ভারতীয় নৌবাহিনীতে ম্যাট্রিক রিক্রুটমেন্ট-অক্টোবর ২০১৮ ব্যাচে ট্রেনিং দিয়ে স্টুয়ার্ড, শেফ এবং হাইজিনিস্ট পদে বেশ কিছু কর্মী নিয়োগ করা হবে। আবেদন করতে পারেন নিচের মতো যোগ্যতার অবিবাহিত পুরুষরা।
শিক্ষাগত যোগ্যতা: মাধ্যমিক পাশ। বয়সসীমা: ১ অক্টোবর, ২০১৮ তারিখে ১৭ থেকে ২১ বছরের মধ্যে বয়স হতে হবে। জন্মতারিখ ১ অক্টোবর ১৯৯৭ থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০০১-এর মধ্যে (উভয় দিন ধরে)।
বেতনক্রম: ট্রেনিং চলাকালীন প্রার্থীদের প্রতিমাসে ১৪,৬০০ টাকা স্টাইপেন্ড দেওয়া হবে। ট্রেনিং শেষে বেতনক্রম হবে ২১,৭০০ – ৬৯,১০০ টাকা। সঙ্গে ৫২০০ টাকা মিলিটারি সার্ভিস পে এবং ডিএ। র্যাঙ্কে উন্নতির সঙ্গে বেতনক্রম বাড়বে।
প্রার্থী বাছাই করা হবে লিখিত পরীক্ষা, শারীরিক সক্ষমতার পরীক্ষা এবং ডাক্তারি পরীক্ষার মাধ্যমে। লিখিত পরীক্ষা হবে ৩০ মিনিটের, দুই পেপারের– সায়েন্স অ্যান্ড ম্যাথমেটিক্স ও জেনারেল নলেজ। পরীক্ষার সিলেবাস পাওয়া যাবে নিচের ওয়েবসাইটে। লিখিত পরীক্ষার দিনই ফল জানানো হবে এবং সফল প্রার্থীদের শারীরিক সক্ষমতা ও ডাক্তারি পরীক্ষা হবে। লিখিত পরীক্ষা হবে মার্চ-এপ্রিল নাগাদ, অ্যাডমিট কার্ড ডাউনলোড করা যাবে জানুয়ারি নাগাদ।
শারীরিক মাপজোক: ন্যূনতম উচ্চতা দরকার ১৫৭ সেন্টিমিটার। সেই সঙ্গে উপযুক্ত বুকের ছাতির মাপ ও বয়স অনুযায়ী ওজন থাকতে হবে। বুকের ছাতি অন্তত ৫ সেমি ফোলাতে হবে। ভাঙা হাঁটু, চ্যাটালো পায়ের পাতা ইত্যাদি কোনোরকম শারীরিক বা মানসিক ত্রুটি বা এই কাজের পক্ষে অসুবিধাজনক কোনো রোগব্যাধি থাকলেও আবেদন করা যাবে না। স্টুয়ার্ড ও শেফ পদের জন্য চশমা ছাড়া দূরের দৃষ্টিশক্তি হতে হবে ভালো চোখে ৬/৩৬, খারাপ চোখে ৬/৩৬ এবং চশমা থাকলে ভালো চোখে ৬/৯ ও খারাপ চোখে ৬/১২। হাইজিনিস্ট পদের জন্য চশমা ছাড়া দূরের দৃষ্টিশক্তি হতে হবে ভালো চোখে ৬/৬০, খারাপ চোখে ৬/৬০ এবং চশমা থাকলে ভালো থাকলে ভালো চোখে ৬/৯, খারাপ চোখে ৬/২৪। বর্ণান্ধ বা রাতকানা হলে আবেদন করা যাবে না।
ট্রেনিং: প্রশিক্ষণ শুরু হবে অক্টোবর ২০১৮-তে। ১৫ সপ্তাহের বেসিক ট্রেনিং হবে আইএনএস চিল্কাতে।
আবেদনের পদ্ধতি: আবেদন করতে হবে অনলাইনে। ১৭ ডিসেম্বর ২০১৭ তারিখ পর্যন্ত আবেদন করা যাবে। www.joinindiannavy.gov.in ওয়েবসাইটের মাধ্যমে। ওয়েবসাইটের হোম পেজে নিজের ইমেল আইডি দিয়ে রেজিস্ট্রি করতে হবে, তারপর ইমেল আইডি দিয়ে লগইন করে কারেন্ট অপরচুনিটিজ লিঙ্কে Apply বাটনে ক্লিক করতে হবে। রেজিস্ট্রেশান করার আগে নিজের একটি পাসপোর্ট মাপের ছবি (তিন মাসের মধ্যে নীল ব্যাকগ্রাউন্ডে তোলা ছবি) স্ক্যান করে কম্পিউটারে রাখবেন। ফর্ম ফিলাপ হয়ে গেলে ভালো করে মিলিয়ে নেবার পর তবেই সাবমিট বাটনে ক্লিক করবেন। সাবমিট করা হয়ে গেলে আর কোনো বদল করা যাবে না। অনলাইনে ফর্ম জমা দেওয়ার পর সিস্টেম জেনারেটেড অ্যাপ্লিকেশন নাম্বার দেওয়া ফর্ম ডাউনলোড করে দুকপি প্রিন্ট নেবেন।