ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে কিন্তু সবসময়ই নিজেদের প্রস্তুতির জন্য একটু অতিরিক্ত সময় পাওয়ার প্রবণতা থাকে। সে পরীক্ষার আগে নির্দিষ্ট বিষয়ের বা পাঠক্রমের জন্য কিছু “এক্সট্রা ক্লাস” পাওয়ার সুযোগই হোক বা পরীক্ষার হলে আনসার স্ক্রিপ্ট জমা দেওয়ার আগে একটু “এক্সট্রা টাইম” পাওয়া হোক। বিশ্ব জুড়ে মহামারীর সময়ে এই লকডাউন পরিবেশ কিন্তু হাজারো সমস্যা ও ক্ষতির মাঝেও প্রস্তুতিরত ছাত্র-ছাত্রী বা পরীক্ষার্থীদের একটা ভালো সুযোগ এনে দিয়েছে।
আমরা জানি, মার্চ থেকে মে মাস যেকোন শিক্ষাবর্ষের ক্ষেত্রেই পরীক্ষার সময়। ঠিক তেমনি দেশব্যাপী সরকারি চাকরির ক্ষেত্রেও কিন্তু এই সময়ে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার একটা বিস্তর সিডিউলিং হয়ে থাকে। পরিশ্রমী ছাত্র -ছাত্রীরা অনেক আগে থেকেই নিজেদের মধ্যে এইসব প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়ার রুটিনভিত্তিক প্ল্যান তৈরী করে রাখে এবং সেইমতো প্রস্তুতি পর্ব চালিয়ে যায়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সরকারি চাকরির পরীক্ষার্থীরা উচ্চ-মাধ্যমিক বা গ্র্যাজুয়েশনের পর ১ থেকে তিন বছর হাতে সময় নিয়ে থাকে পরীক্ষার প্রস্তুতি পর্বের জন্য।
এ বছর মার্চ থেকে মে মাসের মধ্যেও একাধিক চাকরির পরীক্ষা বা ইন্টারভিউয়ের সূচি নির্ধারিত হয়েছিল, যার বেশিরভাগটাই কোভিড-১৯ সংক্রমণের পরিস্থিতে পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। যার কারণে যে বাড়তি সময়টুকু পাওয়া যাচ্ছে, সেটাকে পুরোদমে কাজে লাগিয়ে নেওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন পরীক্ষার্থীরা। বলা যেতে পারে এই সময়টুকুকে তারা “রিভিশন পিরিয়ড” হিসাবে খুব ভালোভাবে ব্যবহার করে নিতে পারবে।
দেখে নেওয়া যাক কোন গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা বা ইন্টারভিউ বা পার্সোনালিটি টেস্ট পিছিয়ে গেল –
পরীক্ষার্থীমহলের একাংশ অবশ্য মনে করছে, যে এক্ষেত্রে তাদের আত্মবিশ্বাস ও মনোবলের ক্ষেত্রে একটা ধাক্কা লাগলো, নির্দিষ্ট সূচি বা রুটিন অনুযায়ী প্রস্তুতি সেরে রাখার পরে কোন পরীক্ষার ক্ষেত্রে বাঁধা আসলে সেক্ষেত্রে ভারসাম্য হারিয়ে ফেলার একটা সম্ভাবনা থাকে। আবার অনেক পরীক্ষার্থীরা বিশেষত যাদের নির্দিষ্ট প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতির ক্ষেত্রে কিছুটা দেরি হয়ে গেছিলো, তাদের ক্ষেত্রে এই লকডাউন পর্ব বাড়তি সুযোগ এনে দিলো। এ বিষয়ে বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ রজনীকান্ত বন্দ্রে একটি বিবৃতিতে জানিয়েছেন – যে কোন পরীক্ষার ক্ষেত্রে সেলফ-স্টাডি কিন্তু অনেকটা বড়ো ভূমিকা পালন করেন, যে সব ছাত্র-ছাত্রীদের কিছুটা খামতি ছিল, তারা কিন্তু এই সময় সেলফ-স্টাডির একটা বাড়তি সুবিধা পেয়ে গেল।
এটা বলা যেতে পারে, স্কুল-কলেজের গতানুগতিক পরীক্ষার ক্ষেত্রে পরীক্ষা পিছিয়ে যাওয়ার বিষয়টি কিছুটা সমস্যার সৃষ্টি করলেও, সরকারি প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার ক্ষেত্রে বাড়তি সময়টুকু পরীক্ষার্থীদের কিছুটা হলেও কিন্তু সাহায্য করবে।
Govt Exam, Govt Job, State Government Job