রেলে সাড়ে নহাজার কনস্টেবল নিয়োগের কাজ আরও এগোল

728
11
Rail RPF Picture

রেলওয়ে প্রটেকশন ফোর্স ও রেলওয়ে প্রটেকশন স্পেশ্যাল ফোর্সে সাড়ে নয় হাজারের বেশি কনস্টেবল নেওয়ার আরেক ধাপ এগোল। ১৩ এপ্রিল ২০১৮ তারিখের এক নির্দেশনামায় (নির্দেশনামা ৪৩) নথিভুক্ত হয়েছে নিয়োগ সংক্রান্ত নিয়ম-নীতি-পদ্ধতি ইত্যাদি, ৩৯ পৃষ্ঠা জুড়ে। নিয়োগের আগে রেলের নিরাপত্তা বাহিনী (আরপিএফ) ও বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী (আরপিএসএফ)-র বিভিন্ন জোন বা অঞ্চলের বর্তমান শূন্যপদ সংগ্রহ শেষ হলে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পরের বছর ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সম্ভাব্য শূন্যপদের হিসাব ধরে নিয়োগ কর্মসূচি নেওয়া হবে এবং সেইমতো নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হবে।

৫ গ্রুপে ১৬ জোন: বিভিন্ন জোনাল রেলওয়েকে ভাগ করা হয়েছে ৫টি গ্রুপে, তাছাড়া আছে রেলওয়ে প্রোটেকশন স্পেশ্যাল ফোর্স: (এ) সাউথ রেল, সাউথ-ওয়েস্ট রেল, সাউথ-সেন্ট্রাল রেল। (বি) সেন্ট্রাল, ওয়েস্টার্ন, ওয়েস্ট-সেন্ট্রাল, সাউথ-ইস্ট-সেন্ট্রাল। (সি) ইস্টার্ন, ইস্ট-সেন্ট্রাল, সাউথ-ইস্ট, ইস্ট কোস্ট। (ডি) নর্দার্ন, নর্থ-ইস্টার্ন, নর্থ-ওয়েস্টার্ন, নর্থ-সেন্ট্রাল। (ই) নর্থ ফ্রন্টিয়ার। (এফ) আরপিএসএফ। যাঁরা আরপিএসএফের চাকরি চান তাঁদের আরপিএসএফেই চাকরি করতে হবে, তবে পরে পদোন্নতির ফলে গেজেটেড পর্যায়ে উঠলে তখন কোনো জোনে নিযুক্ত হতে পারবেন।

রেলের বিভিন্ন কারখানা ইত্যাদি প্রডাকশন ইউনিটকে জুড়ে দেওয়া হয়েছে সংশ্লিষ্ট আঞ্চলিক রেলের সঙ্গে। যেমন পূর্ব রেলের মধ্যে পড়ে চিত্তরঞ্জন লোকোমোটিভ ওয়ার্ক্স ও কলকাতা মেট্রো রেল। উত্তর-পূর্ব রেলের মধ্যে পড়ে বারাণসীর ডিজেল লোকোমোটিভ ওয়ার্ক্স। এরকম ৬টি জোনের মধ্যে পড়ছে বাকি প্রডাকশন ইউনিটগুলো। সেই ৬ জোনের বাকিগুলো হল উত্তর রেল (পাতিয়ালার ডিএমডব্লু, রায়বেরিলির আরসিএফ, কাপুরথালার আরসিএফ), দক্ষিণ-পশ্চিম রেল (ইয়েলাহাঙ্কার আরডব্লুএফ), দক্ষিণ রেল (চেন্নাইয়ের আইসিএফ), পূর্ব-মধ্য রেল (বেলার আরডব্লুএফ, হার্নাউথের আরসিএফ)।

শূন্যপদের বিভাজন: শূন্যপদ সংগ্রহের পর তার বিভাজন হবে গ্রুপ ভিত্তিতে ক্যাটেগরি মাফিক। যেমন (১) পুরুষদের জন্য অসংরক্ষিত, তপশিলি জাতি, তপশিলি উপজাতি, ওবিসি, (২) মহিলাদের জন্য অসংরক্ষিত, তপশিলি জাতি, তপশিলি উপজাতি, ওবিসি (৩) এই দুয়ের শূন্যপদের গ্রুপভিত্তিক যোগফল। মোট শূন্যপদের ১০% সংরক্ষিত থাকবে প্রাক্তন সমরকর্মীদের জন্য।

আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় যোগ্যতা: কনস্টেবল পদের জন্য অন্তত মাধ্যমিক/সমতুল পাশ হতে হবে, বয়স ১ জুলাই ২০১৮ তারিখে ১৮-২৫ বছরের মধ্যে। বিধবা/বিবাহবিচ্ছিন্না/আইনত পতিসঙ্গ বিচ্ছিন্না মহিলা সহ সংরক্ষিত শ্রেণির ক্ষেত্রে নিয়মানুযায়ী বয়সের ছাড় আছে।

শারীরিক মান: উচ্চতা হতে হবে পুরুষদের অন্তত ১৬৫ সেমি, মহিলাদের ১৫৭ সেমি। তপশিলিরা ৫ সেমি এবং গোর্খা-গাড়োয়ালি প্রভৃতি পার্বত্য অঞ্চলের প্রার্থীরা ২ সেমি ছাড় পাবেন। ছাতির মাপ (কেবল পুরুষদের) হতে হবে না ফুলিয়ে ৮০, ফুলিয়ে ৮৫ সেমি। এক্ষেত্রে কেবল তপশিলি প্রার্থীরা ৩.৮ সেমি ছাড় পাবেন।

প্রার্থী বাছাই পদ্ধতি: অনলাইন কম্পিউটার ভিত্তিক পরীক্ষা হবে, পরীক্ষা দেওয়া যাবে বাংলা, ওড়িয়া, অহমিয়া, উর্দু ইত্যাদি ভাষাতেও, হিন্দি বা ইংরেজিতে তো দেওয়াই যায়।

আবেদন পদ্ধতি: আবেদন করা যাবে কেবল অনলাইনে, অন্য কোনো ভাবে নয়। যে-কোনো একটা গ্রুপের পদের জন্য অথবা আরপিএসএফের জন্য আবেদন করা যাবে। গ্রুপের জন্য আবেদন করলে সেই গ্রুপভুক্ত জোনগুলির মধ্যে থেকে একাধিক জোনের পছন্দের ক্রম জানাতে পারবেন। একাধিক দরখাস্ত করলেই বাতিল। আবেদনের ফি এখনও ঘোষিত হয়নি, বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হবে। ফি দেওয়া যাবে অনলাইনে নেট ব্যাঙ্কিং/ডেবিট কার্ড/ক্রেডিট কার্ডে, কিংবা চালান ডাউনলোড করে এসবিআইয়ে নগদ জমা দিয়ে। তপশিলি, মহিলা, সংখ্যালঘু সম্প্রদায় ও অর্থনৈতিক পশ্চাদপর শ্রেণির মানুষ যাঁদের বার্ষিক পারিবারিক আয় ৫০০০০ টাকার কম তাঁদের আবেদনের ফি দিতে হবে না। আবেদনের সময় আপলোড করার জন্য সাম্প্রতিক পাসপোর্ট মাপের (৩৫ বাই ৪৫ মিমি) রঙিন ফটো (তার ওপর নিজের নাম ও ছবি তোলার তারিখ যেন ছাপা থাকে) জেপিজি/জেপেগ (১০০ ডিপিআই) ফর্ম্যাটে স্ক্যান করে রাখবেন। ছবি সাদা বা হাল্কা ব্যাকগ্রাউন্ডে তোলা হবে সানগ্লাস বা টুপি না পরে, স্টুডিওতে তোলানোই ভালো, মোবাইল ইত্যাদিতে তুললে বাতিল হতে পারে। অন্তত ৫০% জুড়ে পরিষ্কার মুখচ্ছবি থাকা চাই। স্ক্যান করা ইমেজের মাপ হবে ১৫-৪০ কেবির মধ্যে। এই একই ছবির আরও অন্তত ১২টি কপি নিজের কাছে তৈরি রাখবেন। তপশিলিদের ক্ষেত্রে জেপিজি/জেপেগ ফর্ম্যাটে কাস্ট সার্টিফিকেট স্ক্যান করিয়ে রাখতে হবে ৫০-১০০ কেবির মধ্যে।

দরখাস্তের শেষে একটা ডিক্ল্যারেশন কনফার্ম করতে ভুলবেন না।

এইসব খুঁটিনাটি জানা যাবে আরপিএফের এই লিঙ্কে: http://www.indianrailways.gov.in/railwayboard/uploads/directorate/security/downloads/2018/Directive_43.pdf