স্বস্তির নিঃশ্বাস ১৭ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের। ২০১২ সালের প্রাথমিক শিক্ষক বাতিল হবে না বলে জানিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সঞ্জীব বন্ধ্যোপাধ্যায় ও অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ।
২০১২ সালের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষায় অনিয়ম হয়েছে বলে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করা হয়েছিল। অবশ্য গতকালই এক সিদ্ধান্তে হাইকোর্ট জানিয়ে দিয়েছিলো, ১৭ হাজার পদে শিক্ষক নিয়োগ বাতিল হবে না বলে জানানো হয়েছিল। হাইকোর্ট মেনে নিয়েছে, পরীক্ষায় অনিয়ম হয়েছিল। তবে এখন এত শিক্ষকের চাকরি বাতিল করলে তা প্রবল জনবিরোধী হবে। সেই মতো আজ সম্পূর্ণ নথি ও ঘটনা খতিয়ে দেখে হাইকোর্ট প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে জরিমানা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছে। মামলাকারীদের ক্ষতিপূরণ দিয়ে ক্ষান্ত থাকতে হবে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে। মোট ২০ জন মামলাকারীর হাতে ১ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
তবে শিক্ষকদের নিয়োগ কোনোভাবে বাতিল হবে না। ২০১২ সালে এই নিয়োগ প্রক্রিয়ার জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছিল। ২০১৩ সালে পরীক্ষা গ্রহণ করা হয়। পরীক্ষা দিয়েছিলেন প্রায় ৪৫ লক্ষ পরীক্ষার্থী।এর মধ্যে থেকে ৩০ লক্ষ প্রার্থী পরীক্ষা দেন। সেখান থেকে প্রায় ১৭ হাজার পদে শিক্ষক নিয়োগ করা হয়। তারা বর্তমানে বিভিন্ন স্কুলে কর্মরত রয়েছেন।