ডাকটিকিট জমিয়েও পাওয়া যাবে ডাকবিভাগের স্কলারশিপ। বিশেষ করে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে ডাকটিকিট জমানোর অভ্যেস গড়ে তুলতে কেন্দ্রীয় সরকারের এমন প্রকল্প। পণ্ডিত দীনদয়াল উপাধ্যায়ের সম্মানে গড়ে ওঠা এই প্রকল্পটির নাম স্পর্শ। প্রকল্পটি উপলক্ষ্যে স্কুলে–স্কুলে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে উৎসাহ দিয়ে স্ট্যাম্প জমানোয় সচেতন করতে চায় ডাকবিভাগ। এই প্রকল্পে ছাত্রছাত্রীরা স্ট্যাম্প বা ডাকটিকিট জমিয়ে বছরে ছ’হাজার টাকা করে স্কলারশিপ পেতে পারবে। কী করে? এক কথায়, স্ট্যাম্প জমানোর সঙ্গে–সঙ্গে পড়াশোনায় বার্ষিক পরীক্ষায় পেতে হবে ৬০ শতাংশ নম্বর। স্কলারশিপ হিসাবে মাসে–মাসে ৫০০ টাকা করে দেওয়া হবে। ‘স্পর্শ’ যোজনার মূল শর্ত, স্কুলে কয়েকজন মিলে একটি ফিলাটেলি ক্লাব খুলে তার সদস্য হতে হবে। যদি কোনো স্কুলে ফিলাটেলি ক্লাব না থাকে তা হলে পোস্ট অফিসে নিজেই উদ্যোগী হয়ে ২০০ টাকার বিনিময়ে ফিলাটেলি অ্যাকাউন্ট খুলে ফেলা যাবে। সেই অ্যাকাউন্ট খুললে বাজারে আসা নতুন স্ট্যাম্পের হদিশ পাওয়া যাবে পোস্ট অফিসের মাধ্যমেই। নবম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ুয়ারা স্কুলে ফিলাটেলি ক্লাব খুলে বা পোস্ট অফিসে ফিলাটেলি অ্যাকাউন্ট খুলে স্পর্শের শর্তগুলি পূরণ করতে পারলে মাসে ৫০০ টাকা করে বা বছরে ৬ হাজার টাকার স্কলারশিপ পাবে ডাক বিভাগ থেকে। শুধু স্ট্যাম্প জমালেই হবে না, ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত ছাত্রছাত্রীদের স্ট্যাম্প জমানোর পাশাপাশি স্কুলের বার্ষিক পরীক্ষায় অন্তত ৬০ শতাংশ নম্বর পেতেই হবে। তপশিলি জাতি বা উপজাতিদের ক্ষেত্রে কিছুটা ছাড় পাওয়া যাবে। স্কলারশিপ পাওয়ার ক্ষেত্রে দুটি ধাপ পেরোতে হবে। একটি লিখিত পরীক্ষা, অন্যটি প্রজেক্ট তৈরি। এগুলির উপর নির্ভর করে সেরাদের বাছাই করা হবে। প্রতিটি সার্কল থেকে ৪০ জন ছাত্রছাত্রীকে বেছে নেওয়া হবে। শুধুমাত্র ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ুয়ারাই প্রকল্পের অর্ন্তভুক্ত।