Site icon জীবিকা দিশারী

পশ্চিমবঙ্গে ৫৭৭৮ মাধ্যমিক ডাকসেবক দরখাস্ত শুরু

Postal Asstant Picture

পশ্চিমবঙ্গে গ্রামীণ ডাকসেবক নিয়োগের অনলাইন দরখাস্ত নেওয়া আবার শুরু হল (নতুন বিজ্ঞপ্তি নম্বর RECTT./R-100/ONLINE/GDS/VOL-VI DATED 05.04.2018।). শূন্যপদের সংখ্যা এবার আরও বেশি, ৫৭৭৮। পশ্চিমবঙ্গ সার্কেলের মোট এই শূন্যপদের মধ্যে অসংরক্ষিত ২৭৬০, তপশিলি জাতি ১১৮৪, তপশিলি উপজাতি ২৮৬, ওবিসি ১৩২৮, শ্রবণ প্রতিবন্ধী ৮৬, অস্থি প্রতিবন্ধী ৮৩, দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ৫১।

গতবছর ২৫ এপ্রিল তারিখের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী ৪৯৮২টি শূন্যপদে নিয়োগের যে প্রক্রিয়া চলছিল তা পুরোপুরি বাতিল করা হয় গত ৩ জানুয়ারির একটি বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে। এখন নতুন করে ৫ এপ্রিলের একটি বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে আবার দরখাস্ত নেওয়া শুরু হয়েছে, চলবে ৫ মে ২০১৮ পর্যন্ত।

আগের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী যাঁরা আবেদন করেছিলেন: আগের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী যাঁরা আবেদনের জন্য রেজিস্ট্রেশন করেছেন তাঁদেরও নতুন করে আবেদন করতে হবে, তবে নতুন করে রেজিস্ট্রেশন করবেন না, ফি-ও নতুন করে দিতে হবে না। তাঁরা আগের রেজিস্ট্রেশন নম্বর দিয়ে আবেদন করবেন এবং শূন্যপদের নতুন পরিস্থিতি বুঝে নতুন করে সর্বাধিক ৫টি জিডিএস পদ পছন্দের ক্রম উল্লেখ করতে হবে।

আগে যাঁরা আবেদন করেননি: যাঁরা আগে আবেদন করেননি তাঁরা নিচের মতো যোগ্যতা ইত্যাদি থাকলে আবেদন করতে পারেন।

কোন পদে কোথায় নিয়োগ: পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন পোস্টাল ও আরএমএস বিভাগে এই নিয়োগ হবে। গ্রামীণ ডাক সেবক এমটিএস (মেল ডেলিভারার/স্ট্যাম্প ভেন্ডার, মেল ক্যারিয়ার/ প্যাকার/ মেলম্যান) বা  ‘গ্রামীণ ডাক সেবক ব্রাঞ্চ পোস্ট মাস্টার’ পদে নিয়োগ হবে। ব্রাঞ্চ পোস্ট মাস্টারের ক্ষেত্রে পোস্ট অফিস খোলার উপযুক্ত অবস্থান এবং মাপ অনুযায়ী জায়গার ব্যবস্থা করতে হবে এবং তার জন্য ভাড়া বা অন্যান্য খরচ লাগলে তা নিজেকেই বহন করতে হবে।

