একই দিনে রাষ্ট্রপতি ভবনে দেওয়া হল ভারতের খেলার দুনিয়ার তিন সেরা পুরস্কার। খেলরত্ন, অর্জুন ও দ্রোণাচার্য পুরস্কার।
প্রতিবছর খেলার জগতে উল্লেখযোগ্য অবদানের জন্য দেওয়া হয় এই সব পুরস্কার। এই পুরস্কার রাজীব গান্ধী খেলরত্ন পুরস্কার নামে পরিচিত ছিল এ বছর তা পরিবর্তিত হয়েছে `মেজর ধ্যানচাঁদ খেলরত্ন সম্মান।
রাষ্ট্রপতি কোবিন্দ এই পুরস্কার তুলে দিলেন বিভিন্ন ক্ষেত্রে দেশের সেরা খেলোয়াডদের। প্রথম ভারতীয় ফুটবলার হিসেবে এই সম্মান পেয়ে ৩৭ বছরের ফুটবলার সুনীল ছেত্রী বলেন, `গত ১৯ বছর ধরে খেলে চলেছি। কখনও কখনও হতাশ হয়েছি, কিন্তু আমাকে আবার ময়দানে ফিরিয়ে এনেছেন আমার কোচেরা। তাঁরা পাশে না থাকলে আমি আজ এই জায়গায় আসতে পারতাম না।’
সুনীল ছেত্রী পুরস্কার পেয়ে যেমন আপ্লুত তেমনই আপ্লুত মহিলা ক্রিকেটার মিতালি রাজ। তিনি বলেন, এই সম্মান মেয়েদের ক্রিটেকে সম্মান প্রদান করল।’ সুনীল ছেত্রী, মিতালি রাজ সহ অনেকেই পেয়েছেন খেলরত্ন বা অর্জুন পুরস্কার।
রাষ্ট্রপতি ভবনে এদিন ১০ জন ক্রীড়াবিদ পেলেন মেজর ধ্যানচাঁদ খেলরত্ন পুরস্কার। ৩৫ জন ক্রীড়বিদকে দেওয়া হল অর্জন পুরস্কার। ১০ জন প্রশিক্ষককে দেওয়া হল দ্রোণাচার্য পুরস্কার।
এ বছর পুরস্কারের সব থেকে বেশি আলো ছিল টোকিয়ায় জ্যাভলিনে সোনাজয়ী নীরজ চোপড়ার দিকে। তিনি বলেন, দেশের সেরা সম্মান পেয়ে আমি কুশি। `আমার লক্ষ্য আগামী বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপ এ অংশ নেওয়া। এশিয়ান গেমস ও কমনওয়েলথ গেমসের জন্য তৈরি হচ্ছি।’
অর্জুন পুরস্কার হাতে নিয়ে শিখর ধাওয়ান বললেন, `প্রতিভার স্বীকৃতি পলাম।’
উল্লেখ্য, গত বছর এই পুরস্কার অন লইনে দেওয়া হয়েছিল করোনার কারণে। এবার রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ প্রাপকদের হাতে তুলে দিলেন এইসব পুরস্কার।
তালিকায় রয়েছেন
বক্সার সিমরন জিত কওর, মহিলা হকি খেলোয়াড় বন্দনা কাটারিয়া, টেনিসের অঙ্কিতা রায়না, হকির রূপিন্দর পালপ্যারা টেবল টেনিস খেলোয়াড় ভাবনিা বেন পটেলরা।