সাম্মানিক বাড়ল আশা ও অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর এই ঘোষণা পুজোর আগে আশাকর্মীদের এই সাম্মানিক বৃদ্ধিতে আশাকর্মী ও অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের কাছে এক খুশির বার্তা। শুধু সাম্মানিক বৃদ্ধিই নয়, সেই সঙ্গে বিনা খরচে ৪ লক্ষ টাকার বিমার কথাও ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী। এক সভায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে স্বাস্থ্যকর্মী, অঙ্গনওয়াড়ি এবং এএনএম (অগজিলিয়ারি নার্স মিডওয়াইফ)দের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় এইসব কর্মীরা সারা বছর ধরে নানান ক্ষেত্রে নিঃশব্দে কাজ করে চলেন। নবজাতকের টিকাকরণ থেকে শুরু করে দরিদ্র পরিবারকে শিশুদের বিষয়ে স্বাস্থ্যসচেতন ও সতর্ক করে দেবার কাজেও তাঁরা সহায়তা করে থাকেন। শিশুদের পুষ্টি অভিযানও করে থাকেন এই আশাকর্মীরা। ২০০৫ সালে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং প্রবর্তিত এই স্তরের কর্মীদের নতুন নামকরণ করেছিলেন অ্যাক্রেডিটেড সোশ্যাল হেল্থ অ্যাক্টিভিস্ট বা সংক্ষেপে ‘আশা’। সেই আশাকর্মীরা এতদিন সাম্মানিক হিসেবে পেয়ে আসছিলেন মাসে তিন হাজার টাকা। এবার থেকে তাঁরা পাবেন অতিরিক্ত দেড় হাজার টাকা করে। আশা কর্মীদের সহায়করা আগে পেতেন ২২০০ টাকা করে, এবার থেকে তাঁরা পাবেন সাড়ে তিন হাজার টাকা। অঙ্গনওয়াড়ি সহায়কদের সাম্মানিক দেড় হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে করা হল ২২৫০ টাকা। কেবল স্বাস্থ্যকর্মী আশাই নয়, তাদের সহায়কদেরও বাড়তি সুযোগ সুবিধা দেবার কথা ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী। স্বাস্থ্যবিমার দুই প্রকল্পের ক্ষেত্রে বছরে ৩৩০ ও ১২ টাকা প্রিমিয়াম দিতে হয়, সেটিরও পুরোপুরি ছাড় দিলেন প্রধানমন্ত্রী। ২০১৫ সালে চালু হওয়া প্রধানমন্ত্রী জীবনজ্যোতি বিমা যোজনা এবং প্রাইম মিনিস্টার সুরক্ষা বিমা যোজনা চালু করেছিলেন। জীবনজ্যোতি যোজনায় পরিবার পাবে ২ লক্ষ টাকা আর সুরক্ষা বিমা যোজনায় দুর্ঘটনাজিত কারণে মারা গেলে পাবেন দু লক্ষ টাকা। আংশিক প্রতিবন্ধী হয়ে গেলে এক লক্ষ টাকা। আশাকর্মী ও তার সহায়কদের এই বিমা পুরোপুরি বিনা খরচের করে দিল কেন্দ্রীয় সরকার।
এদিকে রাজ্য সরকারও রাজ্য মন্ত্রিসভায় সিভিক ভলান্টিয়ার ও কলকাতা পুলিশের জুনিয়র হোমগার্ডদের বেতন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত ঘোষণা করল। সাড়ে পাঁচ হাজার টাকা থেকে বেড়ে তাদের বেতন হচ্ছে আট হাজার টাকা। অক্টোবর থেকেই এই নতুন বেতনক্রম চালু হবে।
কর্মরত নার্সদের বয়সসীমা ৬০ থেকে বাড়িয়ে ৬২ বছর করার কথাও ঘোষণা হয়েছে।