তাহলে কি এবার পঞ্চম শ্রেণি প্রাথমিক স্তরে হবে ? প্রাইমারি টেট দিয়ে নিযুক্ত শিক্ষকদের পড়াতে হবে আরেকটি শ্রেণির ছাত্র-ছাত্রীদের। এরকমই বিষয় নিয়ে আলোচনা হল স্কুল শিক্ষা দপ্তরের বৈঠকে। সিদ্ধান্ত হয়নি, আলোচনা চলছে, রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে স্কুলের জেলা পরিদর্শকদের কাছে।
প্রসঙ্গত, আমাদের রাজ্যের স্কুল শিক্ষা ব্যবস্থাকে মূলত চারটি ভাগে ভাগ করা হয়। একটা, প্রথম থেকে চতুর্থ শ্রেণি- প্রাথমিক স্তর, যার জন্য প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ আয়োজিত প্রাইমারি টেট-এর মাধ্যমে শিক্ষক-শিক্ষিকা নিয়োগ করা হয় ; দ্বিতীয়, পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণি— উচ্চ প্রাথমিক স্তর, যার জন্য স্কুল সার্ভিস কমিশনের টেট পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগ হয়; আর হল নবম-দশম শ্রেণি সেকেন্ডারি ও একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি হায়ার সেকেন্ডারি স্তর যার জন্য স্কুল সার্ভিস কমিশনের এসএলএসটি পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগ করা হয়ে থাকে।
কিন্তু এনসিটিই স্কুল শিক্ষক নিয়োগের জন্য যেভাবে স্কুল স্তরগুলিকে ভাগ করেছে তাতে প্রথম শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত ধরা হয় প্রাথমিক স্তর অর্থাৎ প্রাথমিক স্তরের শিক্ষকরা প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র-ছাত্রীদের পড়িয়ে থাকেন। বেশ কয়েক বছর যাবৎ বিভিন্ন শিক্ষক সংগঠন চাইছেন, জাতীয় বিন্যাসের সঙ্গে সমতা বজায় রেখে পঞ্চম শ্রেণিকে প্রাথমিকের অন্তর্ভুক্ত করা হোক, মাত্র ১০ বছরের ছেলে-মেয়েদের জুনিয়র হাই-হাইস্কুলে কয়েক হাজার ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে দিয়ে উচ্চ-প্রাথমিক স্তরে ঠেলে দেওয়ায় আপত্তি রয়েছে।
তবে এর আগে অবশ্য অনেকগুলি বিষয় মাথায় রাখতে হবে। স্কুল শিক্ষা দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে, প্রথমে দেখা হচ্ছে, রাজ্যে প্রায় ৬০ হাজার প্রাথমিক স্কুল রয়েছে, সেখানে পঞ্চম শ্রেণিকে অন্তর্ভুক্তি করার মতো পর্যাপ্ত ব্যবস্থা / পরিকাঠামো আছে কিনা। দ্বিতীয়ত এটা দেখা হবে, যাতে শিক্ষক-ছাত্র অনুপাতে না বৈষম্য দেখা দেয়। এসব বিষয় মাথায় রেখে জেলা পরিদর্শকদের কাছে রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। রিপোর্ট আশানূকুল হলে প্রাথমিক স্তরে যোগ হতে পারে পঞ্চম শ্রেণি।