চিকেন পক্স ভ্যাকসিনের জনক

944
0
michaki takasai

চিকেন পক্স। বাংলায় বলে জলবসন্ত বা গুটি বসন্ত। শরীরে ক্ষুদ্র ফুসকুড়ির মধ্যে জল তৈরি হয়। গাংয়ে হাত-পায়ে ব্যথা হয়। সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে। ভ্যারিসালা জুন্টার ভাইরাসই এই রোগের প্রধান কারণ (Dr. Michiaki Takahashi)।

ভাইরাসঘটিত এই রোগটিতে বিশ্বের নানা প্রান্তের ছোট বড় সবাইই আক্রান্ত হত। এবং ছোঁয়াচে রোগের কারণে হু হু করে ছড়িয়ে পড়ত। এমনকী অনেকে মারাও যেত। সেই সংখ্যাটা মোটেও কম ছিল না।

এক সময় এই `চিকেন পক্স’ বা জলবসন্তের প্রকোপ ছিল খুব বেশিই। সাধারণত শীত পেরিয়ে গরমের সময়ই এই রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি হয়।

বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই শিশুদেরই এই রোগে আক্রান্ত হতে বেশি দেখা যায়। বড়রাও আক্রান্ত হতে পারে। ঠিক তেমনি ভাবেই একদিন জাপানি বিজ্ঞানী মিচিয়াকি তাকাহাশির পুত্র এই রোগের শিকার হয়। তখন তিনি মাইক্রোবিয়াল ডিজিজের গবেষণা করছিলেন।

সদ্য ওসাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গবেষণাবৃত্তি পেয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গবেষণায় রত। সেটা ছিল ১৯৬৩ সাল। পুত্রের অসুখই তাঁকে নতুন গবেষণার পথ দেখাল। তিনি ফিরে এলেন নিজের দেশ জাপানে।

দিনরাত চিকেন পক্স গবেষণায় নিমগ্ন হলেন। দীর্ঘ গবেষণায় তিনি দেখলেন ভেরিসেলা নামক এক ভাইরাসই এই চিকেন পক্সের অন্যতম কারণ। এবং আবিষ্কার করলেন চিকেন পক্সের বিরুদ্ধে লড়াই করার মতো ভ্যাকসিন বা টিকা।

নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষর পর ১৯৮৬ সালে ওয়ার্ল্ড হেল্থ অর্গানাইজেশন (WHO) এই টিকাকে সম্মতি দেয়। অন্যান্য দেশেও এই টিকা চালু হয়। এই টিকা আবিষ্কারের ফলে বিশ্বের ৮০টা দেশ থেকে মুক্তি পায়। চিকেন পক্সের মতো রোগ ক্রমশই নির্মূল হতে থাকে।

এই ভ্যারিসেলা ভ্যাকসিনের জনক ডক্টর মিচিয়াকি তাকাহাশির ৯৪ তম জন্মদিনে গুগুল ডুডল সম্মান জানাল।

তিনি মারা যান ২০১৩ সালে। তাঁর জন্ম হয়েছিল ১৯২৮ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি। ২০০৫ সাল থেকে প্রতি বছর এই বিজ্ঞানীর নামে দ্য জাপানিজ সোসাইটি ফর ভ্যাকসিনোলজি পুরস্কার প্রদান করা হয়ে থাকে (Dr. Michiaki Takahashi)।