যোগ্যতা: আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় যোগ্যতা হল মাধ্যমিক/সমতুল পাশ, সঙ্গে কোনো স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান থেকে কম্পিউটারের প্রাথমিক শিক্ষার অন্তত ৬০ দিনের কোর্স করার সার্টিফিকেট। যাঁরা দশম, দ্বাদশ বা উচ্চতর ক্লাসে অন্যতম বিষয় হিসাবে কম্পিউটার নিয়ে পড়েছেন তাঁদের এরকম স্বীকৃত প্রতিষ্ঠানের সার্টিফিকেট লাগবে না। তবে সেক্ষেত্রে ১০ বা ১২ ক্লাসে বা উচ্চতর কোর্সে যে কম্পিউটার পড়েছেন তার সার্টিফিকেট দরকার। মাধ্যমিকের চেয়ে উচ্চতর যোগ্যতা থাকলে তার জন্য কোনো বাড়তি সুবিধা পাবেন না, তবে প্রথম সুযোগেই মাধ্যমিক পাশ হলে কমপ্লিমেন্টারিতে পাশ যোগ্যতার তুলনায় উচ্চমেধার বলে গণ্য করা হবে। বাইরের কাজের পদে সাধারণ জিডিএসদের সাইকেল চালাতে জানা দরকার। এটি কোনো সরকারি চাকরি নয়, পুরোপুরি জিডিএস সংক্রান্ত আইন মাফিক পরিচালিত। কোনো ইলেক্টিভ অফিসের সঙ্গে যুক্ত থাকলে আবেদন করা যাবে না। অন্য সংস্থা বা এজেন্সির সঙ্গে যুক্ত থাকা-না-থাকা (যাতে এই কাজে প্রভাব পড়তে পারে) ইত্যাদি আরও কিছু বিষয়ে কড়াকড়ি আছে, দরখাস্তের ওয়েবসাইটে জানা যাবে। পূর্ব অভিজ্ঞতা থাকলে তার জন্য কোনো বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া হবে না। বিজ্ঞপ্তিতে বলা না থাকলেও, কাজ যেহেতু গ্রামীণ মানুষজনের সঙ্গে তাই স্থানীয় ভাষায় দখল থাকা দরকার।

বয়সসীমা: বয়স হতে হবে ৫ এপ্রিল ২০১৮ তারিখে ১৮-৪০ বছর। তপশিলি, ওবিসি ও প্রতিবন্ধী প্রার্থীরা নিয়মানুসারে বয়সের ছাড় পাবেন।

বাসস্থান, আর্থিক সঙ্গতি: যাঁরা গ্রামীণ ডাকসেবক পোস্ট মাস্টার পদের জন্য নির্বাচিত হবেন তাঁদের শাখা ডাকঘরের গ্রামের মধ্যে বাসস্থান হতে হবে, নির্বাচিত হবার ৩০ দিনের মধ্যে বা কাজে যোগদানের আগে। অন্যান্য জিডিএসদেরও বাসস্থান হতে হবে গ্রামীণ ডাকসেবক গ্রামের এলাকার মধ্যে। জিডিএসদের জীবনধারণের উপযুক্ত আর্থিক সঙ্গতিও থাকা দরকার, যাতে কেবলমাত্র সরকারি ভাতার ওপর নির্ভর করতে না হয়। এই মর্মে অঙ্গীকার করতে হবে। নির্বাচিত হলে সিকিউরিটি ডিপোজিটও জমা রাখতে হবে ব্রাঞ্চ পোস্ট মাস্টারদের ২৫০০০ টাকা, অন্যদের ১০০০০ টাকা হারে।

কাজ, ভাতা: আগেই বলেছি, গ্রামীণ ডাক সেবক পর্যায়ে নিয়োগ হবে গ্রামীণ ডাকসেবক ব্রাঞ্চ পোস্টমাস্টার ও সেইসঙ্গে মাল্টি টাস্কিং স্টাফ বা মেল ডেলিভারার/স্ট্যাম্প ভেন্ডার, মেল ক্যারিয়ার/ প্যাকার/ মেলম্যান। দরখাস্তে একজন যে-কোনো সার্কেলে সর্বাধিক ৫টি পর্যন্ত পদ-পছন্দ জানাতে পারেন পরম্পরাক্রমে। এই পদগুলিতে কাজের সময় ৩ ঘণ্টা বা ৩ থেকে সাড়ে ৩ ঘণ্টা বা সাড়ে ৩-৪ ঘণ্টা বা ৪-সাড়ে ৪ ঘণ্টা বা সাড়ে ৪-৫ ঘণ্টা। সেই অনুযায়ী ভাতা (টাইম রিলেটেড কন্টিনিউইটি অ্যালাউয়্যান্স, সংক্ষেপে টিআরসিএ) দেওয়া হবে। ভাতার পরিমাণ মাল্টিটাস্কিংয়ের ক্ষেত্রে পদ বা কাজ অনুযায়ী নূ্যনতম ১০০০০-২৪৪৭০ বা ১২০০০-২৯৩৮০ টাকা, ব্রাঞ্চ পোস্ট মাস্টারের ক্ষেত্রে ১৪৫০০-৩৫৪৮০ টাকা করার সুপারিশ করেছে জিডিএস কমিটি।

