রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে জলঘোলা হয়েই চলেছে। স্বাভাবিকভাবেই নির্বাচন বিধির জন্য অনেক ক্ষেত্রেই নিয়োগ প্রক্রিয়া আটকে রয়েছে। আটকে রয়েছে উচ্চপ্রাথমিক স্তরে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়াও। ভোটের মাঝে ফলাফল বের করার আর্জি খারিজ করে দেয় নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনী প্রক্রিয়ার মাঝে কমিশন নিয়োগ সংক্রান্ত কোনো পদক্ষেপ নিতে পারবে না। তবে নির্বাচন প্রক্রিয়া মিটে যাওয়ার পরপরই স্কুল সার্ভিসে শিক্ষক নিয়োগের ফল প্রকাশিত হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
গত ৩০ মে একটি মামলার রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট উচ্চপ্রাথমিক স্তরে ১০ শতাংশ আসন বাদ দিয়ে বাকি ৯০ শতাংশ আসনে নিয়োগ প্রক্রিয়া করা যেতে পারে বলে অনুমতি দিয়েছে। এমনিতেই উচ্চপ্রাথমিক স্তরে শিক্ষক নিয়োগ কয়েক বছর ধরে আটকে তারপর অন্ততপক্ষে ৯০ শতাংশ আসনে ছাড়পত্র মিললেও নির্বাচনের কারণে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করা যাচ্ছে না। এখনও পর্যন্ত প্রায় ১৫ হাজার শিক্ষক পদে নিয়োগ আটকে রয়েছে। সেই কারণেই এবার যাতে নিয়োগ প্রক্রিয়া চালু করা যায় সে ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনের কাছে আর্জি জানিয়েছিলেন স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্য
২০১৬ সাল থেকেই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা যায়নি। ফলপ্রকাশ হলেও পার্সোন্যালিটি টেস্ট, কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া মিলিয়ে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে এখনও অনেকটাই সময় লাগবে। দীর্ঘদিন অপেক্ষায় রয়েছেন টেট উত্তীর্ণ ছাত্র-ছাত্রীরা। তাই মামলার সহ সমস্ত জটিলতা কাটিয়ে যাতে নিয়োগ হয়, সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছেন পরীক্ষার্থীরা।