ভারতীয় দলের হয়ে আর মাঠে নামবেন না। ফুটবল জীবনের ১৯ বছর দেশে বিদেশে নানা মাঠে নানা রেকর্ড সৃষ্টি করে সুনীল ছেত্রী ভারতীয় ফুটবলের এক কিংবদন্তি হয়ে উঠেছিলেন।
সেই সুনীল ছেত্রীই তাঁর খেলোয়াড় জীবনের সমাপ্তি ঘোষণা করলেন ৬ জুন ২০২৪ সল্টলেকে কুয়েত এর বিরুদ্ধে কুয়েত বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বের খেলায়। ১১ নম্বর লেখা জার্সি ছিল তাঁর প্রিয়।
ভারতীয় গোল মেশিন হিসেবে পরিচিত। ভারতের জাতীয় দলের সর্বকালের সর্বোচ্চ গোলদাতা। ভারতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক।
বিশ্ব ফুটবলে সর্বাধিক গোলস্কোরারের তালিকায় প্রথম পাঁচে রয়েছেন।
২০০২ সালে প্রথম পেশাদারি ক্লাব মোহনবাগানের হয়ে খেলা শুরু। তার পর দেশে ও বিদেশে নানা দলে খেলেছেন। তাঁর খেলোয়াড়ি জীবনের সম্মান ও স্বীকৃতির তালিকা দীর্ঘ।
বর্তমানে যতজন সক্রিয় ফুটবলার রয়েছেন তাঁদের মধ্যে তৃতীয় সর্বাধিক গোলের মালিক সুনীল ছেত্রী। তাঁর আগে রয়েছে রোনাল্ডো ও মেসি। উপমহাদেশের তৃতীয় খেলায়াড়, যিনি বিদেশ পাড়ি দেন খেলার জন্যে।
জন্ম ৩ অগস্ট ১৯৮৪ সাল। বাবা সেনাবাহিনীর কর্মী ছিলেন এবং ভারতীয় সেনা ফুটবল দলের হয়ে ফুটবল খেলতেন। তাঁর মা এবং দুই বোনও নেপালের জাতীয় মহিলা দলের হয়ে খেলতেন।
ছোটবেলা কেটেছ দার্জিলিঙে। শৈশব থেকেই ফুটবল খেলায় আগ্রহ পরিবার সূত্রে। পাঁচটি ভাষায় সাবলীল ভাবে কথা বলতে পারেন।
স্ত্রী সোনম ভট্টাচার্য মোহনবাগান খেলোয়াড় সুব্রত ভট্টাচার্যের কন্যা। ২০১৮ সালে এএফসি দ্বারা এশিয়ান আইকন হিসেবে মনোনীত হন।
২০০১ সালে প্রথম এশিয়ান স্কুল চ্যাম্পিয়নশিপে ভারতের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেন। সব ধরনের ফুটবল থেকে অবসর নিলেন সুনীল ছেত্রী।
৬ জুন ২০২৪ সালে সল্টলেক স্টেডিয়ামে বিদায় জানালেন খেলেয়াড জীবনকে অবসর জানিয়ে।