বর্তমান ভাতার পরিমাণ: জিডিএস ব্রাঞ্চ পোস্ট মাস্টারের ভাতার মূল স্কেল যেখানে কাজের সময়সীমা ৩ ঘণ্টা সেখানে ২৭৪৫-৫০-৪২৪৫ টাকা, কাজের সময়সীমা ৩ ঘণ্টার চেয়ে বেশি কিন্তু সাড়ে তিন ঘণ্টা পর্যন্ত হলে ৩২০০-৬০-৫০০০ টাকা, সাড়ে তিন ঘণ্টার বেশি কিন্তু চার ঘণ্টা পর্যন্ত হলে ৩৬৬০-৭০-৫৭৬০  টাকা, চার ঘণ্টার বেশি কিন্তু সাড়ে চার ঘণ্টা পর্যন্ত হলে ৪১১৫-৭৫-৬৩৬৫ টাকা, সড়ে চার ঘণ্টা থেকে ৫ ঘণ্টা পর্যন্ত হলে ৪৫৭৫-৮৫-৭১২৫ টাকা। জিডিএস মেল ডেলিভারার/স্ট্যাম্প ভেন্ডারের ক্ষেত্রে ৩ ঘণ্টা পর্যন্ত ডিউটি হলে ২৬৬৫-৫০-৪১৬৫ টাকা, ৩ ঘণ্টার চেয়ে বেশি কিন্তু ৩ ঘণ্টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত হলে ৩৩৩০-৬০-৫১৩০ টাকা, ৩ ঘণ্টা ৪৫ মিনিটের চেয়ে বেশি কিন্তু ৫ ঘণ্টা পর্যন্ত হলে ৪২২০-৭৫-৬৪৭০ টাকা। জিডিএস প্যাকার/ মেল ক্যারিয়ার/ মেলম্যানের ক্ষেত্রে ৩ ঘণ্টা পর্যন্ত ডিউটি হলে ২২৯৫-৪৫-৩৬৯৫ টাকা, ৩ ঘণ্টার চেয়ে বেশি কিন্তু ৩ ঘণ্টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত হলে ২৮৭০-৫০-৪৩৭০ টাকা, ৩ ঘণ্টা ৪৫ মিনিটের চেয়ে বেশি কিন্তু ৫ ঘণ্টা পর্যন্ত হলে ৩৬৩৫-৬৫-৫৫৮৫ টাকা।

এখনকার হিসাবে ঠিক কোন পদে কোথায় কত পেতে পারেন তার তালিকা আবেদনের সময় মূল বিজ্ঞপ্তির অ্যানেক্সার-বিতে পাবেন।

প্রার্থিবাছাই: প্রার্থী বাছাই হবে স্বয়ংক্রিয়ভাবে, ওয়েবসাইটে দেওয়া প্রার্থীর তথ্যাবলির ভিত্তিতে। কেবল মাধ্যমিকের নম্বরই বিবেচিত হবে, শতকরা হিসাব ধরা হবে চার দশমিক স্থান পর্যন্ত। টাই হলে কিছু বিশেষ ব্যবস্থা। মাধ্যমিকের সব বিষয়ে পাশ হতে হবে, এক সুযোগে বা সাপ্লিমেন্টারি পরীক্ষার ফল মিলিয়ে। যাঁদের নম্বর, গ্রেড দুইই আছে তাঁরা শুধু নম্বর উল্লেখ করবেন। এভাবে প্রার্থিবাছাইয়ের ফলাফলও যথাসময়ে ওয়েবসাইটে জানা যাবে। নির্বাচিত প্রার্থীদের এসএমএস করেও জানানো হবে।

আবেদনপদ্ধতি: আবেদন করতে হবে কেবলমাত্র অনলাইনে https://indiapost.gov.in বা http://www.appost.in/gdsonline/Home.aspx ওয়েবসাইটে। আবেদন করা যাবে ৫ মে, ২০১৮ পর্যন্ত। অফলাইনে বা রাজ্যস্তরে আলাদা করে আবেদন বা যোগাযোগের কোনো ব্যাপার নেই। আবেদনের জন্য রেজিস্ট্রেশন করা যাবে মাত্র একবারই, একাধিক বার রেজিস্ট্রেশন করলে প্রার্থিপদ বাতিল হতে পারে। রেজিস্ট্রেশন নম্বর পেলে তার উল্লেখ করে যে-কোনো সার্কেলে যে-কোনো পদ-পছন্দের জন্য আবেদন করা যাবে। রেজিস্ট্রেশন নম্বর ভুলে গেলে তা উদ্ধার করতে পারেন ‘ফরগট রেজিস্ট্রেশন’ লিঙ্কের মাধ্যমে।

