গাজা ভূখণ্ডে ত্রাণের আশায় ছুটে যাওয়া নিরীহ প্যালেস্টাইনি নাগরিকদের ওপর ইজরায়েলের সেনা বাহিনীর গুলিতে নিহত হলেন ১০৪ জন। গুরুতর জখম হয়েছেন ৭৬০ জন। পশ্চিম গাজার আল নাবুলোসিতে ত্রাণ নিয়ে প্রবেশ করা কিছু ট্রাক দেখে ছুটে গিয়েছিলেন সাধারণ মানুষ। তখনই গুলি চালানোর ঘটনা ঘটে। গাজার স্বাস্থ্য পরিকাঠামো ভেঙে পড়ায় মৃতের সংখ্যা বেড়েছে বলে জানা গেছে। যদিও ইজরায়েল গুলি চালানোর ঘটনা অস্বীকার করেছে। তারা দাবি করেছে , ত্রাণ ভর্তি ট্রাকের সামনে হুড়োহুড়ি ও পদপিষ্ট হওয়ার ফলে এই ঘটনা ঘটেছে। যদিও এদিনই গাজার আরো কিছু অঞ্চলে ইজরায়েলের সেনাবাহিনীর হামলায় ৩০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। সবমিলিয়ে সাম্প্রতিক যুদ্ধে কেবল গাজায় মৃতের সংখ্যা পেরিয়ে গিয়েছে ৩০ হাজার জন।
বাংলাদেশে একটি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মৃত্যু হল ৪৩ জনের। ঢাকার বেইলি রোডে একটি বাড়িতে চলা রেস্তোরায় আগুন লাগে। এই ঘটনায় হতাহতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে প্রশাসন।
জাতীয়
দিল্লির খজুরি খাসে বেশ কয়েকটি বাড়ি গুঁড়িয়ে দিয়েছে দিল্লি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ। অবৈধ নির্মাণের অভিযোগে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ওয়াকিল হাসান-এর বাড়িও। গত নভেম্বর মাসে উত্তরাখণ্ডের উত্তরকাশীতে সুরঙ্গে ষোলো দিন ধরে আটক ৪১ জন শ্রমিককে শেষ পর্যন্ত উদ্ধার করেছিলেন যে ১২ জন মাইনার তাদের দলের নেতা ছিলেন ওয়াকিল হাসান। তিনি জানিয়েছেন, দিল্লিতে ১৯৮৭ সালের বৈধ রেজিস্ট্রি দেখেই তিনি ওই বাড়িটি কিনেছিলেন।
১৯৯৩ সালে মুম্বইতে ধারাবাহিক বিস্ফোরণ মামলায় অভিযুক্ত আব্দুল করিম টুন্ডা ওরফে ডক্টর বোম কে বেকসুর খালাস করল বিশেষ আদালত। এই মামলায় অভিযুক্ত অন্য দুজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। যদিও ১৯৯৬ সালের মুম্বই বিস্ফোরণ কাণ্ডে ইতিমধ্যেই যাবজ্জীবন কারাদন্ড ভোগ করছেন টুন্ডা। এখন তার বয়স ৮০ বছর। দাউদ ইব্রাহিম গোষ্ঠীর এই সদস্য ছিলেন বোমা তৈরিতে বিশেষজ্ঞ। ২০১৩ সালে ভারত নেপাল সীমান্ত থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
খেলা
পল পোগবাকে চার বছরের জন্য সব ধরনের ফুটবল থেকে নির্বাচিত করা হলো। ২০১৮ সালে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ফরাসি দলের অন্যতম নির্ভরযোগ্য সদস্য তিনি। ২০২৩ সালের আগস্টে ডোপ পরীক্ষায় তিনি ব্যর্থ হন। তাঁর শরীরে নিষিদ্ধ টেস্টোস্টেরন নামক নিষিদ্ধ ওষুধের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। তদন্তে তিনি দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন।
আইএসএল প্রতিযোগিতায় ওড়িশা এফসির কাছে দুই এক গোলে হেরে গেল ইস্টবেঙ্গল। প্রসঙ্গত সুপার কাপ ফাইনালে গত মাসে ওড়িশাকে হারিয়েই জয়ী হয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। প্রতিযোগিতায় ১৭ ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট পেয়ে অষ্টম স্থানে রয়েছে ইস্টবেঙ্গল।
