বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স, সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স, সেন্ট্রাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিকিউরিটি ফোর্স, ইন্দো-টিবেটান বর্ডার পুলিস ও সশস্ত্র সীমাবল— এই পাঁচ কেন্দ্রীয় সশস্ত্র বাহিনীতে ২০৯ জন তরুণ-তরুণী নিয়োগ করা হবে সেন্ট্রাল আর্মড পুলিশ ফোর্সেস (অ্যাসিস্ট্যান্ট কমান্ড্যান্টস) পরীক্ষা ২০২০-র মাধ্যমে। এগজামিনেশন নোটিস নম্বর: 12/2020‐CPF, তারিখ ১৮.০৮.২০২০। প্রার্থী বাছাই পরীক্ষা নেবে ইউনিয়ন পাবলিক সার্ভিস কমিশন। অনলাইন আবেদন করা যাবে আগামী ৭ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত।
শূন্যপদ: পাঁচ কেন্দ্রীয় পুলিশ বাহিনীর মোট শূন্যপদ ২০৯। বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সে ৭৮, সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্সে ১৩, সেন্ট্রাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিকিউরিটি ফোর্সে ৬৯, ইন্দো-টিবেটান বর্ডার পুলিসে ২৭, সশস্ত্র সীমাবলে ২২।
শিক্ষাগত যোগ্যতা: কোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ব্যাচেলর ডিগ্রি। যাঁরা স্নাতক স্তরের চূড়ান্ত বর্ষের পরীক্ষা দিচ্ছেন তাঁরাও শর্তসাপেক্ষে আবেদন করতে পারবেন। এনসিসিসি ‘বি’ অথবা ‘সি’ সার্টিফিকেট থাকলে বাঞ্ছনীয় যোগ্যতা হিসেবে গণ্য হবে। ইন্টারভিউ/পার্সোন্যালিটি টেস্টের সময় এটি দেখা হবে।
বয়সসীমা: ১ আগস্ট ২০২০ তারিখে বয়স হতে হবে ২০ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে (জন্মতারিখ ২ আগস্ট ১৯৯৫ সালের আগে ও ১ আগস্ট ২০০০ সালের পরে নয়) সংরক্ষিত শ্রেণির প্রার্থীরা নিয়ম অনুযায়ী বয়সের ঊর্ধ্বসীমায় ছাড় পাবেন।
শারীরিক মাপজোক: পুরুষ প্রার্থীদের ক্ষেত্রে উচ্চতা হতে হবে ১৬৫ সেন্টিমিটার, বুকের ছাতি না ফুলিয়ে ও ফুলিয়ে যথাক্রমে ৮১ ও ৮৬ সেন্টিমিটার। বয়স ও উচ্চতার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ ওজন হতে হবে (বিস্তারিত হিসাব সারণী পাবেন নিচের লিঙ্কে ওয়েবসাইটে) ন্যূনতম ওজন হতে হবে ৫০ কেজি। মহিলা প্রার্থীদের উচ্চতা হতে হবে অন্তত ১৫৭ সেন্টিমিটার, বয়স ও উচ্চতার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ ওজন হতে হবে (বিস্তারিত ওয়েবসাইটে) ন্যূনতম ওজন ৪৬ কেজি।