ফি: আবেদনের ফি ১০০ টাকা (মহিলা, তপশিলি ও প্রতিবন্ধী প্রার্থীদের কোনো ফি দিতে হবে না) রেজিস্ট্রেশন হয়ে গেলে কোনো হেড পোস্ট অফিসে ওই টাকা জমা দিতে হবে রেজিস্ট্রেশন নম্বর উল্লেখ করে (রাজ্যওয়াড়ি হেড পোস্ট অফিসের তালিকা পাবেন http://www.appost.in/gdsonline/Notifications/West%20Bengal-23.pdf ওয়েবসাইটে) তারপর অ্যাপ্লাই অনলাইন লিঙ্কে ফিরে নিজের পছন্দের রাজ্য/সার্কেলে ওই রেজিস্ট্রেশন নম্বর ও ফি পেমেন্ট নম্বর উল্লেখ করে আবেদন করা যাবে। দরখাস্তে মাধ্যমিক সার্টিফিকেটের নম্বর উল্লেখ করতে হবে (কোন বোর্ডের সার্টিফিকেটে কোথায় কী নম্বর লেখা থাকে তা দরকার হলে স্কুল থেকে বুঝে নিতে পারেন, তবে রেজিস্ট্রেশন নম্বর বা রোল নম্বর চেনা যাবে অ্যাডমিট কার্ডের সঙ্গে মিলিয়ে নিলে, সার্টিফিকেটে এর বাইরে কোনো একটি নম্বর থাকলে সেটিই সার্টিফিকেট নম্বর, একাধিক নম্বর থাকলে কোনটি সার্টিফিকেট নম্বর তা জেনে নিতে পারেন স্কুল থেকে) একবার প্রমাণপত্রাদি (মাধ্যমিক মার্কস মেমো/ সার্টিফিকেট, কাস্ট/কমিউনিটি সার্টিফিকেট, ফটো, সই এসবের জেপিজি/ জেপেগ ফর্ম্যাটে স্ক্যান করা কপি (স্ক্যান করতে হবে সমস্ত সার্টিফিকেট/মার্কশিটের ক্ষেত্রে প্রতিটি এ-৪ মাপের কাগজে ২০০ কেবির মধ্যে, মাধ্যমিক পরীক্ষা দুইয়ের বেশি বারের চেষ্টায় পাশ হলে অতিরিক্ত মার্কশিট সর্বাধিক ৬০০ কেবি, ফটো ও সই প্রতিটি বাঞ্ছনীয়ত ২০০x২৩০ পিক্সেলে কিন্তু ৫০ কেবির মধ্যে) আপলোড করা হয়ে গেলে পরে আর কোনো সার্কেলে বা আর কোনো পদ-পছন্দের ক্ষেত্রে তা আপলোড করতে হবে না, স্বয়ংক্রিয় ভাবে সার্ভার থেকেই তা ব্যবহৃত হবে। তবে মাধ্যমিকের নম্বর ইত্যাদির কোনো ভুল তথ্য বা ভুল/ প্রমাণপত্র আপলোড হলে দরখাস্ত বাতিল হবার সম্ভাবনা থাকবে। সব প্রমাণপত্র খুঁটিয়ে যাচাই হবে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে। কোনো ব্যাপারে কিছু জানতে হলে পশ্চিমবঙ্গের প্রার্থীরা ফোন করতে পারেন 033-22120578 নম্বরে বা ইমেল করতে পারেন gdsrecttenquiry450@gmail.com আইডিতে। ওয়েবসাইটের কোনো সমস্যা হলে এই আইডিতে: dopgdsenquiry@gmail.com

কোন পোস্টাল ডিভিশনে কোন হেড পোস্ট অফিসের অধীনে কোন সাব অফিস, ব্রাঞ্চ অফিসে কোন পদে নিয়োগ, সংরক্ষণ আছে কিনা, কত শূন্যপদ, ভাতার হার কী, নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ কে এসব জানা যাবে ওপরের ওয়েবসাইটেই, দরখাস্ত করার সময়।

শূন্যপদের বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুনঃ ডাকসেবক শূন্যপদ কোন পোস্টাল ডিভিশনে কত

 

Exit mobile version