শুধুমাত্র প্রথাগত পড়াশুনা করলেই, যে গাড়ি- চড়া যাবে, এরকম ধারণার পরিবর্তন অনেকদিন আগেই ঘটে গিয়েছে। মাধ্যমিক উত্তীর্ণ হওয়ার পর রুটিনমাফিক বিজ্ঞান, কলা বা বাণিজ্য, ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং শাখায় পড়া ছাড়াও করে নেওয়া যেতে পারে এরকম একাধিক ভিন্ন ধরনের কোর্স। স্বল্পকালীন ছয় মাস বা একবছরের জন্যও একটি কোর্স করে এগিয়ে যাওয়া যেতে পারে নিজস্ব পছন্দের ভালো কাজের জগতে। তুলে ধরা হলো এরকম কিছু কোর্সের খোঁজখবর
১) কমার্শিয়াল ডাইভিং কোর্স – মাধ্যমিকের পর ডাইভিং সংক্রান্ত একাধিক কোর্স রয়েছে শিখে রাখার জন্য। ছোটবেলা থেকেই অনেকের সাঁতারের উপর প্রশিক্ষণ থাকে। পড়াশুনার পাশাপাশি শরীরচর্চা, স্পোর্টস হিসাবে সাঁতার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু এটিকেই পরবর্তীকালে পেশাতেও কাজে লাগানো যেতে পারে। আন্ডার ওয়াটার ডাইভিং ওয়ার্ক, লাইফ- অপারেশনের কাজ, ওয়াটার স্পোর্টস সংক্রান্ত কাজের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার জন্য করা যেতে পারে ডাইভিং কোর্স। কলকাতায় কেন্দ্রীয় সরকার, যুব কল্যাণ এবং স্পোর্টস দপ্তর অনুমোদিত প্রতিষ্ঠান রয়েছে এক্সপ্লোরারস ইনস্টিটিউট প্রয়োজনে দেখে নিতে পারেন www.seiindia.org/ ওয়েবসাইটটিও।
২) এনার্জি এডুকেশন – যতদিন যাচ্ছে ততো অচিরাচরিত শক্তির ব্যবহারিক প্রয়োজনীয়তা বা গুরুত্ব কয়েকগুণ বেড়ে চলেছে। গত কয়েক দশকে বিভিন্ন সংস্থা থেকে বা সরকারি উদ্যোগেও এই সমস্ত অচিরাচরিত শক্তি নিয়ে প্রচুর কাজ বা প্রোজেক্ট হয়ে চলেছে। স্বাভাবিকভাবে, বোঝাই যাচ্ছে, পরবর্তীকালে এই বিষয় নিয়ে প্রশিক্ষিত প্রার্থীদের চাহিদা অনেক গুণ বেড়ে যাবে। সোলার এনার্জি সোসাইটি অব ইন্ডিয়ার উদ্যোগে একাধিক রাজ্যে সোলার এনার্জি সিস্টেম ডেভেলপমেন্ট, ইমপ্লিমেন্টেশন ইত্যাদির কাজ চলছে। ফটোভোলটেইক মডিউল বা সৌর এনার্জির অন্যান্য সহযোগী যন্ত্রাংশ নিয়ে কাজ হয়ে থাকে। এই বিষয় নিয়ে মাধ্যমিক এবং আইটিআই যোগ্যতায় সার্টিফিকেট বা ডিপ্লোমা কোর্স করে নেওয়া যায়। কলকাতায় রয়েছে ইনস্টিটিউট অব সোলার টেকনোলজি। পশ্চিমবঙ্গে অচিরাচরিত শক্তি নিয়ে কাজ করছে West Bengal Renewable Energy Development Agency মাধ্যমিকের সঙ্গে আইটিআই কোর্স করলে এই ক্ষেত্রে বাড়তি সুবিধা পাওয়া যায় এবং অ্যাডভাসন্ড কোর্স করা যেতে পারে।