দৃষ্টিশক্তি: চশমা ছাড়া দূরের দৃষ্টি হতে হবে ভালো চোখে ৬/৬ ও খারাপ চোখে ৬/১২ অথবা দু চোখেই ৬/৯, কাছের দৃষ্টি সংশোধিত ভালো চোখে এন-৬ ও খারাপ চোখে এন-৯ কালার ভিশন থাকতে হবে। চশমা বা ল্যাসিক সার্জারির ক্ষেত্রে মায়োপিয়া থাকলে মাইনাস ৪. ডি ও হাইপারমেট্রোপিয়া থাকলে প্লাস ৪. ডির মধ্যে হতে হবে। ভাঙা হাঁটু, চ্যাটালো পায়ের পাতা, শিরাস্ফীতি, ট্যারা চাউনি, বর্ণান্ধতা, তোতলামি থাকলে আবেদন করবেন না। টিবি বা যে-কোনো ধরনের আর্থ্রাইটিস, উচ্চ রক্তচাপ জনিত সমস্যা, ডায়াবেটিস, হাঁপানি বা হৃদ্রোগের কোনো সমস্যা থাকলেও আবেদন করতে পারবেন না। শারীরিক ও মানসিক দিক থেকে পুরোপুরি সুস্থ হতে হবে।
প্রার্থী বাছাই পদ্ধতি: লেখা পরীক্ষা, ফিজিক্যাল স্ট্যান্ডার্ড/ ফিজিক্যাল এফিশিয়েন্সি টেস্ট, মেডিক্যাল স্ট্যান্ডার্ড টেস্ট ও ইন্টারভিউ/পার্সোন্যালিটি টেস্টের মাধ্যমে প্রার্থী বাছাই করা হবে। লেখা পরীক্ষা হবে ২০ ডিসেম্বর ২০২০। লেখা পরীক্ষায় দুটি পেপার থাকবে, পেপার ওয়ানের পরীক্ষা হবে সকাল ১০টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত ও পেপার টু-এর পরীক্ষা হবে দুপুর ২টো থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত। পেপার ওয়ানে থাকবে জেনারেল এবিলিটি অ্যান্ড ইন্টেলিজেন্স, মোট ২৫০ নম্বরের অবজেক্টিভ টাইপের প্রশ্ন। ইংরেজি ও হিন্দিতে পরীক্ষা দেওয়া যাবে। জেনারেল এবিলিটি অ্যান্ড ইন্টেলিজেন্সে থাকবে জেনারেল মেন্টাল এবিলিটি, জেনারেল সায়েন্স, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক গুরুত্বপূর্ণ সাম্প্রতিক ঘটনা, ইন্ডিয়ান পলিটি অ্যান্ড ইকোনমি, ভারতের ইতিহাস, ভারতের ও পৃথিবীর ভূগোল। পেপার ওয়ানে নেগেটিভ মার্কিং থাকবে। পেপার টু-তে থাকবে জেনারেল স্টাডিজ, এসে অ্যান্ড কম্প্রিহেনশন, ২০০ নম্বরের পরীক্ষা। এসে রাইটিংয়ের ক্ষেত্রে হিন্দি বা ইংরেজিতে লেখার সুযোগ থাকবে কিন্তু প্রেসি ও কম্প্রিহেনশনের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র ইংরেজি ভাষা ব্যবহার করা যাবে। লেখা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে ফিজিক্যাল স্ট্যান্ডার্ড/ ফিজিক্যাল এফিশিয়েন্সি টেস্ট ও মেডিক্যাল স্ট্যান্ডার্ড টেস্টের জন্য ডাকা হবে। পুরুষ প্রার্থীদের ক্ষেত্রে ১৬ সেকেন্ডে ১০০ মিটার দৌড়তে হবে এবং ৩ মিনিট ৪৫ সেকেন্ডে ৮০০ মিটার দৌড়তে হবে। ৩.৫ মিটার লং জাম্প (৩ বার সুযোগ পাবেন) ৭.২৬ কেজি শটপুট ৪.৫ মিটার। মহিলা প্রার্থীদের ক্ষেত্রে ১৮ সেকেন্ডে ১০০ মিটার দৌড়তে হবে এবং ৪ মিনিট ৪৫ সেকেন্ডে ৮০০ মিটার দৌড়তে হবে। ৩ মিটার লং জাম্প (৩ বার সুযোগ পাবেন)।
মেডিক্যাল স্ট্যান্ডার্ড টেস্টে উত্তীর্ণ হলে ইন্টারভিউ/ পার্সোন্যালিটি টেস্টের জন্য ডাকা হবে। ইন্টারভিউ/ পার্সোন্যালিটি টেস্টে ১৫০ নম্বর থাকবে। পরীক্ষার তিন সপ্তাহ আগে ইউপিএসসির ওয়েবসাইট থেকে ই-অ্যাডমিশন সার্টিফিকেট ডাউনলোড করা যাবে, ই-অ্যাডমিশন সার্টিফিকেট ডাকে পাঠানো হবে না।
