রাজ্যের প্রাইমারি স্কুলগুলিতে চাকরির আবেদনের আবশ্যিক যোগ্যতা হিসাবে ২ বছরের ডিএলএড (মুখোমুখি ক্লাসভিত্তিক) কোর্সে ভর্তির জন্য দরখাস্ত নেওয়া হচ্ছে। রাজ্যের কোনো প্রাথমিক বা উচ্চপ্রাথমিক স্কুলে শিক্ষকতার জন্য আবেদন করতে হলে অন্যান্য যোগ্যতার সঙ্গে এই ডিপ্লোমা থাকা চাই। এনসিটিই স্বীকৃত ৬১৯টি ডিএলইটি/ সরকারি/ সরকারের স্পনসর্ড/ সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত/ সেল্ফ ফিনান্সড কলেজে মোট প্রায় ৪৩৭৫০টি আসনে ভর্তি করা হবে, ২০১৮-২০ শিক্ষাবর্ষে। মেমো নম্বর: 928/BPE/2018, Date: 13.06.18.
আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় শিক্ষাগত যোগ্যতা: ৫০ শতাংশ (তপশিলি/ ওবিসি/ শারীরিক প্রতিবন্ধী/ প্রাক্তন সেনাকর্মীদের ক্ষেত্রে ৪৫ শতাংশ) নম্বর সহ উচ্চমাধ্যমিক বা সমতুল পাশ। নম্বরের হিসাব করতে হবে বেস্ট অব ফাইভের (দুটি ভাষা সহ) ভিত্তিতে, ইভিএস থাকলে তার নম্বর বাদ দিয়ে। অর্থাৎ সবচেয়ে বেশি নম্বর পাওয়া ৫টি বিষয়ের (দুটি ভাষা সহ) মোট নম্বরকে ৫ দিয়ে ভাগ করতে হবে।
যে মাধ্যমের স্কুলে আবেদন করতে চান সেই ভাষা অবশ্যই আবিশ্যক বিষয় হিসাবে উচ্চমাধ্যমিকে পড়ে থাকতে হবে। কিন্তু দ্বিতীয় ভাষা সবসময়ই ইংরেজি হতে হবে।
ভোকেশনাল কোর্স পাশ ছাত্রছাত্রীদের জন্য ৪ শতাংশ আসন সংরক্ষিত। সেক্ষেত্রেও মোট ৫০ শতাংশ নম্বর এবং ইংরেজি ও অন্তত আরও একটি ভাষা নিয়ে ১০+২ পাশ হতে হবে। তাঁরা সংরক্ষণের অন্য কোনো সুবিধা পাবেন না। মোট ৪৩৭৫০টি আসনে ভর্তি নেওয়া হবে। এরমধ্যে দশ শতাংশ আসন ইন-সার্ভিস প্রার্থীদের জন্য সংরক্ষিত। সেল্ফ-ফিনান্স নন-গভমর্নমেন্ট প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে ১০ শতাংশ আসন ম্যানেজমেন্ট কোটায় ভর্তি নেওয়া হবে।
বয়সসীমা: সাধারণ প্রার্থীদের ক্ষেত্রে ১ জুলাই ২০১৮ তারিখের হিসেবে বয়স হতে হবে ৩৫ বছরের মধ্যে। তপশিলি জাতি/ উপজাতি, ওবিসি, শারীরিক প্রতিবন্ধী প্রার্থীদের জন্য বয়সের ঊর্ধ্বসীমা ৪০ বছর। প্রাক্তন সমরকর্মী প্রার্থীরাও নিয়ম অনুযায়ী বয়সের ঊর্ধ্বসীমায় ছাড় পাবেন। ৩ সেপ্টেম্বর ২০০১ তারিখের আগে নিযুক্ত ইন-সার্ভিস টিচারদের ক্ষেত্রে বয়সসীমার কোনো বাধ্যবাধকতা নেই।
আবেদনের ফি: ৩০০ টাকা। তপশিলি জাতি/ উপজাতি ও শারীরিক প্রতিবন্ধীদের ক্ষেত্রে ১৫০ টাকা। অনলাইনে আবেদনের ফি দেওয়া যাবে।
