গাজায় ক্রিসমাস-এর আগের দিনেও বন্ধ হল না ইজরায়েলের বোমা বর্ষণ। এদিন মৃত্যু হল ১৬৬ জনের। জখম হয়েছেন ৩৮৪ জন। গাজায় মোট নিহত হয়েছেন ২০৪২৪ জন। যুদ্ধের খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে নিহত হয়েছেন ১০৩ জন সাংবাদিক। গাজার তেইশ লক্ষ মানুষ আজ ঘর ছাড়া। এদিকে ইজরায়েল অধিকৃত বেথলহেমে যিশুর জন্মস্থানে এ বছর কোন বাড়তি অনুষ্ঠানে হচ্ছে না। এখানকার মানুষের বছরের ৭০% উপার্জনই হয় বড়দিনের সময়ে, এবছর সে সবই বন্ধ।
দক্ষিণ লোহিত সাগরে একটি পণ্যবাহী জাহাজ এম ভি সাঁইবাবায় আঘাত হানল ড্রোন। ইয়েমেনের হুথি জঙ্গিরা এই ড্রোন ছুড়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। এই জাহাজে ২৫ জন ভারতীয় নাবিক রয়েছেন। এটি গ্যামনের জাহাজ। নরওয়ের জাহাজ এম ভি ব্লামিং এর ওপরও হামলা হয়েছে সেই দক্ষিণ লোহিত সাগরে। ইজরায়েলের ওপর ক্ষোভ থেকে এই হামলা গুলি চালানো হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। একদিন আগে আরব সাগরে এমভি কেম প্লুটো জাহাজেও হামলা চালানো হয়েছিল।
জাতীয়
জম্মু ও কাশ্মীরের পুঞ্চে নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছে সন্ত্রাসবাদীদের হামলায় মৃত্যু হয়েছিল সেনাবাহিনীর পাঁচ জন জওয়ানের। এই ঘটনা গত একুশে ডিসেম্বরের। তদন্তের জন্য স্থানীয় তিনজন মানুষকে নিজেদের হেফাজতে নেয় সেনাবাহিনী। পরে তাঁদের তিনজনেরই মৃতদেহ উদ্ধার হয়। স্থানীয় মানুষের অভিযোগ, সেনাবাহিনীর নির্যাতনে তাঁদের মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনায় অভ্যন্তরীণ তদন্তের নির্দেশ দিল সেনাবাহিনী।
খেলা
মহিলাদের টেস্ট ক্রিকেটে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ভারত আট উইকেটে জয়ী হলো। মুম্বইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে ভারত খেলেছে হরমনপ্রীত কৌরের নেতৃত্বে। এর আগে ইংল্যান্ডকেও ভারত টেস্টে হারিয়েছে হরমনপ্রীতের নেতৃত্বে। এই টেস্টে ৩ সেরা হলেন স্নেহ রানা। প্রথম ইনিংসে পিন উইকেট এবং দ্বিতীয় ইনিংসে ৪ উইকেট নিয়েছেন এই অফ স্পিনার। প্রসঙ্গত, মেয়েদের ক্রিকেটে ৪৬ বছরে এই প্রথমবার অস্ট্রেলিয়াকে হারালো ভারত। ১৯৭৭ সাল থেকে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে মোট পাঁচবার টেস্ট ক্রিকেট খেলেছে ভারত। সেখানে তিন বার জিতেছে অস্ট্রেলিয়া দুবার ম্যাচ ছিল অমীমাংসিত এই ম্যাচে অস্ট্রেলিয়া ২ ইনিংসে করেছে যথাক্রমে 219 ও ২৬১ রান ভারত সেখানে প্রথম ইনিংসে ৪০৬ রান করে এবং দ্বিতীয় ইনিংসে দুই উইকেট হারিয়েই ৭৫ রান তুলে নেয়।
ভারতীয় কুস্তি সংস্থার সদ্য নির্বাচিত কমিটিকে সাসপেন্ড করলো কেন্দ্রীয় ক্রীড়া মন্ত্রক। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্তরে সফল একের পর এক কুস্তিগীরের তীব্র প্রতিবাদের জেরে তারা এই সিদ্ধান্ত নিল বলে মনে করা হচ্ছে।
বিবিধ
প্রয়াত হলেন শ্রী সারদা মঠ ও রামকৃষ্ণ সারদা মিশনের সাধারণ সম্পাদক প্রব্রাজিকা অমলপ্রাণা (৯২)। ১৯৩১ সালে মহীশূরের তাঁর জন্ম হয়েছিল। তিনি মহীশূর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্বর্ণপদক পেয়ে ইতিহাসে স্নাতকোত্তর হয়েছিলেন। ১৯৫৭ সালে তিনি সারদা মাঠে যোগ দেন এবং ১৯৬৫ সালে সন্ন্যাস গ্রহণ করেন। তিনি ১৯৩১ সালে সারদা মাঠের অধ্যক্ষ হন, ১৯৭৪ সালে বিদ্যাভবনের সম্পাদক হন।
লক্ষ কন্ঠে গীতা পাঠ কর্মসূচি আয়োজিত হল কলকাতার ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে। অনুষ্ঠানের সূচনা হয় নজরুল ইসলামের লেখা ‘হে পার্থসারথি’ গানের মাধ্যমে। ১ ঘন্টা ১০ মিনিট ধরে গীতার পাঁচটি অধ্যায় সমবেত কন্ঠে পাঠ করা হয়।