৩) ফ্রুট অ্যান্ড ভেজিটেবল প্রিজার্ভেশন সার্টিফিকেট কোর্স – কৃষি আমাদের রাজ্যে অন্যতম প্রধান অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে। গ্রামীণ এলাকার ছাত্র- ছাত্রীদের ছোটবেলা থেকেই চাষ- আবাদ, ফল- মূল, সবজি প্রক্রিয়াকরণ, সংরক্ষণ এই সমস্ত বিষয়ে প্রাথমিক জ্ঞান থাকে। মাধ্যমিক যোগ্যতাতেই এই বিষয় ট্রেনিং নিয়ে এগোতে পারলে ভালোভাবে স্ব- নির্ভর হওয়ার সুযোগ থাকে। সরকারি উদ্যোগে একাধিক জায়গায় এই কাজের জন্য ট্রেনিং দেওয়া হয়ে থাকে। কলকাতাতেই রয়েছে ফ্রুটস অ্যান্ড ভেজিটেবিলস প্রিজার্ভেশন কাম কমিউনিটি ক্যানিং সেন্টার। রাজ্যে বিভিন্ন জেলায় ২২টি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র আছে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ও কৃষি বিপণন দপ্তরের অধীনে। কাছাকাছি কেন্দ্রের জন্য খোঁজ নিতে পারেন নিজ পঞ্চায়েত বা পুরসভায়। হুগলিতে রয়েছে- NETAJI SUBHAS TRAINING INSTITUTE OF AGRICULTURAL MARKETING, Training Institute of West Bengal State Marketing Board Sasmal para Baidyabati Hooghly 712222 Tel No -2632-1710 /2529 & Fax No- 2632-2529
৪) চর্মদ্রব্য ও পাদুকাশিল্পের কোর্স – আমাদের দেশ চামড়াজাত দ্রব্য বা জুতো তৈরি এবং রপ্তানির দিক থেকে প্রগতিশীল। ভারতের মধ্যে কানপুরে এই উৎপাদনের কাজ বেশি হলেও আমাদের রাজ্যেও চামড়াজাত দ্রব্য এবং ফুটউয়্যার ম্যানুফ্যাকচারিং কাজ কম নয়। কলকাতার সল্টলেকে রয়েছে গভর্মেন্ট কলেজ অব ইঞ্জিনিয়ারিং এবং লেদার টেকনোলজি-র মতো প্রতিষ্ঠান। এখান থেকে লেদার গুডস এবং শু মেকিং- উপর দুই বছরের এবং শু অ্যান্ড লেদার গুডস মেকিং- উপর অ্যাডভাসন্ড সার্টিফিকেট কোর্স করানো হয়। ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট কাউন্সিল অব টেকনিক্যাল এডুকেশন- অনুমোদিত এই কোর্স। এই কোর্সে ভর্তি হওয়ার জন্য একটি প্রবেশিকা পরীক্ষা দেওয়া হতে পারে। প্রতিষ্ঠানের যোগাযোগের ঠিকানা – Government College of Engineering & Leather Technology, LB-Block, Sector –III, Salt Lake, Kolkata -700098 / http://www.gcelt.gov.in/
৫) টেলারিং কোর্স – নিজেকে স্বনির্ভর হিসাবে গড়ে তোলার জন্য এবং হাতের কাজ শেখার লক্ষ্যে টেলারিং কোর্স বহুদিন থেকেই প্রচলিত এবং কার্যকরী। বিশেষত ছাত্রীদের জন্য এই কোর্স খুবই উপযোগী, স্বনির্ভর হিসাবে গড়ে ওঠার জন্য। কাপড় কাটা, সেলাই, পোশাক তৈরি, পোশাক ডিজাইন এই সমস্ত বিষয়ে হাতে- কলমে শিখে নেওয়ার জন্য টেলারিং কোর্স অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের রাজ্যে একটা বিশাল বাজার রয়েছে কাপড় বা পোশাক তৈরি, বিক্রি এবং রপ্তানির জন্য। সে কারণে টেলারিং- এর উপর