পর্তুগাল থেকে ভারতের কালিকট বন্দর। পুরোটাই ছিল সমুদ্র পথে যাত্রা। অনেক ঝড় ঝঞ্জা মৃত্যু, ক্ষয় ক্ষতি, আক্রমণ প্রতি আক্রমণের পথ পেরিয়ে ১৪৯৮ সালের ২০ মে কালিকট বন্দরে এক পুর্তগিজ পর্যটক-অনুসন্ধানী ও ব্যবসায়ী ভারতের কালিকট বন্দরে প্রথম পা রেখেছিলেন।এই পর্তুগিজের নাম ভাস্কো দা গামা। পঞ্চদশ শতাব্দীতে ভাস্কো দা গামা-ই ইউরোপীয়। যিনি সম্পূর্ণ সাগর পথ পেরিয়ে এসেছিলেন। সেই প্রথম ইউরোপের সঙ্গে এশিয়ার সংযোগ। এক নতুন সেতুবন্ধন গড়ে তুলেছিল এই অভিযাত্রা।ইতিহাসের পাতায় ভারতে পর্তুগিজ ভাইসরয় হিসেবে ভূষিত হয়েছিলেন। ভারতে তাঁর পদার্পণকে বিশ্বে এক বিশেষ মাইলফলক হিসেবে গণ্য করা হয়। এই পর্যটক সারা বিশ্বে নানা সম্মানে ভূষিত। তাঁর সম্মানেই রচিত হয়েছিল পর্তুগিজ মহাকাব্য `অস লুইসিডিয়াস’। একবার নয় এই পর্যটক তিন তিন বার ভারতে এসেছিলেন শুধু নয় গোলমরিচ, দারুচিনি বা ডালচিনি প্রভৃতি নানা ধরনের মসলার ব্যবসাবাণিজ্যের আদানপ্রদান ঘটিয়েছিলেন। তাঁর আগমন ও বসবাস নিয়ে অনেক রক্তপাত নিষ্ঠুরতার কাহিনি ইতিহাসের পাতায় বর্ণিত। তৃতীয় বার ভারতে এসে মারা যান। কোচিতে সেন্ট ফ্রান্সিস গির্জায় শায়িত রয়েছেন এশিয়ায় পা রাখা এই ইউরোপীয়।