এখন মহাকাশ জুড়ে যে জীবন্ত কিংবদন্তির কথা শোনা যাচ্ছে সেই অকুতোভয় নারীর নাম সুনীতা উইলিয়ামস। বিজ্ঞানীদের দুশ্চিন্তা এখন এই মহামানবীর জন্য।
এই মুহূর্তে তিনি মহাকাশে গিয়ে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে নাকি আটকে রয়েছেন। তিনি বা তাঁরা কবে ফিরতে পারবেন, সে নিয়ে সংশয় সব মহলেই।
উল্লেখ্য, তৃতীয়বারের জন্য মহাকাশ অভিযানে গিয়ে ভারতীয় বংশোদ্ভূত এই মহাকাশচারী আটকে পড়েছেন। এই অনিশ্চয়তাই এখন বড় সংবাদ।
আমেরিকার ফ্লোরিডার কেপ ক্যানাভেরাল স্পেস স্টেশন থেকে মহাকাশ যান বোয়িং সিএসটি -১০০ স্টারলাইনারের ক্যাপসুলে চড়ে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে রওনা দিয়েছিলেন মাত্র আট দিনের জন্য।
সহ-অভিযাত্রী ব্যারি বুচ উইলমোরও রয়েছেন। মাত্র ৮ দিনের জন্য যাওয়া এই অভিযাত্রীদ্বয় এখন ৫৫ দিন পেরিয়ে গেলেও ফিরতে পারেননি।
এই অনিশ্চয়তাতেই এখন চিন্তায় চিন্তিত বিজ্ঞানী মহল। জানা গিয়েছে যে ক্যাপসুলে চড়ে তাঁরা গিয়েছেন সেই ক্যাপসুলের সময়সীমা নাকি ৯০ দিন। হাতে আর এক মাসের মতো সময়। আতঙ্ক দিন দিন ঘনীভূত হচ্ছে।
উল্লেখ্য, বিশ্বের ধনী মানুষদের বাণিজ্যিক সফরের লক্ষ্যে পরীক্ষামূলক ভাবে এটিই ছিল বোয়িং-এর মহাকাশচারী নিয়ে প্রথম যাত্রা।
বিজ্ঞানীমহলের খবর অনুযায়ী, উৎক্ষেপণের পরেই স্টারলাইনারের রকেটে হিলিয়াম লিকেজের সমস্যা ধরা পড়েছিল। স্টারলাইনারের ত্রুটি নাকি নাসার বিজ্ঞানীরা ধরতে পেরেছেন।
তবুও সুনীতারা ওই স্টারলাইনারেই ফিরতে পারবেন কিনা সেটা এখনও বলা যাচ্ছে না। নাসার কমার্শিয়াল ক্রু প্রোগ্রাম ম্যানেজার স্টিভ স্টিচ জানিয়েছেন বিকল্প ব্যবস্থা করতে হতে পারে।
সেক্ষেত্র রাশিয়ার ক্রু ড্রাগন বা রাশিয়ার সয়ূজ এ চেপে ফিরতে পারেন সুনীতারা। তবে এখনও স্টারলাইনারের ওপর ভরসা হারাচ্ছেন না তাঁরা।
হাল ছাড়তে রাজি নন বিজ্ঞানীরা। প্রশ্ন কবে ফিরবেন তাঁরা।