ট্রেনিং নেওয়া থাকলে এই ধরনের কাজে আরও পেশাদার হতে সুবিধা হবে। এমনকি পরবর্তীকালে ভালো হাতের কাজ শেখা থাকলে নিজের উদ্যোগে বা পোশাক তৈরি কারখানায় প্রচুর কাজের সুযোগ পাওয়া যায়। কলকাতায় টেলারিং নিয়ে পড়াশুনা করা যেতে পারে Government Tailoring Institute, Address: P-12, New CIT Road, Deb Lane, Entally, Kolkata, West Bengal 700014, 033-22848134 এখান থেকে দুই বছরের ডিপ্লোমা বা এক বছরের অ্যাডভান্সড ডিপ্লোমা কোর্স করা যেতে পারে। ১৮ থেকে ২৮ বছর বয়সী পুরুষ এবং মহিলা প্রার্থীরাই এই কোর্সে ভর্তি হতে পারেন। এছাড়া বেসরকারি উদ্যোগেও অনেক জায়গায় টেলারিং-এর উপর সার্টিফিকেট কোর্স করানো হয়ে থাকে। মালদাতেও সরকারি ইনস্টিটিউট আছে।
৬) টুল অ্যান্ড ডাই মেকিং কোর্স – মাধ্যমিক শিক্ষাগত যোগ্যতায় আরও একটি ভালো পেশার জায়গা রয়েছে যন্ত্রপাতি ও ছাঁচ বা টুল আ্যন্ড ডাই মেকিং- জগতে। মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত বিজ্ঞান এবং অঙ্ক বিষয়ে ভালো দক্ষতা থাকলে এই ধরনের কোর্স করে কাজের জগতে এগনো যেতে পারে। ভারত সরকারের মাইক্রো, স্মল অ্যান্ড মিডিয়াম এন্টারপ্রাইজেস- উদ্যোগে কলকাতায় রয়েছে এমএসএমই সেন্ট্রাল টুল রুম, কলকাতা সেন্টার। মাধ্যমিক যোগ্যতায় এখান থেকে কম্প্রেসড টুল অ্যান্ড ডাই মেকিং- উপর সার্টিফিকেট কোর্স করা যেতে পারে। প্রেস টুলস এবং মোল্ডস তৈরির প্রশিক্ষণ ভবিষ্যতে ভালো কাজের সুযোগ তৈরি করে দিতে পারে। অসংখ্য স্টিল, মেটাল, গাড়ির যন্ত্রাংশ থেকে শুরু করে অন্যান্য যন্ত্রাংশ তৈরির কারখানা বা কোম্পানিতে আজের সুযোগ করে নেওয়া যেতে পারে। পরবর্তীকালে ডিপ্লোমা বা অ্যাডভাসন্ড ডিপ্লোমা স্তরে পড়াশুনা করার জন্যেও এই কোর্স যথেষ্ট কাজে দেবে। কোর্স করা যেতে পারে- MSME – TOOL ROOM KOLKATA (Central Tool Room & Training Centre), Government of India Society, Ministry of Micro, Small & Medium Enterprises, Bon Hooghly Industrial Area, Kolkata – 700 108
৭) ভোকেশনাল ট্রেনিং ইন ইয়ুথ সেন্টার – রাজ্য সরকারের যুব কল্যাণ দপ্তরের তত্ত্বাবধানে গড়ে তোলা হয়েছে বিভিন্ন ভোকেশনাল ট্রেনিং সেন্টার। রাজ্যের যুবক- যুবতীদের হাতে- কলমে কাজ শিখিয়ে চাকরি বা স্ব- নির্ভর হিসাবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে ট্রেনিং দেওয়া হচ্ছে একাধিক বিষয়ে। নিজেদের পড়াশুনা চালিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি ট্রেনিং নিয়ে ভবিষ্যতের রাস্তা সুগম করতে সক্ষম । মাধ্যমিক যোগ্যতাতেই একাধিক