Site icon জীবিকা দিশারী

মামলায় অন্তর্বর্তী রায়ে রাজ্যে মাদ্রাসাগুলিতে নিয়োগে বাধা কাটল


রাজ্য সরকারের অনুমোদিত ৬১৪টি মাদ্রাসার মধ্যে ৪৬৬টিতে শিক্ষক নিয়োগ করতে পারবে সংশ্লিষ্ট মাদ্রাসার পরিচালন কমিটি, অন্যদিকে মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশন চূড়ান্ত প্যানেল প্রকাশ করবে এবং নিয়োগের সুপারিশ করবে বাকি ১৪৮টি মাদ্রাসার শূন্যপদে নিয়োগের জন্য। গত বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি অরুণ মিশ্রের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ এই সংক্রান্ত মামলায় এক অন্তর্বর্তী রায়ে এই নির্দেশ দেন। শেষপর্যন্ত অবশ্য মূল মামলার চূড়ান্ত রায়ের ওপর সবকিছু নির্ভর করবে। ততদিন বলবৎ থাকবে এই রায়। এর আগে ২০১৪ সালের ১২ মার্চ কলকাতা হাইকোর্টে পশ্চিম বঙ্গ মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশন অবৈধ ঘোষিত হওয়ার পর যে সমস্ত অনুমোদিত মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির নিয়োগ করা শিক্ষকরা বেতন পাচ্ছেন না, তাঁদের বিষয়েও সরকারকে বিবেচনা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, নিয়োগের প্রক্রিয়া খতিয়ে দেখবে সরকার এবং যদি স্বচ্ছ ও যোগ্যতার ভিত্তিতে নিয়োগ হয়ে থাকে তাহলে তাঁদের বেতন দিতে হবে সরকারকে।

একই সঙ্গে মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, ষষ্ঠ এসএলএসটি পরীক্ষার চূড়ান্ত প্যানেল প্রকাশ করতে এবং শর্তসাপেক্ষে নিয়োগের সুপারিশ করতে। পঞ্চম এসএলএসটি নিয়োগ প্রক্রিয়ার ওয়েটিং লিস্টে থাকা ২৪ জন চাকরি প্রার্থীকেও নিয়োগ করার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশন আদালতের নির্দেশ পাবার পর সেইমতো ব্যবস্থা নেবে বলে জানা গেছে।

প্রসঙ্গত, রাজ্যের সরকারি অনুমোদনপ্রাপ্ত বাকি ১৪৮টি মাদ্রাসা রাজ্য সরকারের মাদ্রাসা শিক্ষা পর্ষদের নিয়মানুযায়ী চলতে রাজি থাকার কারণে সেগুলিতে নিয়োগও হবে পর্ষদের নিয়ম মোতাবেক মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের সুপারিশে। মামলার পরবর্তী শুনানি হবে আগামী ১২ জুলাই।

আপাতত মাদ্রাসা কমিটিগুলি ও মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের নিয়োগে বাধা কাটল, ফলে উপকৃত হবেন কয়েক হাজার কর্মপ্রার্থী।

Exit mobile version