ফি জমা করার আগে দরখাস্তের সব তথ্য খুঁটিয়ে দেখে নেবেন, কারণ ফি দেওয়া হয়ে গেলে দরখাস্তে আর কোনো বদল করা যাবে না।
আবেদনের পদ্ধতি: www.wbbpe.org, www.wbsed.gov.in, http://wbbprimaryeducatioon.org ওয়েবসাইগুলির কোনোটিতে গিয়ে অনলাইন আবেদন করতে হবে।
সরাসরি http://wbbprimaryeducation.org/view/applicationform.aspx লিঙ্কে ক্লিক করেও আবেদন করতে পারবেন। বৈধ ইমেল আইডি ও মোবাইল নম্বর থাকতে হবে। অনলাইন আবেদন করা যাবে ২৬ জুন ২০১৮ তারিখ পর্যন্ত,
বাড়িয়ে ৮ জুলাই, ২০১৮ করা হয়েছে। কোনো জিজ্ঞাসা থাকলে ০৩৩-২৯৮৬০২৪৬, ০৩৩-২৩৩৭৯৩১৩, ০৩৩-২৩৫৯৮০৯৯ হেল্পলাইন নম্বরগুলিতে ফোন করতে পারেন। অন্যান্য প্রাসঙ্গিক তথ্য জানা যাবে উপরোক্ত ওয়েবসাইটে।
জেলা অনুসারে প্রতিষ্ঠান ও আসনসংখ্যা
(১) জেলা: বাঁকুড়া, মোট প্রতিষ্ঠান: ৩২, আসন সংখ্যা: ২৩৫০।
(২) জেলা: বীরভূম, মোট প্রতিষ্ঠান: ৫৪, আসনসংখ্যা: ৩৯০০।
(৩) জেলা: বর্ধমান, মোট প্রতিষ্ঠান: ৪০, আসন সংখ্যা: ২৯০০।
(৪) জেলা: কোচবিহার, মোট প্রতিষ্ঠান: ৮, আসন সংখ্যা: ৬৫০।
(৫) জেলা: দক্ষিণ দিনাজপুর, মোট প্রতিষ্ঠান: ২০, আসনসংখ্যা: ১২০০।
(৬) জেলা: দার্জিলিং, মোট প্রতিষ্ঠান: ৫, আসনসংখ্যা: ৩৫০।
(৭) জেলা: হুগলি, মোট প্রতিষ্ঠান: ৩১, আসনসংখ্যা: ২০০০।
(৮) জেলা: হাওড়া, মোট প্রতিষ্ঠান: ২০, আসনসংখ্যা: ১৪৫০।
(৯) জেলা: জলপাইগুড়ি, মোট প্রতিষ্ঠান: ১৫, আসনসংখ্যা: ১১৫০।
(১০) জেলা: কলকাতা, মোট প্রতিষ্ঠান: ১০, আসনসংখ্যা: ৫০০।
(১১) জেলা: মালদা, মোট প্রতিষ্ঠান: ৩৬, আসনসংখ্যা: ২৫৫০।
(১২) জেলা: মুর্শিদাবাদ, মোট প্রতিষ্ঠান: ১০৫, আসনসংখ্যা: ৭৮৫০।
(১৩) জেলা: নদিয়া, মোট প্রতিষ্ঠান: ৫২, আসনসংখ্যা: ৩৪০০।
(১৪) জেলা: উত্তর ২৪ পরগনা, মোট প্রতিষ্ঠান: ৩৮, আসনসংখ্যা: ৩২০০।
(১৫) জেলা: পশ্চিম মেদিনীপুর, মোট প্রতিষ্ঠান: ৫০, আসনসংখ্যা: ৩৬০০।
(১৬) জেলা: পূর্ব মেদিনীপুর, মোট প্রতিষ্ঠান: ৩২, আসনসংখ্যা: ২৪৫০।
(১৭) জেলা: পুরুলিয়া, মোট প্রতিষ্ঠান: ১৬, আসনসংখ্যা: ৯৫০।
(১৮) জেলা: দক্ষিণ ২৪ পরগনা, মোট প্রতিষ্ঠান: ২৭, আসনসংখ্যা: ১৬০০।
(১৯) জেলা: উত্তর দিনাজপুর, মোট প্রতিষ্ঠান ২৪, আসনসংখ্যা: ১৭০০।
কলেজগুলির নাম ঠিকানা ও আসনসংখ্যা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন http://wbbprimaryeducation.org/file/institutelist.pdf লিঙ্কে ক্লিক করে।