বিষয়ে ভোকেশনাল শিক্ষা নেওয়ার সুযোগ থাকছে। এর মধ্যে মোবাইল ফোন রিপেয়ারিং এবং সার্ভিসিং, রেডিও- রিপেয়ারিং অ্যান্ড সার্ভিসিং, সিল্ক- বিউটিফিকেশন এরকম একাধিক কোর্স করানো হয়ে থাকে রাজ্য যুব কল্যাণ দপ্তরের মাধ্যমে। এই সমস্ত বিষয় নিয়ে সার্টিফিকেট এবং পরবর্তীকালে ডিপ্লোমাও করে নেওয়া যায়। রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় যুব কল্যাণ দপ্তর থেকে ট্রেনিং সেন্টার গড়ে তোলা হয়েছে, ফলে নিজের জেলায় বসেই এই সমস্ত বিষয় ট্রেনিং করে নেওয়ার সুবিধা রয়েছে ছাত্র- উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, বর্ধমান, হুগলি, কলকাতা, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, মুর্শিদাবাদে রয়েছে রাজ্য যুব কল্যাণ দপ্তরের ভোকেশনাল ট্রেনিং সেন্টার। www.wbyouthservices.in/ ওয়েবসাইট থেকেও বিস্তারিত জেনে নেওয়া যেতে পারে।
৮) কম্পিউটার প্রশিক্ষণ – ছাত্র- ছাত্রীদের কম্পিউটার প্রশিক্ষণ বর্তমানকালে অত্যাবশ্যিক হয়ে গেছে। শহরাঞ্চলের ছাত্র- ছাত্রীদের কাছে কম্পিউটার মেশিনের সহজলভ্যতা থাকলেও জেলার অন্তর্বর্তী এলাকাগুলিতে ছাত্র- ছাত্রীদের কিছুটা অসুবিধা রয়েছে। তবে যদি মাধ্যমিক স্তর থেকেই ছেলে- মেয়েদের মধ্যে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ দেওয়া যেতে পারে, তাহলে শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং চাকরি বা কাজের বাজারের সঙ্গে নিজেদের খাপ খাইয়ে নিতে যথেষ্ট সাহায্য করবে। তাই পড়াশুনার পাশাপাশি কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশন বা ইনফরমেশন টেকনোলজি নিয়ে সার্টিফকেট বা ডিপ্লোমা কোর্স করে রাখাটা অত্যন্ত জরুরি। মাধ্যমিক যোগ্যতার সঙ্গে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ নেওয়া থাকলে অনেক সরকারি চাকরির পরীক্ষাতেও আবেদন করা যাবে। তবে কম্পিউটার প্রশিক্ষণের মধ্যে অনেকগুলি ভাগ রয়েছে। যেমন বেসিক কম্পিউটার নলেজ উইন্ডোজ, মাইক্রোসফট অফিস, ইন্টারনেট ব্রাউজিং, ই- এই সমস্ত ধারণা, এছাড়া ডেস্কটপ পাবলিশিং- কাজ বা ডেটা এন্ট্রি অপারেটিং- কাজ মাধ্যমিক যোগ্যতায় শিখে নেওয়া যেতে পারে। রাজ্য যুব কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের উদ্যোগে ইনফরমেশন টেকনোলজিতে সার্টিফিকেট কোর্স (CITA), ইনফরমেশন টেকনোলজিতে ডিপ্লোমা কোর্স (DITA) কোর্স করানো হয়। ডেস্ক টপ পাবলিশিং বা ডেটা এন্ট্রির উপরেও ডিপ্লোমা বা সার্টিফিকেট কোর্স হয়।
