আগামী বছর অর্থাৎ ২০১৯ সাল থেকেই ডাক্তারি শিক্ষায় আসছে আমুল পরিবর্তন। শুধুমাত্র বই নির্ভর মুখস্থবিদ্যা নয়, হাতে-কলমে পরীক্ষনিরীক্ষার মাধ্যমেই ডাক্তারি ছাত্রছাত্রীরা শিখবেন তাঁদের ডাক্তারি পাঠ্য বিষয়ে। তাছাড়া, প্রথম বছর থেকেই ডাক্তারি করার সুযোগ করে নিতে পারবেন তাঁরা, এখন যেখানে দ্বিতীয় বর্ষ থেকে তাঁরা সেই সুযোগ পান। তৈরি হবে এমবিবিএস-এর নতুন সিলেবাস। যার নাম ‘কম্পিটেন্সি বেসড আন্ডারগ্র্যাজুয়েট কারিকুলাম— দ্য ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল গ্রাজুয়েট। এই সিলেবাস তৈরি করেছেন দেশের জনাষাটেক স্বনামধন্য চিকিৎসক। বেশ কিছু ডাক্তারি শিক্ষাবিদও রয়েছেন এই কমিটিতে। এই নতুন সিলেবাসটি তৈরি করেছে মেডিক্যাল কাউন্সিল অব ইন্ডিয়া। নতুন পঠন-পাঠনের সিলেবাস অনুযায়ী ডাক্তারি ছাত্রছাত্রীরা অ্যাডমিশনের প্রথম বছর থেকেই দেশের প্রায় ৪৮১টি মেডিকেল কলেজ ও ৬৭ হাজার মেডিকেল ছাত্র-ছাত্রী এই নতুন শিক্ষাপদ্ধতিতে রপ্ত হয়ে উঠবেন। লেকচার নির্ভর পড়াশোনা যতটা সম্ভব কমিয়ে আনাই এই নতুন পঠন-পাঠনের উদ্দেশ্য বলে জানিয়েছেন কমিটির চেয়ারম্যান ডাঃ বেদপ্রকাশ মিশ্র। শুধুমাত্র কনফিডেন্ট বা কমপিটেন্ট হয়ে চিকিৎসাই নয়, রোগীর বাডির লোকেদের সঙ্গে কেমন ভাবে ব্যবহার করতে হবে তারও নীতিগত দিকটি থাকবে এই সিলেবাসের মধ্যে। যাকে বলা হচ্ছে অ্যাটকম বা অ্যাটিটিউড, এথিক্স এবং গুড কমিউনিকেশন। সদ্যমৃতের পরিবারের বাড়ির লোকেদের সঙ্গে কীভাবে ব্যবহার করতে হবে সে সবই থাকবে এই শিক্ষার মধ্যে। বর্তমানের বিশিষ্ট ডাক্তারদের একাংশের অভিমত, এটা খুবই ভালো দিক। বিশ্বের বহু উন্নত দেশে বর্তমানে এই পদ্ধতিতেই শিক্ষা প্রদান করা হয়ে থাকে। আধুনিক যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে হাতে-কলমে শিক্ষাই অনেক বেশি জরুরি। সেই সব দিক দেখেই নতুন তৈরি হওয়া এই পদ্ধতি ভারতবর্ষের ডাক্তারি শিক্ষার ইতিহাসে এক নতুন মোড় নিতে চলেছে বলে তাঁদের অভিমত। কারণ সেখানে প্রথম থেকেই ডাক্তারি ছাত্রছাত্রীরা হাতে-কলমে শিখবেন।