বিশ্ব জলবায়ুর সংকটে

1005
0
Climate Crisis
Courtesy: Fortune.com

জলবায়ু নিয়ে গভীর সংকটের মুখে বিশ্ব। বায়ু দূষণে প্রতি বছর বিশ্বে প্রায় ৭০ লক্ষ মানুষ মারা যায়। সংকট মোকাবিলায় বিশ্বের নেতারা তৎপর হয়েছেন আবার।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন থেকে শুরু করে আমেরিকান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংও সতর্কবার্তা ঘোষণা করেছেন।
গত মঙ্গলবার জাতি সংঘের সাধারণ পরিষদের সম্মেলনে জলবায়ু সংকট নিয়ে তাঁদের মতামত তুলে ধরেছেন বিশ্ববাসীর কাছে।
উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য জলবায়ু পরিবর্তন সহায়তা দ্বিগুণ করার কথা ব্যক্ত করেছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
এই অধিবেশন থেকেই কার্বন নির্গমন কমাতে নতুন প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন চিনের প্রধানমন্ত্রী সি চিন পিং। এই সভাতেই চিনের সমালোচনা করা হয়েছে।
কারণ চিনই বিশ্বে সবচেয়ে বেশি গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ করে থাকে। জাতি সংঘের  মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস এবং যুক্তরাষ্ট্রের জলবায়ু কূটনীতিক জন কেরি চিনকে কার্বন নির্গমন কমানোর  অনুরোধ করেছেন। তিনি তাতে সদর্থক সায়ও দিয়েছে।
কার্বন নির্গমন, জলবায়ু দূষণের আলোচনায় আগামী বিশ্ব কতটা কতটা দূষণহীন বাসযোগ্য হয় সেটাই দেখার।
এই প্রেক্ষিতেই চিন জানিয়েছে, ‘বিশ্বে কার্বন নির্গমন কমাতে তারা তৎপর হবে এবং উন্নয়নশীল দেশগুলিকে অর্থ সাহায্য করবে।  উল্লেখ্য, জাপান , দক্ষিণ কোরিয়া কার্বন নির্গমন কমাতে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল ইতিপূর্বেই।
এই সভাতেই জো বাইডেন বলেন, ‘ উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য জলবায়ু পরিবর্তন সহায়তা দ্বিগুণ করা হবে।’ মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসাবে এ বছরই  তিনি বক্তব্য রাখলেন।
এই মঞ্চেই ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন তাৎপর্যময় বক্তব্য রেখেছেন। তিনি বলেছেন, ” বিশ্ব এখন একটি সংকটময় মুহূর্তে রয়েছে। আমরা আমাদের আবাসস্থল এবং নিজেদের যে ক্ষতি করছে তার দায়িত্ব অবশ্যই আমাদের নিতে হবে।’
Courtesy: Jubileepost.in
জলবায়ু পরিবর্তনের সম্মতি আশঙ্কা করে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী জণসন এমন কথা বলে সারা বিশ্বকে এগিয়ে এসে আসার আহ্বান জানিয়েছেন। এই সতর্কবার্তা তিনি তুলে ধরেছেন জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে।
উল্লেখ্য, জলবায়ু পরিবর্তন রোধে আগামী নভেম্বরে যুক্তরাজ্যের স্কটল্যান্ডের গ্লাসগো বিশেষ সম্মেলন নিয়ে বসবেন বিশ্বের বড় বড় নেতারা। সেই সম্মেলনের প্রাক্কালে এই সতর্ক বার্তা দিলেন বিভিন্ন দেশের প্রধানরা।
বরিস জণসন আরও বলেছেন, ”আমরাই পৃথিবীকে বসবাসের অনুপযোগ্য করে তুলছি শুধু আমাদের জন্যই নয়, বিশ্বের অন্যান্য প্রাণীর জন্যও অত্যন্ত ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে পৃথিবী। পৃথিবী থেকে বহু প্রজাতির প্রাণী শুধুমাত্র উষ্ণায়নের কারণ এই বিলুপ্ত হয়ে গেছে।’
বিশ্ব উষ্ণায়ন নিয়ে সারা পৃথিবীতে আজ নানান চর্চা চলছে। আগামী ২০৩০ সাল নাগাদ কার্বন নিঃসরণ কমাতে কয়লানির্ভর বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ করতে উন্নত দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বরিস জণসন। শুধু জলবায়ু দূষণে নয় পরিবেশ সংরক্ষণ বিষয়টিকেও সামনে এনেছেন তিনি।
এই আলোচনায় হাজির ছিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও। যেখানে রুদ্ধদ্বার আলোচনায় তিনি  একটি শক্তিশালী টেকসই পৃথিবী উপহার দেবার কথা বলেছেন ।