দরখাস্ত করার সময় কোনো ভুল/বিকৃত/বানানো তথ্য দিলে বা কোনো কিছু গোপন করলে প্রার্থিপদ বাতিল হয়ে যাবে। প্রথমে এরকম কিছু ধরা না পড়লেও যে-কোনো পর্যায়ে, এমনকি চাকরি পেয়ে গেলেও শাস্তির সম্ভাবনা থেকেই যায়।
পরীক্ষার হলেও অসদুপায় অবলম্বন করলে বা কারুর হয়ে পরীক্ষা দিলে বা কাউকে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীর হয়ে পরীক্ষা দেওয়ালে বা পরীক্ষাকক্ষে দুর্ব্যবহার করলে বা নির্বাচিত হবার জন্য কোনো নিয়মবহির্ভূত বা অস্বাভাবিক উপায় অবলম্বন করলে বা নিজের প্রার্থিপদের সমর্থনে কোনো অসদুপায় অবলম্বন করলে তিনি ফৌজদারি অপরাধের শামিল তো হবেনই, তাছাড়াও তিনি সংশ্লিষ্ট পরীক্ষা দেওয়ার যোগ্যতা হারাতে পারেন বা এঁদের যে-কোনো পরীক্ষা থেকে বরাবরের জন্য বা কোনো নির্দিষ্ট সময়ের জন্য বহিষ্কৃত হতে পারেন। কর্তৃপক্ষ কোনো প্রার্থীর উত্তরপত্রের সঙ্গে অন্য কারুর মিল আছে কিনা, থাকলে তা কতটা কী ধরনের তা বিচার-বিশ্লেষণ করে দেখতে পারেন এবং যদি দেখা যায় উত্তর অন্যের থেকে নেওয়া, যে নম্বর পেয়েছেন তা বৈধ নয়, তাহলে তাঁর প্রার্থিপদ বাতিল করা হতে পারে।
মোবাইল ফোন, পেজার বা এরকম কোনো যোগাযোগ সরঞ্জাম পরীক্ষাকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার অনুমতি নেই। এই নির্দেশ পালনের কোনোরকম বিচ্যুতি ঘটলে প্রার্থিপদ বাতিল সহ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা যেমন ভবিষ্যতেও পরীক্ষায় বসার সুযোগ থেকে বহিষ্কার করা হতে পারে। পরীক্ষাকক্ষে ক্যালকুলেটর ব্যবহার বা সঙ্গে রাখাও নিষিদ্ধ। তাই এসব নিষিদ্ধ সামগ্রী পরীক্ষাকেন্দ্রে নিয়ে না যেতে বলা হয়, কারণ এগুলি রাখার মতো কোনো সুরক্ষা ব্যবস্থার নিশ্চয়তা নেই।