Site icon জীবিকা দিশারী

২৪ লক্ষ শূন্যপদ রয়েছে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য দপ্তরগুলিতে

Indian Forest Service Examination

প্রধানমন্ত্রীর আর্থিক উপদেষ্টা সুরজিৎ ভাল্লা সম্প্রতি এক মন্তব্যে দাবি করেছেন ২০১৭ সালে ১ কোটি ৩০ লক্ষ নতুন চাকরি হয়েছে। সেই যুক্তিতে পিএফ বা ইপিএফ-এ নতুন গ্রাহকের অন্তর্ভুক্তির পরিসংখ্যানও তুলে ধরা হচ্ছে। অন্যদিকে আজিম প্রেমজি বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর সাস্টেনেবল এমপ্লয়েমেন্ট–এর একটি রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে দেশের চাকরির অবস্থা নিয়ে, যেখানে বলা হয়েছে ১০ শতাংশ আর্থিক বৃদ্ধি ঘটলেও নতুন চাকরির ক্ষেত্রে কিন্তু বৃদ্ধির হার ৭ শতাংশের ঘরেই ঘোরাফেরা করছে। আশানুরূপ হচ্ছে না। আর বেসরকারি ক্ষেত্রে নিয়োগ যেখানে যা হয়েছে বা হচ্ছে তার একটা বড় অংশ অত্যন্ত কম মজুরির তো বটেই, কর্মীরা সরকারি সমস্ত সুযোগ-সুবিধা থেকেও বঞ্চিত। সেখানে স্থায়ী নিয়োগ দূর-অস্ত্‌। সামগ্রিক ভাবে প্রায় ৭৭ শতাংশ কমী অস্থায়ী ভাবে টিকে রয়েছে বা কাজ করছেন। এঁদের বেতন মাসিক ১০ হাজার টাকার কম। সম্প্রতি আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা জানিয়েছে, আগামী এক বছরের মধ্যেই ভারতে প্রায় ৫৩ কোটি কর্মরত শ্রমিক-কর্মচারীর মধ্যে ৪০ কোটি মানুষ এই ধরনের অর্থাত অস্থায়ী, কম বেতন নিয়ে কাজ করতে বাধ্য হবেন।

এমন তথ্যের মধ্যেই উঠে এসেছে যে তথ্য তা হল, এই মুহূর্তে ২৪ লক্ষ শূন্যপদ পড়ে রয়েছে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে। যদি কয়েকটি ভাগে ভাগ করে নেওয়া হয়, তাহলে দেখা যাচ্ছে ২৪ লক্ষ শূন্যপদের মধ্যে প্রাথমিক ও মাধমিক পর্যায় মিলে প্রায় ১০ লক্ষ শিক্ষক পদ শূন্য পড়ে রয়েছে। ৫ লক্ষ ৪০ হাজার শূন্যপদ রয়েছে পুলিশ-প্রশাসনিক ক্ষেত্রে। ১ লক্ষ ২০ হাজার শূন্যপদ প্রতিরক্ষা ও প্যারামিলিটারি ফোর্সে। দেশের বিভিন্ন প্রধান আদালতগুলিতে খালি রয়েছে ৫৮০০টি পদ। সম্প্রতি এই সব বিষয় নিয়েই রাজ্যসভা মুখর হয়েছিল। গত মার্চ মাসে এক আলোচনায় সেখানেই উঠে এসেছিল রেলে নন-গেজেটেড কর্মীদের প্রায় আড়াই লক্ষ পদ খালি রয়েছে। শুধুমাত্র রেল, পুলিশ বা আদালতই নয়, দেশের সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতেও ১৬ হাজার চিকিতসক সমেত প্রায় দেড় লক্ষ শূন্যপদ খালি রয়েছে।

দ্রব্যমূল্যবৃদ্ধি, টাকার পতন এবং নানান অস্থিরতার মধ্যে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারি ক্ষেত্রে নতুন কর্মবিনিয়োগের বিষয়টি এক বড় প্রশ্ন হয়ে উঠছে চাকরি প্রার্থী ছেলেমেয়েদের কাছে। সেই দরজা কবে খোলে সেটাই দেখার।

Exit mobile version