মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিকের পর তৈরি হোন অনলাইনে আবেদন,পরীক্ষা বা কাজের জন্য, ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মেও

1750
0
SSC, SSC TET, Primary Tet, SSC Results

অশোক চক্রবর্তী

মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিকের ফল বেরোল, অন্যান্য বোর্ডের ফলও বেরিয়েছে বা বেরোবার মুখে। এরপর উচ্চতর শিক্ষা বা চাকরির জন্য খোঁজখবর। যাই করুন, একটা বিষয় ইতিমধ্যে জানা হয়ে গেছে যে, এসবের খোঁজ করা থেকে শুরু করে আবেদন করা, পরীক্ষা দেওয়া, ফলাফল জানা, তার আগে কোথাও ইন্টারভিউ ইত্যাদি প্রায় সবই হচ্ছে অনলাইনে। কোথাও পড়াশোনা বা অফিসের কাজও নানা পরিমাণে হচ্ছে অনলাইনে, বাড়ি থেকে। এসব অনলাইনে যাঁদের অভিজ্ঞতা যত বেশি তাঁদের সময় লাগে তত কম, নির্ভুল হবার সুযোগ বেশি। তাই এখন হাতের এই অল্প সময়টা বরং অনলাইনের অভ্যেসে হাত পাকালে সুফল পাওয়া যাবে পরবর্তী সব পর্যায়ে।

নিজের স্মার্ট ফোন থাকলে শুরু করা যায় তাতেও, সুবিধা হয় কম্পিউটার, ল্যাপটপ ইত্যাদি বড় স্ক্রিনের কিছু থাকলে যাতে একসঙ্গে বেশ কিছু ফাইলও ব্যবহার করা সম্ভব। অনলাইনে সার্চ করে নানা ওয়েবসাইটেও পাওয়া যায় নানা নমুনায় হাত পাকানোর সুযোগ। যেমন, কোনো চাকরির অনলাইনে আবেদন নেওয়া হচ্ছে এমন কোনো সাইটেই দেওয়া থাকে ফর্ম পূরণের নমুনা, ধাপে-ধাপে। এরকম একাধিক পরীক্ষার ফর্ম পূরণ করা শিখে নিজে প্র্যাক্টিস করতে-করতে জানা যাবে নানা পদ্ধতির বৈচিত্র্য ও সাধারণ দিকগুলো। যেমন, কোথাও হয়তো স্ক্যান করা নির্দিষ্ট মাপের ছবি ও সই আপলোড করতে হবে আলাদা-আলাদা বক্সে, আবার কোথাও বা বলা হবে একটা কাগজে ছবির নিচে সই সেঁটে পুরোটা মিলে একটা ইমেজে স্ক্যান করে আপলোড করতে হবে একটাই বক্সে। কোথাও আবার ছবি, সই ইত্যাদির ঘর ফাঁকা রেখে পরে আলাদা করে পাঠিয়ে দিতে হয়।

ফর্ম কোথাও স্বাভাবিক পদ্ধতিতে টাইপ করে পূরণ করতে হয়, কোথাও বক্সে দেওয়া ছকে সাজানো এ বি সি ডি থেকে জেড পর্যন্ত অক্ষর বা ১-২ থেকে ০ পর্যন্ত সংখ্যার ঘর চিহ্নিত করে পূরণ করার প্রক্রিয়া (বিশেষত পরীক্ষার ওএমআর শিটে রোল নম্বর, পরীক্ষাকেন্দ্রের কোড, বুকলেট সিরিয়াল ইত্যাদি কিছু লেখার ক্ষত্রে) বুঝে নিতে হয়। সেইমতো বুঝতে হয় নাম-ধাম ইত্যাদি যা-যা দরকার তা কীভাবে কোথায় লিখতে হয়, কীভাবে একটা শব্দ লেখার পর এক ঘর ছেড়ে পরের ঘরগুলো ভরতে হয়। সবেরই নমুনা দেওয়া থাকে ওয়েবসাইটে, দেখে সহজেই প্র্যাক্টিস করা যায়। সাহায্য নিতে পারেন যাঁদের অভিজ্ঞতা আছে এমন কারও।

একই ভাবে নানা মকটেস্টের সাইটে জানা যায় উত্তরপত্রে সঠিক উত্তরের ঘর কোথায় কীভাবে চিহ্নিত করতে হয়, ভুল হয়ে গেলে সংশোধনের কী উপায়, উত্তর করা, চেষ্টা করা ও না করা উত্তর কীভাবে রিভিউ করা যায়, কীভাবে ছেড়ে আসা উত্তর আবার চেষ্টা করা যায়, হাতে কত সময় আছে, কোন প্রশ্নে কত নম্বর। সময় হয়ে গেলে আর কিছু লেখার সুযোগ বন্ধ হয়ে যাবে স্বয়ংক্রিয়ভাবে। পরীক্ষায় ভাষামাধ্যম বাছার সুযোগ থাকলে তাও সঙ্গে-সঙ্গে বদলে নেওয়া যায়, অবশ্যই নির্দিষ্ট বিধি-নিষেধ মেনে (যেমন, হয়তো বলা হল, কোনো উত্তরপত্র একটিমাত্র বেছে নেওয়া ভাষায় দেওয়া যাবে, কোথাও বিভিন্ন পেপার বিভিন্ন ভাষায় দেওয়া যেতে পারে)।

