ভারত সরকারের শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রকের এমপ্লয়িজ প্রফিডেন্ট ফান্ড অর্গ্যানাইজেশনে ২৮০ জন অ্যাসিস্ট্যান্ট নিয়োগ করা হবে। নিচের যোগ্যতার যে-কোনো ভারতীয়রা আবেদন করতে পারবেন।
শূন্যপদের বিন্যাস: মোট শূন্যপদ ২৮০ (অসংরক্ষিত ১১৩, ইডব্লুএস অর্থাৎ অর্থনৈতিক ভাবে দুর্বলতর শ্রেণি ২৮, তপশিলি জাতি ৪২, তপশিলি উপজাতি ২১, ওবিসি এনসিএল ৭৬)। এইসবের মধ্যে ১১টি শারীরিক প্রতিবন্ধীদের জন্য সংরক্ষিত।
বয়স: ২৫ জুন ২০১৯ তারিখে বয়স হতে হবে ২০-২৭ বছরে মধ্যে (জন্মতারিখ ২৬ জুন ১৯৯২ থেকে ২৫ জুন ১৯৯৯)। সংরক্ষিত শ্রেণির প্রার্থীরা নিয়ম অনুযায়ী বয়সের ঊর্ধ্বসীমায় ছাড় পাবেন।
শিক্ষাগত যোগ্যতা: কোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিগ্রি বা সমতুল। শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পূর্ণ হতে হবে ২৫ জুন ২০১৯-এর মধ্যে।
বেতনক্রম: শুরুর মূল বেতন মাসে ৪৪৯০০ টাকা, সঙ্গে অন্যান্য ভাতা।
প্রার্থী বাছাই পদ্ধতি: লিখিত পরীক্ষার মাধ্যমে প্রার্থী বাছাই করা হবে। পরীক্ষা হবে দুটি ধাপে— প্রিলিমিনারি ও মেইন পরীক্ষা। প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় থাকবে অবজেক্টিভ টাইপের ইংলিশ ল্যাঙ্গুয়েজ (৩০টি প্রশ্ন, ৩০ নম্বর), রিজনিং এবিলিটি (৩৫টি প্রশ্ন, ৩৫ নম্বর), নিউমেরিক্যাল অ্যাপ্টিটিউড (৩৫টি প্রশ্ন, ৩৫ নম্বর)। মোট ১০০ নম্বরের পরীক্ষা, সময় ৬০ মিনিট।
মেইন পরীক্ষায় থাকবে অবজেক্টিভ টাইপের রিজনিং/ ইন্টেলিজেন্স (৪০টি প্রশ্ন, ৬০ নম্বর), জেনারেল/ ইকোনমি/ ফিনানশিয়াল অ্যাওয়্যারনেস (৪০টি প্রশ্ন, ৬০ নম্বর), ইংলিশ ল্যাঙ্গুয়েজ (৩০টি প্রশ্ন, ৪০ নম্বর), কোয়ান্টিটেটিভ অ্যাপ্টিটিউড (৪০টি প্রশ্ন, ৬০ নম্বর)। মোট ২০০ নম্বরের পরীক্ষা, সময় ২ ঘণ্টা। এছাড়াও একটি ডেসক্রিপটিভ পেপার থাকবে (ইংলিশ ল্যাঙ্গুয়েজ সঙ্গে কম্প্রিহেনশন ও অ্যানালিসিস), মোট ৩টি প্রশ্ন থাকবে, ৩০ নম্বর, সময় ৪৫ মিনিট।
ব্র্যাকেটে কোড নম্বর সহ পরীক্ষাকেন্দ্র: পশ্চিমবঙ্গ: কলকাতা (১৪১), জলপাইগুড়ি (১৪২)। সিকিম: গ্যাংটক (১৩২)। অসম: গুয়াহাটি (১০৪)। বিহার: পাটনা (১০৫)। ঝাড়খণ্ড: রাঁচি (১১৪)। ওড়িশা: ভুবনেশ্বর (১২৮)। ত্রিপুরা: আগরতলা (১৪০)। অন্যান্য রাজ্যের পরীক্ষাকেন্দ্র সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাবে নিচের ওয়েবসাইট থেকে।
পরীক্ষার ফি: ৫০০ টাকা। তপশিলি জাতি/ উপজাতি, শারীরিক প্রতিবন্ধী, আর্থিক দিক থেকে দুর্বলতর শ্রেণি ও মহিলা প্রার্থীদের ক্ষেত্রে ২৫০ টাকা। ডেবিট কার্ড (রুপে/ ভিসা/ মাস্টার কার্ড/ ম্যাস্ট্রো), ক্রেডিট কার্ড, ইন্টারনেট ব্যাঙ্কিং, আইএমপিএস, ক্যাশ কার্ড/ মোবাইল ওয়ালেটের মাধ্যমে ফি দেওয়া যাবে। ট্র্যানজ্যাকশন সম্পূর্ণ হলে একটি ই-রিসিট পাওয়া যাবে, ই-রিসিটের প্রিন্ট-আউট নিয়ে রাখতে হবে।
আবেদনের পদ্ধতি: www.epfindia.gov.in ওয়েবসাইটে বা সরাসরি https://www.epfindia.gov.in/site_en/index.php লিঙ্কে গিয়ে অনলাইন আবেদন করতে হবে। বৈধ ইমেল আইডি ও মোবাইল নম্বর থাকতে হবে। অনলাইন আবেদন করার আগে ছবি, স্বাক্ষর, বাঁ হাতের বুড়ো আঙুলের ছাপ ও হাতে লেখা ডিক্ল্যারেশন স্ক্যান করে রাখতে হবে। সম্প্রতি তোলা পাসপোর্ট মাপের রঙিন ছবি, ডাইমেনশন ২০০×২৩০ পিক্সেল (বাঞ্ছনীয়ত), মাপ হতে হবে ২০-৫০ কেবির মধ্যে। সাদা কাগজে কালো কালির পেন দিয়ে স্বাক্ষর করতে হবে, তার স্ক্যান করা কপির ডাইমেনশন হতে হবে ১৪০×৬০ পিক্সেল (বাঞ্ছনীয়ত), মাপ হতে হবে ২০-৫০ কেবির মধ্যে। সাদা কাগজে কালো বা নীল কালি দিয়ে বাঁ হাতের বুড়ো আঙুলের ছাপ, স্ক্যান করে ডাইমেনশন হতে হবে ২৪০×২৪০ পিক্সেল (বাঞ্ছনীয়ত), মাপ ২০-৫০ কেবির মধ্যে। হাতে লেখা ডিক্লারেশনের ডাইমেনশন ৮০০×৪০০ পিক্সেল (বাঞ্ছনীয়ত), স্ক্যান করে মাপ ৫০-১০০ কেবির মধ্যে। সবটাই জেপিজি/ জেপেগ ফরম্যাটে স্ক্যান করতে হবে। স্ক্যানার রেজলিউশন ২০০ ডিপিআই। অনলাইন আবেদন করা যাবে ৩০ মে থেকে ২৫ জুন ২০১৯ পর্যন্ত। অন্যান্য প্রাসঙ্গিক তথ্য জানা যাবে উপরোক্ত ওয়েবসাইটে।