরেজি লেটার রাইটিং (১০ নম্বর) এবং এসে রাইটিং (২০ নম্বর)।

সবক্ষেত্রেই, ইংরেজি বাদে বাকি পরীক্ষার প্রশ্ন ইংরেজি ও হিন্দিতে হবে। অবজেক্টিভ পার্টে ন্যূনতম সাফল্যমান উঠলে তবেই ডেসক্রিপটিভ পার্টের মূল্যায়ন হবে।

পরীক্ষার  কললেটার যথাসময়ে ডাউনলোড করে নিতে হবে।

দ্বিতীয় পর্যায়ের পরীক্ষার ভিত্তিতে সফল প্রার্থীদের ইন্টারভিউয়ে ডাকা হবে। চূড়ান্ত মেধা তালিকা তৈরি হবে দ্বিতীয় পর্যায়ের অবজেক্টিভ অংশ ও ইন্টারভিউয়ে পাওয়া নম্বরের ভিত্তিতে।

পরীক্ষকেন্দ্র: সারাদেশে এই অনলাইন পরীক্ষা হবে। এর মধ্যে কয়েকটি কেন্দ্র হল: ১) পশ্চিমবঙ্গে: কলকাতা/ বৃহত্তর কলকাতা, হুগলি, কল্যাণী, আসানসোল, শিলিগুড়ি। ২) ওড়িশায়: ভুবনেশ্বর, কটক, রৌরকেল্লা, বেরহ্যামপুর, ঢেঙ্কানল, সম্বলপুর, বালেশ্বর। ৩) ঝাড়খণ্ড: রাঁচি, জামশেদপুর, ধানবাদ, বোকারো, হাজারিবাগ। ৪) অসম: গুয়াহাটি, ডিব্রুগড়, শিলচর, জোরহাট, তেজপুর। ৫) বিহার: পাটনা, গয়া, ভাগলপুর, মজফফরপুর, পূর্ণিয়া, দ্বারভাঙ্গা, আড়া, ঔরঙ্গাবাদ। পরীক্ষাকেন্দ্রে সচিত্র পরিচয়পত্র হিসাবে প্যান কার্ড/ পাসপোর্ট/ ড্রাইভিং লাইসেন্স/ভোটার কার্ড/ গেজেটেড অফিসারের ইস্যু করা সচিত্র পরিচয়পত্র সঙ্গে নিয়ে যেতে হবে।

আবেদনের ফি: আবেদনের ফি (ইন্টিমেশন চার্জ সহ) বাবদ ৬০০ টাকা দিতে হবে। তপশিলি ও প্রতিবন্ধী প্রার্থীদের ক্ষেত্রে কেবল ইন্টিমেশন চার্জ বাবদ ১০০ টাকা দিতে হবে। রুপে/ভিসা/মাস্টার/মায়েস্ট্রো/ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, ইন্টারনেট ব্যাঙ্কিং, আইএমপিএস, ক্যাশ কার্ড/মোবাইল ওয়ালেটের মাধ্যমে আবেদনের ফি দেওয়া যাবে। ট্র‌্যানজ্যাকশন সম্পূর্ণ হলে একটি ই-রিসিট দেওয়া হবে। অনলাইন অ্যাপ্লিকেশন ফর্ম ও ই-রিসিটের প্রিন্ট-আউট নিয়ে রাখবেন।

আবেদনের পদ্ধতি এবং আবেদন ফি: http://newindia.co.in ওয়েবসাইটে গিয়ে অনলাইন আবেদন করতে হবে। ওয়েবসাইটে গিয়ে “APPLY ONLINE” লিঙ্কে গিয়ে ক্লিক করলে “Click here for New Registration” থেকে অনলাইন আবেদন করতে হবে। অনলাইন আবেদন করার আগে আবেদনের পদ্ধতি সম্পর্কে জেনে নেওয়া ভালো। অনলাইন আবেদন করতে প্রার্থীর বৈধ ইমেল আইডি ও মোবাইল নম্বর থাকতে হবে। অনলাইন আবেদন করার আগে ছবি ও স্বাক্ষর স্ক্যান করতে হবে, আবেদনপত্র পূরণ করার সময় ছবি (4.5cm × 3.5cm ) ও স্বাক্ষর নির্দিষ্ট স্থানে আপলোড করতে হবে। নির্দিষ্ট বয়ানে হাতে লেখা একটি ডিক্ল্যারেশন, বাঁহাতের বুড়ো আঙুলের ছাপও সাইটে দেওয়া মাপজোক মতো স্ক্যান করে রাখতে হবে নির্দেশমতো আপলোড করার জন্য। সম্প্রতি তোলা রঙিন ছবি হতে হবে, ছবির ডাইমেনশন হতে হবে ২০০×২৩০ পিক্সেল (ফাইলের মাপ হতে হবে ২০-৫০ কেবির মধ্যে)। সাদা কাগজে কালো কালির পেন দিয়ে স্বাক্ষরের স্ক্যান করে রাখতে হবে। অন্যান্য বিস্তারিত তথ্য জানা যাবে উপরোক্ত ওয়েবসাইটে।

গুরুত্বপূর্ণ তারিখ: অনলাইন রেজিস্ট্রেশন করা যাবে আগামী ১০ থেকে ২৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত। আবেদনের ফিও জমা করা যাবে ওই তারিখের মধ্যে। অনলাইন ফেজ-ওয়ান পরীক্ষা হবে ২০১৯ সালের ৩০ জানুয়ারি, ফেজ-টু ২ মার্চ।