বিবিধ
চলতি অর্থ বর্ষের তৃতীয় ত্রৈমাসিকে দেশে জিডিপি বৃদ্ধির হার হয়েছে ৮.৪ শতাংশ। অক্টোবর নভেম্বর ডিসেম্বর মাসে এই জিডিপি বৃদ্ধির হার গত দেড় বছরের মধ্যে সবথেকে বেশি। কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান দপ্তর এই তথ্য পেশ করেছে। প্রসঙ্গত, চলতি অর্থ বর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিকে ৮.২ এবং দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে জিডিপি বৃদ্ধির হার ছিল ৮.১ শতাংশ।
সাঁওতালি ভাষার সাহিত্যিক কালীপদ সোরেনকে ‘বঙ্গবিভূষণ’ সম্মানে ভূষিত করলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঝাড়গ্রামে একটি অনুষ্ঠানে একইসঙ্গে প্রসেনজিৎ মান্ডি ও যতীন টুডুকে পণ্ডিত রঘুনাথ মুর্মু স্মৃতি পুরস্কার, গোরাচাঁদ মুর্মুকে কবি সারদাপ্রসাদ কিসকু স্মৃতি পুরস্কার, দুগাই টুডুকে সাধু রামচাঁদ মুর্মু স্মৃতি পুরস্কার, নরেন্দ্রনাথ সোরেনকে লালশুক্লা ওরাও ওঁরা স্মৃতি পুরস্কার, বৈজ্ঞানিক কর্ম বিষয়ে ডঃ সুভাষ হাঁসদাকে বিরসা মুণ্ডা স্মৃতি পুরস্কার, সামাজিক কর্মকাণ্ডের বিষয়েলক্ষ্মী মান্ডিকে সিধু কানহো স্মৃতি পুরস্কার তুলে দিলেন তিনি।
দেশে মোট চিতা বাঘের সংখ্যা ১৩ হাজার ৮৭৪। এই তথ্য ২০২২ সালের। জাতীয় বাঘ সংরক্ষণ কর্তৃপক্ষ এবং ওয়াইল্ডলাইফ ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া রাজ্যের অরণ্য দপ্তরগুলির সঙ্গে যৌথভাবে এই সমীক্ষা চালিয়েছিল। এর আগে শেষবার চিতা বাঘের সরকারি পরিসংখ্যান মিলেছিল ২০১৮ সালে। তখন দেশে চিতা বাঘের সংখ্যা ছিল ১২ হাজার ৮৫২। অর্থাৎ গত চার বছরে দেশে চিতা বাঘের সংখ্যা বেড়েছে হাজারেরও বেশি। এদিন আনুষ্ঠানিকভাবে এই তথ্য প্রকাশ করল কেন্দ্রীয় বন ও পরিবেশ মন্ত্রক। সাম্প্রতিক হিসেব অনুযায়ী সবথেকে বেশি চিতা বাঘ রয়েছে মধ্যপ্রদেশে (৩৯০৭)। তারপর মহারাষ্ট্র ও কর্নাটকে রয়েছে যথাক্রমে ১৯৮৫ এবং ১৮৭৯ টি করে চিতাবাঘ। পশ্চিমবঙ্গে চিতা বাঘের সংখ্যা ২৩৩।
বিভিন্ন ভারতীয় ভাষায় ফরাসি সাহিত্য অনুবাদের জন্য ২০১৭ সাল থেকে দেওয়া হচ্ছে রোম্যা রল্যা পুরস্কার। এবছর সেই পুরস্কার পাচ্ছেন পঙ্কজ কুমার চট্টোপাধ্যায়। তিনি জা দানিয়েল বালতাসার ‘ল্য দিভা দ্য স্তালিন’ এর উপন্যাসটিকে ফরাসি থেকে বাংলায় ( নাম ‘স্তালিনের ডিভান’ ) অনুবাদ করে এই পুরস্কার পাচ্ছেন। এর আগে তৃণাঞ্জন চক্রবর্তীও বাংলা অনুবাদের জন্য এই পুরস্কার পেয়েছিলেন।
উপযুক্ত খাদ্যমান বজায় রাখা এবং স্বাস্থ্যসম্মত পদ্ধতিতে খাদ্য তৈরির পরিবেশ আছে এমন ১৫০টি রেল স্টেশন কে ‘ইট রাইট’ শিরোপা দিল কেন্দ্রীয় খাদ্য নিয়ন্ত্রক সংস্থা এফএসএসএআই। পশ্চিমবঙ্গ থেকে কলকাতা, আসানসোল, দুর্গাপুর ও হরিশ্চন্দ্রপুর স্টেশন রয়েছে এই তালিকায়। একই সঙ্গে দেশের ছটি মেট্রো স্টেশন এই স্বীকৃতি পেয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে এ রাজ্যের এসপ্লানেড মেট্রো স্টেশনও।