৯) বিউটিশিয়ান কোর্স – মাধ্যমিক যোগ্যতার ছাত্রীদের জন্য কাজের জগতে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য যথেষ্ট কার্যকরী কোর্স এই ধরনেরর কোর্সগুলিতে হেয়ার কাটিং, স্টাইলিং, কালারিং, পার্মানেন্ট ওয়েভিং, ম্যানিকিওর, পেডিকিওর থেকে শুরু করে নেইল ডিজাইনিং, মেক- ফেশিয়াল, স্কিন কেয়ার, স্কিন ট্রিটমেন্ট, হেয়ার ট্রিটমেন্ট একাধিক বিষয়ে পড়ানো হয়ে থাকে। চুল, চামড়া, নখের ওপর স্পেশ্যালাইজ করে হেয়ার স্টাইলিস্ট/ হেয়ারড্রেসার, স্কিন কেয়ার স্পেশ্যালিস্ট বা নেইল টেকনিশিয়ান হওয়ার সুযোগ রয়েছে। অনেক প্রতিষ্ঠানে প্রফেশনাল কোর্স হিসাবে বিউটিকেয়ার, স্পা ম্যানেজমন্ট, হেয়ার ট্রিটমেন্ট-এর মতো কোর্সও করানো হয়ে থাকে। তবে এই ধরনের কোর্সের শেষে কাজের জন্য লাইসেন্স-এর প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। দ্য অ্যাসোসিয়েশন অব বিউটি থেরাপি অ্যান্ড কসমেটোলজি (ABTC) থেকে লাইসেন্স প্রদান করা হয়ে থাকে। সেলুন বা স্পা করতে চাইলে লাইসেন্সের প্রয়োজন হয়ে পড়ে। রাজ্য যুব কল্যাণ দপ্তর থেকে বিউটিশিয়ান নিয়ে সার্টিফিকেট কোর্স করানো হয়। যোগাযোগ করা যেতে পারে ভালো বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলিতেও।
১০) মেশিন অপারেটর কোর্স – মাধ্যমিক স্তর পড়াশুনা করার পর নানা কারণবশত কাজের জগতে ঢুকে পড়তে চাইলে প্রাথমিকভাবে বিভিন্ন কলকারখানায় কাজ খোঁজার প্রবণতা থাকে। ছাত্র-ছাত্রীদের তবে সেক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের মেশিন চালানোর দক্ষতা থাকাটাও জরুরি হয়ে পড়ে। আগে এই সমস্ত কল-কারখানায় হাতে ধরে কাজ শিখে নেওয়ার রীতি ছিল। কিন্তু বর্তমান অনেক ক্ষেত্রেই এই সমস্ত বিষয়ে সঠিক প্রশিক্ষণ এবং সার্টিফিকেশন চাওয়া হয়। স্বাভাবিকভাবেই মেশিন অপারেশনের উপর প্রশিক্ষণ নিয়ে রাখতে পারলে কাজের জায়গা এবং সেখানে নিজেকে উপযুক্তভাবে উপস্থাপন করার সুবিধা হয়। এর মধ্যে লেদ মেশিন, মিলিং মেশিন, গ্রাইন্ডিং মেশিন পরিচালনা করার কাজের জায়গা অনেক বেশি। মাধ্যমিক বা মাধ্যমিকের কম যোগ্যতাতেও এই মেশিন অপারেশনের উপর প্রশিক্ষণ নেওয়া যায়। কলকাতায় মাইক্রো, স্মল অ্যান্ড মিডিয়াম এন্টারপ্রাইজের উদ্যোগে এমএসএমই টুল রুম, কলকাতা থেকে মেশিন অপারেশনের উপর বেসিক সার্টিফিকেট ( মাস বা এক বছরের) কোর্স করার সুযোগ রয়েছে। যোগাযোগ করা যেতে পারে- MSME – TOOL ROOM KOLKATA (Central Tool Room & Training Centre), Government of India Society, Ministry of Micro, Small & Medium Enterprises, Bon Hooghly Industrial Area, Kolkata – 700 108