রেলের চাকরির পরীক্ষাতেও নানা কারণে শাস্তিবিধান আছে। যেমন, পরীক্ষায় কোনো রকম অসদুপায় অবলম্বন, অন্য কাউকে নিজের হয়ে পরীক্ষা দিতে পাঠানো, বা নিজে অন্য কারও হয়ে পরীক্ষা দেবার চেষ্টা করলে সারাজীবনের জন্য রেলওয়ে রিক্রুটমেন্ট বোর্ড/ রেলওয়ে রিক্রুটমেন্ট সেলের সব পরীক্ষা দেবার সুযোগ হারাতে হবে। এরকম কিছু ঘটলে রেলের কোনো চাকরিতে নিয়োগ করা হবে না বা ইতিমধ্যে নিয়োগ হয়ে থাকলে বরখাস্ত করা হবে। তাঁর বিরুদ্ধে মামলা বা আইনগত ব্যবস্থাও নেওয়া হতে পারে।
রেলওয়ে রিক্রুটমেন্ট বোর্ডকে কোনো পর্যায়ে কোনো মিথ্যা তথ্য দিলে বা জেনেশুনে কোনো তথ্য গোপন করলে তিনি রেলের চাকরির যে-কোনো রকম পরীক্ষায় বসার যোগ্যতা হারাবেন এবং রেলের বা যে-কোনো সরকারি চাকরির নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় বা পরীক্ষায় অবতীর্ণ হবার সুযোগ হারাবেন। নিয়োগ পেয়ে থাকলে বরখাস্তও হতে পারেন।
কোনো পরীক্ষায় বসার যোগ্যতা অর্জনের জন্য বা বিশেষ কোনো সুবিধা আদায়ের জন্য— যেমন কম্পিউটার ভিত্তিক পরীক্ষা বা স্টেনোগ্রাফি স্কিল টেস্ট বা করে দেখানোর পরীক্ষা/শিক্ষণ দক্ষতার পরীক্ষা, অনুবাদ পরীক্ষা, প্রমাণপ্ত্রাদি যাচাই পর্বে (যাঁর ক্ষেত্রে যেমন প্রযোজ্য) বিনা পয়সায় যাতায়াতের পাস— ইত্যাদি কোনো সুবিধা পাবার জন্য জাল বা বিকৃত সার্টিফিকেট দাখিল করলে সেই বিশেষ চাকরির পরীক্ষার জন্য তাঁর প্রার্থিপদ বাতিল করা হতে পারে। তাছাড়া দেশের সমস্ত রেলওয়ে রিক্রুটমেন্ট বোর্ডের/ রেলওয়ে রিক্রুটমেন্ট সেলের সমস্ত চাকরির পরীক্ষা থেকে ২ বছর বা তেমন বিবেচিত হলে সারাজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হতে পারে এবং উপযুক্ত ক্ষেত্রে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে।
প্রার্থী যদি নিজের নিয়োগ সম্ভাবনা বাড়ানোর উদ্দেশ্যে কোনো রাজনৈতিক বা অন্য প্রভাব আনেন বা আনার চেষ্টা করেন তাহলে তাঁর প্রার্থিপদ বাতিল করা হতে পারে।