এবার মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্তরের জন্যেও টেট। এরকমই নিয়ম আনতে চলেছে এনসিটিই (ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর টিচার এডুকেশন)।
গত ৪ জুলাই আমরা একটা খবরে জানিয়েছিলাম, এবার থেকে বিএড করা থাকলে ও স্নাতক স্তরে ৫০% নম্বর থাকলে প্রাইমারি শিক্ষাকতার টেট পরীক্ষাতেও আবেদন করা যাবে। এনসিটিই তাদের ৪৭তম বার্ষিক সাধারণ সভায় সিধান্ত নিয়েছে আরও জানিয়েছে, প্রথম থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর জন্য সর্ব স্তরেই টেট পরীক্ষার কথা ভাবা হচ্ছে। প্রথম থেকে চতুর্থ প্রাথমিক স্তরে, পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত উচ্চ-প্রাথমিক স্তরে, নবম থেকে দশম শ্রেণি মাধ্যমিক স্তরে এবং একাদশ থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত উচ্চ-মাধ্যমিক স্তরে সমস্ত ক্ষেত্রেই শিক্ষকতার চাকরির পরীক্ষায় প্রাথমিক যোগ্যতা হিসাবে টেট পরীক্ষার কথা এনসিটিই সম্মেলনে প্রস্তাব আনা হয়েছিল, সেই প্রস্তাব পাসও হয়েছে। নতুন যে সিদ্ধান্ত হয়েছে তা হল:
সেকেন্ডারির জন্য – নবম থেকে দশম শ্রেণির জন্য দুটি স্কুল বিষয়ে পেডাগগি সহ বিএড বা দুটি স্কুল বিষয়ে পেডাগগি সহ চার বছরের ইন্টিগ্রেটেড বিএ বিএড/বিএসসি বিএড/বিএএড/বিএসসিএড বা সমতুল।
সিনিয়র সেকেন্ডারির জন্য – একাদশ থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষাকতার জন্য যে-কোনো একটি স্কুল সাবজেক্টে মাস্টার ডিগ্রি এবং এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট স্কুল সাবজেক্ট পেডাগগি সহ বিএড অথবা দুটি স্কুল বিষয়ে পেডাগগি সহ চার বছরের ইন্টিগ্রেটেড বিএ বিএড/বিএসসি বিএড/বিএএড/বিএসসিএড অথবা এমএসসিএড বা সমতুল।
এই টেট পরীক্ষাও এমসিকিউ টাইপের প্রশ্নপত্রের ধরনে হবে। কোনো নেগেটিভ মার্কিং থাকবে না।
নম্বরের বিভাজন-
সেকেন্ডারির ক্ষেত্রে-
১) সেকেন্ডারি স্টেজে টিচিং লার্নিং ৪০ নম্বর
২) ল্যাঙ্গুয়েজে-১ ২০ নম্বর
৩) ল্যাঙ্গুয়েজ-২ ২০ নম্বর
৪) এডুকেশনাল অ্যাসেসমেন্ট ২০ নম্বর
৫) কন্টেন্ট অ্যান্ড পেডাগগি অব স্কুল সাবজেক্ট-১ ৪০ নম্বর (২৪+১৬)
০৬) কন্টেন্ট অ্যান্ড পেডাগগি অব স্কুল সাবজেক্ট-২ ৪০ নম্বর (২৪+১৬)
সিনিয়র সেকেন্ডারির ক্ষেত্রে–
১) সিনিয়র সেকেন্ডারি স্টেজে টিচিং লার্নিং ৫০ নম্বর
২) ল্যাঙ্গুয়েজে-১ ২০ নম্বর
৩) ল্যাঙ্গুয়েজ-২ ২০ নম্বর
৪) এডুকেশনাল ইভ্যালুয়েশন ২০ নম্বর
৫) কন্টেন্ট অ্যান্ড পেডাগগি অব স্কুল সাবজেক্ট ৪০ নম্বর (৪২+২৮)
টেট উত্তীর্ণ হওয়ার জন্য প্রতি পাঁচটি সেকশানের প্রতিটি সেকশনে ৪০% নম্বর (প্রাইমারি ও আপার প্রাইমারির ক্ষেত্রে যেটা ৩৩.৩৩% ছিল) এবং সব মিলিয়ে গড়ে ৬০% নম্বর পেতে হবে। সংরক্ষিত শ্রেণিদের জন্য সংশ্লিষ্ট রাজ্য গড় নম্বরের উপর ছাড় দিতে পারে।
একজন প্রার্থী যতবার খুশি টেট দিতে পারবেন। অবশ্যই স্কুলে শিক্ষকতার জন্য স্কুল কর্তৃপক্ষের নির্ধারিত বয়সভিত্তি বজায় থাকবে। টেট সার্টিফিকেটের গ্রহণযোগ্যতা থাকবে সারাজীবন।
এনসিটিই টেট পরীক্ষা নির্ধারণ করার জন্য একটি টেট সেল গঠন করবে। সমস্ত রাজ্যের টেট পরীক্ষা পর্যবেক্ষণ ও মনিটর করবে এই টেট সেল। তবে এ ব্যাপারে রাজ্য স্কুল সার্ভিস কমিশনের আলাদা করে নির্দেশিকা নেই। আগামী দিনে এ ব্যাপারে সরকারিভাবে জানানো হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।