সেই কবে লেখা হয়েছিল ক্রাইম অ্যান্ড পানিশমেন্ট। অপরাধ ও বিচার। বিশ্বের নানা প্রান্তে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাস, নারী নির্যাতন থেকে শুরু করে দিন-দিন হত্যা, যৌন নির্যাতন, ধর্ষণ, ধর্মীয় ও সন্ত্রাসবাদী অপরাধের সংখ্যা বাড়ছে। মানবতাবাদের ওপরও অপরাধ বিশ্বে আজ প্রতিফলিত। আমরা ইউসুফ মালালার কথা স্মরণ করতে পারি। শিক্ষার অধিকার নিয়ে মুখ খোলায় সন্ত্রাসবাদীদের হাতে গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন। প্রাণে বেঁচে পরবর্তী জীবনে শিক্ষার দৃষ্টান্ত রেখেছেন, নোবেল পুরস্কারেও ভূষিত হন। সেদিন মালালার হয়ে আইনি সাহায্য দিয়েছিল আন্তর্জাতিক আদালত। এ ছাড়াও বিশ্বজুড়ে ঘটে যাওয়া নানা অপরাধের বিচার হয় আন্তর্জাতিক আদালত বা ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল কোর্টে।
আইসিসি কোনো সরকার বা রাজনৈতিক মামলার বিচার করে না। বিশেষ-বিশেষ বিষয়ে ১২৩ সদস্যের দ্বারা গঠিত এই আদালত বিচারের ভূমিকা নেয়। বিশ্বের ১২০টি দেশ সদস্য হলেও ভারত, চিন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইরাক,লিবিয়া ইত্যাদি বেশ কিছু দেশ এর বাইরে, সদস্য নয়। ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল কোর্ট প্রথম গঠিত হয় ২০০২ সালে। ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল কোর্টে অপরাধীদের বিচার হয়,আর ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিসের কাজ অপরাধীদের দেশের সঙ্গে আলোচনা ও মধ্যস্থতা করা।
অপরাধ ও তার চরিত্রের বিচারের গুরুত্বে সেইসব বিচার সংঘটিত হয় আন্তর্জাতিক আদালতে বা ইনটারন্যাশনাল ক্রিমিনাল কোর্টে। আন্তর্জাতিক অপরাধ বিচারের জন্য গঠিত হয় এই আদালত। যে আদালত আন্তর্জাতিক হিংসা, মানবতাবিরোধী কাজ ইত্যাদি নানা ধরনের অপরাধের জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধী আদালত তৈরি হয়েছিল ২০১০ সালের ১ জুন কামপালায় (উগান্ডা)। রোম স্ট্যাচুর (১৯৯৮) বিচার বিধির অনুকরণে এক সম্মেলনে স্থির হয়েছিল প্রতি বছর ১৭ জুলাই দিনটি ইন্টার ন্যাশনাল ক্রিমিনাল জাস্টিস ডে হিসেবে পালন করার। তার আগে আগে ১৯৯৮ সালে এর প্রথম সূচনা হয়েছিল ।যেখানে ১৩৯টা দেশ সহ ৮০টি রাজ্যের আইনজীবীরা উদ্যোগী হয়েছিলেন। পরবর্তীতে ১৭ জুলাই দিনটিকেই আন্তর্জাতিক ক্রিমিনাল জাস্টিস ডে হিসাবে পালন করা হয়ে আসছে।
আন্তর্জাতিক হিংসার বিচার,শান্তির নিরাপত্তা দেবে এই আদালত। প্রতি বছর বিশ্বজুড়ে নানা আলোচনা, বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম থেকে শুরু করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সহ নানা ক্ষেত্রে সচেতনতার বার্তা প্রেরণ করে থাকে আইসিসি।
এর পাশাপাশি এই ১৭ জুলাই দিনটি আরও কয়েকটি উল্লেখযোগ্য ঘটনার ঐতিহাসিক দিন হিসাবে চিহ্নিত। এই দিনেই নারীরা আইপিএস এবং আইএএস-এর মতো প্রশাসনিক চাকরিতে প্রশিক্ষণ নেওয়ার প্রথম সুযোগ পান ১৯৮৮সালে। এই দিনটিকেই ইমোজি ডে হিসাবে ঘোষণা করা হয় ২০১৪ সালে। যাঁর ভাবনায় এসেছিল তিনি এক অস্ট্রলীয় যুবক জেরেমি বার্জ, জন্ম ১৪ জুলাই ১৯৮৪। ১৯৭১ সালের ১ অক্টোবর বিশ্বের সব থেকে বড় বিনোদন পার্ক ডিজনিল্যান্ডের সূচনা হয়েছিল ১৬০ একর জমিতে ৷
ভাস্কর ভট্টাচার্য