ইতলির খরি জনপ্রিয়তার কথা সবার জানা। সেই কফির জনপ্রিয়তা আজ বিশ্বময়। আজ আমরা এক নিমেষে অর্ডার করলেই গরফ কফিতে চুমুক লাগাতে পার।কিন্তু সেদিন ছিল খুবই কঠিন।
শীতের দেশে চাইলেই সহজে কফি মিলত না। অথচ অনেকেরই বাসনা খুব দ্রত কী করে কফি মিলতে পারে। এই দুশ্চিন্তা থেকেই নতুন এক মেশিন উদ্ভাবন করেছিলেন অ্যাঞ্জেলো মরিওন্দো।
ইতালির মানুষ। যিনি ১৮৮৪ সালে বিশ্বের প্রথম এসপ্রেসো মেশিন উদ্ভাবন করেছিলেন।
সেই এসপ্রেসো মেশিনের গডফাদার অ্যাঞ্জেলো মরিওন্দোকেই তাঁর জন্মদিনে (সোমবার ৬ জুন) একটি ডুডুলের মাধ্যমে তাঁর ১৭১ তম জন্মদিনকে স্মরণ করা হল। অ্যাঞ্জেলো মরিওন্দোর জন্ম ৬ জুন ১৮৫১ সালে ইতালির তুরিনে।
তিনিই ১৮৮৪ সালে প্রথম এসপ্রেসো মেশিনের পেটেন্ট করেছিলেন। তাঁর হাত ধরেই ইতালি পেয়েছিল দ্রুত গরম কফির কাপে ঠোঁট ছোঁয়ানোর অভিজ্ঞতা। আজ কফিপ্রেমীদের কাছে প্রতিটা চুমুকেই যেন তাঁকে স্মরণ করা।
তাঁর পিতামহের ছিল একটি সুরা তৈরির কোম্পানি।যেটি পরিচালনা করতেন তাঁর পিতা গিয়াকোমো। পরবর্তীতে তাঁরা গিয়াকোমো ও তাঁর ভাই মিলে একটি সুপরিচিত চকলেট কোম্পানি “মরিওনডো এবং গ্যারিগ্লিও” প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
পারিবারিক ব্যবসার সূত্রেই মরিওন্দো আরও দুটি সম্পত্তি ক্রয় করেন। সেগুলি হল পিয়াজা কার্লো ফেলিসের গ্র্যান্ড হোটেল লিগুর এবং ভায়া রোমার গ্যালেরিয়া নাজিওনালে আমেরিকান পানশালা।
সে সময়েই মরিয়েন্দোর মাথায় আসে এসপ্রেসো মেশিনের কথা। সে সময়ে ইতালিতে কফি অত্যন্ত জনপ্রিয় পনীয়। কিন্তু তা পেতে অনেক সময় ক্রেতাদের অপেক্ষা করতে হত।
কেউ কেউ বলেন, স্থায়ীন মানুষদের খেদ ছিল প্রিয় মদ পেতে যেখানে মাত্র পাঁচ মিনিট লাগে, সেখানে এক কাপ উষ্ণ কফি পেতে অনেক সময় লাগে। অথচ শীতপ্রধান ইতিালিতে কফি ছিল সবচেয়ে উষ্ণতম আইটেম।
মরিওন্দোর মাথায় এল কী করে গ্রাহকদের দ্রুত গরম কফি পরিবেশন করা যায়, তখনই তিনি তৈরি করে ফেলেন এই মেশিন এবং তুরিনের এক মেলায় এই মেশিন প্রদর্শন করেন।
২৩ অক্টোবর ১৮৮৫ সালে প্যারিসে তিনি সেই পেটেন্ট পাওয়ার পর আন্তর্জাতিক বাজারে সেই মেশিন নিয়ে হাজির হন মরিওন্দো। আজ সারা বিশ্বে সেই এসপ্রেসো মেশিনের ব্যবহার। অফিস দোকান অনুষ্ঠান উতসব গৃহ থেকে সব জায়গায় গরম আকর্ষণীয় পানীয়ের এই মেশিনের উপস্থিতি।