ইন্টারভিউ, গ্রুপ ডিসকাশন/টাস্ক ইত্যাদিও অনেকক্ষেত্রে ভিডিওকল/ভিডিও কনফারেন্স/স্কাইপ-এর মাধ্যমে নেওয়া হয়, যেমন আজকাল বাচ্চাদের বা বড়দের স্কুল-কলেজেও হয় অনলাইন ক্লাস। এই ভিডিও কল/কনফারেন্স/স্কাইপ ইত্যাদির ব্যবহারও প্র্যাক্টিস করা যায় আত্মীয়স্বজন-বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গেও।

এখন তো মিটিং, মিছিল, জমায়েত, গল্প-কবিতা পাঠের বা অন্য আসর, অনুষ্ঠান সবই হচ্ছে ভার্চুয়াল। অর্থাৎ ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে। তাৎক্ষণিক অডিও-ভিডিও ডেলিভারি বা ভাষণ, সঙ্গে নানা ফাইলচিত্র/ভিডিও এফেক্ট, রেফারেন্স ঘটনা, স্ট্যাটিস্টিক্স, ডিসপ্লে, প্রেজেন্টেশন ইত্যাদির সমাহার সম্ভব। এরকম ভার্চুয়াল কিছু অনুষ্ঠানের অভিজ্ঞতা থাকলেও তা কাজে লাগবে। এসবের জন্য নানা সফটওয়্যার/প্রোগ্রাম, অ্যাপ আছে। যেমন ওয়েবমিনার (আমাদের পোর্টালে এবিষয়ে আলোচনা হয়েছে  https://jibikadishari.co.in/?p=15934 লিঙ্কে), অ্যাপের তো ছড়াছড়ি।

ওএমআর ফর্ম ভরা, উত্তর করা ইত্যাদির প্রক্রিয়া ইনফর্মেশন বুকলেটেও জানানো থাকে, কোথাও জানানো থাকে বিজ্ঞপ্তি বা ফর্মের সঙ্গে বা প্রস্পেক্টাসে, বা অ্যাডমিট কার্ডের সঙ্গে বুলকেটে, সাধারণত অনলাইনেই। এসব আগে থেকে রপ্ত করে নিলে পরে সময়-সু্যোগ বাঁচে। ভুল হয়ে থাকলে সংশোধনের সুযোগও বাড়ে। অনলাইনে একেক জায়গার ফর্ম বা একেক জায়গার পরীক্ষাপদ্ধতি আলাদা রকমের হতে পারে, হয়ও। তবে এভাবে কিছু নমুনা ঘাঁটাঘাঁটি করলে অনভিজ্ঞতার সমস্যা কাটানো যায়, কারণ বাকি অল্প তফাৎ রপ্ত করা যায় তাঁদের দেওয়া আগাম নমুনা থেকেই। গোড়ার কতগুলো বিষয় তৈরি থাকা যায়, যেমন গত ৩ মাসের মধ্যে তোলা সাদা-কলো বা রঙিন পাসপোর্ট/পুরো মাপের ছবি, সাদা কাগজে কালো কালিতে টানা স্বাভাবিক হাতে সই, নানান সম্ভাব্য প্রমাণপত্র ইত্যাদির স্বপ্রত্যয়িত/অপ্রত্যয়িত কপির স্ক্যান করা ইমেজ ফাইল করে হাতের কাছে মজুদ রাখা। কোনো-কোনো ক্ষেত্রে ব্যবহারের জন্য মজুদ রাখা যায় ইমেল আইডি, ফোন নম্বর, নাম-ঠিকানা ইত্যাদি সাধারণত ব্যবহার্য তথ্য যা অনেকক্ষেত্রে কপি-পেস্টও করে দেওয়া যায়। জেনে রাখা যায় আবেদন করার সময় কী-কী প্রমাণপত্র সঙ্গে রাখা ভালো, পরীক্ষা/ইন্টারভিউ দিতে কোথাও যেতে হলে কী-কী সঙ্গে নিয়ে যেতে হয়, কী-কী নোয়ার অনুমতি নেই ইত্যাদিও।

 

লাইভ টিভি দেখুন: চেতনা টিভি 

বাংলার প্রথম এডুকেশনাল চ্যানেল

 

 

 

Job, Online Job, Online Course, Online Application