আবেদনের ফি: আবেদনের ফি বাবদ ২০০ টাকা দিতে হবে। মহিলা ও তপশিলি জাতি/ উপজাতি প্রার্থীদের আবেদনের ফি দিতে হবে না। ভিসা/ মাস্টার/রুপে ক্রেডিট/ ডেবিট কার্ড, নেট ব্যাঙ্কিংয়ের মাধ্যমে ফি দেওয়া যাবে। নেট ব্যাঙ্কিংয়ের ক্ষেত্রে ফি দেওয়া যাবে স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার ব্যবস্থায়। এছাড়া পে-ইন স্লিপের মাধ্যমে স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার যে-কোনো শাখায় আবেদনের ফি দেওয়া যাবে। পে-ইন স্লিপের মাধ্যমে আবেদনের ফি দেওয়ার ক্ষেত্রে পার্ট টু রেজিস্ট্রেশনের সময় সিস্টেম জেনারেটেড পে-ইন স্লিপের প্রিন্ট-আউট নিতে হবে, পে-ইন স্লিপের প্রিন্ট-আউট নেওয়ার পরের কাজের দিনের মধ্যেই কেবল টাকা দিতে হবে।
আবেদনের পদ্ধতি: http://www.upsconline.nic.in ওয়েবসাইটে গিয়ে অনলাইন আবেদন করতে হবে। অনলাইন আবেদন করার আগে আবেদনের পদ্ধতি সম্পর্কে ওয়েবসাইটে দেখে নেওয়া ভালো। একটির বেশি আবেদনপত্র সাবমিট করলে আবেদনপত্র বাতিল করে দেওয়া হবে। অনলাইন আবেদনপত্র পূরণ করার সময় পরীক্ষাকেন্দ্র বাছাই করতে হবে, পরীক্ষা কেন্দ্রের নাম নিচে উল্লেখ করা হয়েছে। অনলাইন আবেদন করার আগে ছবি ও স্বাক্ষর স্ক্যান করে রাখতে হবে। ছবির ও স্বাক্ষরের মাপ হতে হবে প্রতিটির ২০-৩০০ কেবির মধ্যে। ছবি ও স্বাক্ষর জেপিজি ফরম্যাটে স্ক্যান করতে হবে। অনলাইন রেজিস্ট্রেশন করা যাবে আগামী ৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। অন্যান্য প্রাসঙ্গিক তথ্য জানা যাবে উপরোক্ত ওয়েবসাইটে। যাঁরা আগে কখনও এই বাহিনীগুলির কোনোটিতে এই পদে চাকরির জন্য নির্বাচিত হয়েছিলেন তাঁরা নতুন করে আর আবেদন করতে পারবেন না।
পরীক্ষাকেন্দ্র: কলকাতা, আগরতলা, আহমেদাবাদ, আইজল, বেঙ্গালুরু, বরেলি, ভোপাল, চণ্ডীগড়, চেন্নাই, কটক, দেরাদুন, দিল্লি, ধারওয়াদ, দিসপুর, গ্যাংটক, হায়দরাবাদ, ইম্ফল, ইটানগর, জয়পুর, জম্মু, জোরহাট, কোচি, কোহিমা, লক্ষ্ণৌ, মাদুরাই, মুম্বই, নাগপুর, পানাজি (গোয়া), পাটনা, পোর্টব্লেয়ার, প্রয়াগরাজ (এলাহাবাদ), রায়পুর, রাঁচি, সম্বলপুর, শিলং, শিমলা, শ্রীনগর, তিরুবনন্তপুরম, তিরুপতি, উদয়পুর, বিশাখাপত্তনম।
দরখাস্ত করতে কোনো সমস্যা হলে কাজের দিন সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টার মধ্যে ফোন করতে পারেন এই নম্বরে: 011-23381125/011-23385271/011-23098543. ফি সহ দরখাস্ত জমা দেওয়া হয়ে গেলেও তা প্রত্যাহার করতে চাইলে তাও করা যাবে অনলাইনেই, ১৪ সেপ্টেম্বর থেকে ২০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে। কোনো ফি ফেরত দেওয়া হবে না।
https://upsc.gov.in/sites/default/files/Notif-CAPF-2020-Engl.pdf লিঙ্কে গিয়ে নোটিসটি দেখতে পাওয়া যাবে।