কৃষিপ্রযুক্তি সহায়ক ইন্টারভিউয়ের জন্য পরামর্শ

538
0

কৃষিপ্রযুক্তি সহায়ক বিষয়ে সাধারণত ১২ মাসের ট্রেনিং দেওয়া হয়: ৬ মাসের প্রি-সার্ভিস, ৬ মাসের ইন-সার্ভিস ট্রেনিং।

কৃষির সূত্রে গ্রামীণ উন্নয়ন ত্বরান্বিত করা অন্যতম লক্ষ্য। কাজ যেহেতু করতে হবে কৃষিসমাজের মানুষদের জন্য ও তাঁদের সঙ্গে মিশে, প্রার্থী কোন সামাজিক বা পারিবারিক পরিমণ্ডল থেকে এসেছেন সেটা একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বিশেষত মানসিক ও বাছবিচারের দূরত্ব থাকলে তা কাটাতে হবে।

আধুনিক কৃষিপ্রযুক্তি, অচিরাচরিত বিদ্যুৎ, জৈব সারের প্রয়োগ, কৃষিযন্ত্রপাতির ব্যবহার ও রক্ষণাবেক্ষণ, সরকারি সাহায্য-পরিষেবা বিষয়ে সচেতনতা গড়ে তোলা ও সুযোগ-সুবিধা পেতে সাহায্য করা, কার কোথায় কী সমস্যা হচ্ছে তার খবর নেওয়া ও আশু সমাধানের জন্য প্রয়োজনীয় যোগাযোগ করিয়ে দেওয়া, বীজ চেনা ও বীজ সংরক্ষণের উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে কিনা, শস্যবীমা, কৃষিঋণ, কিষাণ ক্রেডিট কার্ড, কৃষি সংক্রান্ত ভর্তুকি-অনুদান, কৃষিপরিবারের সন্তানের পড়াশোনার জন্য কোনো বিশেষ স্কলারশিপ বা প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা আছে কিনা, কৃষিকাজ বা কৃষক সমাজের জন্য রাজ্য/জাতীয়/আন্তর্জাতিক প্রকল্প বা রক্ষাকবচ আছে কিনা— এসবের খোঁজখবর রাখতে হবে। অর্থাৎ নিজেকে যতভাবে তাঁদের কাজে লাগানো যায়, তাঁদের পাশে দাঁড়ানো যায়, সেভাবেই নিজেকে তৈরি করা ভালো।

সার-বীজ-পরিষেবা ইত্যাদির প্রাপ্তিস্থান-প্রাপকের পারস্পরিক নির্ভরযোগ্য খোঁজখবর, প্রচুর ছোটাছুটি, রাত-বিরেত-সময়হীন দায়িত্ববোধ ও উপযুক্ত শারীরিক সক্ষমতা থাকা দরকার। নখদর্পণে থাকা দরকার কাজের ক্ষেত্রের ভৌগোলিক পরিচয়। অন্তত সাইকেল চালাতে জানলে এসব কাজে সুবিধা হয়।